Alapon

আল্লাহ মাথা-মোটা লোক দেখানো মোল্লাদের হেদায়েত দিন!

ধর্মকে আমরা এত সেনসেটিভ বানিয়ে রাখছি যে কিছু বলাও মুশকিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌছেছে, কিছু না বলেও পারছি না। আমার বাসাটা এমন জায়গায়, ২০০ বর্গমিটারের মধ্যে ৩টি বড় মসজিদ। রমজান আসার পর থেকে দেখছি প্রায় দেড়-দুই ঘন্টার তারাবিহসহ ৫ ওয়াক্ত সালাত-ই পড়া হচ্ছে আজানের মাইকে সংযোগ দিয়ে। রাত দুইটা থেকে শুরু হয় সেহরীর আহবান ও বিভিন্ন ধর্মীয় বয়ান। একইভাবে ইফতারের আগে আসরের সালাতের পর থেকে চলে ধর্মীয় আলোচনা।

নামায, সেহরীর আহবান, ধর্মীয় আলোচনা এগুলো কোনটিই সমস্যা না। মসজিদের ভিতরে আপনি এগুলো সব করেন, কোন সমস্যা নাই। কিন্তু বাইরের বড় মাইকে দেওয়ার কারণ কি? প্রযুক্তির এই যুগে কেউ যদি সেহরী খেতে উঠতে চায়, তার জন্য আপনার মাইকের আহবান জরুরী না। সবার বাসায়ই মোবাইল, এলার্ম ঘড়ি আছে।

আপনি কেন ধরে নিচ্ছেন, সব মানুষ মসজিদে চলে এসেছে বা আসবে? বাসায় নারী, শিশু, বৃদ্ধ অনেক ধরনের মানুষ থাকতে পারে। ভিন্ন ধর্মের থাকতে পারে। অনেকে ধর্ম পালন না-ও করতে পারে। মাইকে সর্বোচ্চ ভলিউমে কেরাত পাঠ করে ও ইসলামী আলোচনা করে তাদের ডিস্টার্ব করার অধিকার কি ইসলাম আপনাকে দিয়েছে? তাছাড়াও আপনি যখন সর্বোচ্চ ভলিউমে ক্বেরাত পাঠ বা আলোচনা করছেন তখন বাসায় যারা নামায পড়ে তাদের মনসংযোগে চরম ব্যাঘাত ঘটে। এর দায় কি আপনি নিবেন?

মাইক্রোফোন হাতে নিয়েই বাঙ্গালি সর্বশক্তি দিয়ে একটা ফু--- দিবে। এটা অনেক বড় বড় বোদ্ধাদেরও দেখছি। আপনার ঐ সর্বশক্তির ফু--- তে ছোট বাচ্চাগুলো ভয় পেয়ে চিৎকার করে ঘুম থেকে উঠে যায়। এরপরে বড়দের সেহরী, নামাযে কত সমস্যা হয় বুঝতে পারলে এগুলো বন্ধ করতেন।

আমার কাছে ধর্ম বিশেষ করে ইসলাম খুবই বাস্তবিক ও প্রায়োগিক। ধর্মের লেবাসধারী কিছু মাথা মোটা মানুষের কারণে অনেক সাধারণ মানুষ ইসলামের প্রায়োগিক সৌন্দর্যের ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে যাচ্ছে। অতি উৎসাহী হয়ে এমন কিছু করার দরকার নাই, যার কারণে মানুষ বিরক্ত হয়।

আল্লাহ আমাদের সকলকে শুভবুদ্ধি দান করুন।
মাথা-মোটা লোক দেখানো মোল্লাদের হেদায়েত দিন।

পঠিত : ৮৮২ বার

মন্তব্য: ০