Alapon

এই পীযূষ বন্দোপাথ্যয়রা কী চায়...?

ছোটবেলায় মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা ছিল প্রথম পছন্দ। যেদিন যুদ্ধের সিনেমা হত সেদিন মনের ভিতর ঈদের আনন্দ খেলা করত। যুদ্ধের সিনেমাগুলোতে প্রধান ভিলেন হিসেবে রাজাকারদের উপস্থাপন করা হত। আর রাজাকারের পোশাক থাকত দাড়ি, টুপি ও পাঞ্জাবী।

সিনেমায় দাড়ি টুপিওয়ালাদের ভিলেনের ভূমিকায় দেখতে দেখতে একসময় দাড়ি টুপিওয়ালাদের কেমন জানি ভয় করত! যদিও আমার দাদা এবং আব্বার মুখেও দাড়ি আছে; তারাও টুপি পাঞ্জাবী পরেন। কিন্তু বাহিরের কোনো মানুষকে দাড়ি টুপি পরা অবস্থায় দেখলেই কেমন জানি ভয় করত।

এটা শুধু সিনেমাতেই সীমাবদ্ধ ছিল তাই নয়। এমনকি নাটকগুলোতেও একই অবস্থা ছিল। আর জাফর ইকবাল সাহেবের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রচিত বই মানেই যেন দাড়ি টুপি। যার উৎকৃষ্ট উদাহারণ আমরা জাফর ইকবাল নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সিনেমা ‘আমার বন্ধু রাশেদ’-এ দেখেছি।

এহেন প্রচ্ছন্ন ইসলাম বিদ্বেস এতোদিন নাটক সিনেমা বা সাহিত্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে তা সামগ্রিক রূপ লাভ করেছে। পীযূষ বন্দোপাথ্যয়ের মত রামছাগলরা আজ ইসলামের হুকুম আহকাম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। তারা বলছে, যারা দাড়ি টুপি পরিধান করে এবং টাকনুর উপর প্যান্ট পরে তারা সকলেই জঙ্গি!

এটা বিভাজনের সুর। একটি জাতি বিভাজিত করবার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র দিবালোকের মত সামনে আসে শাহবাগ আন্দোলনের সময়। আমরা দেখেছি, সেসময় তাদের প্রধান আক্রমনের বস্তু ছিল ইসলাম। যদিও সেই আন্দোলনের সূচনা ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করণের জন্য। কিন্তু প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে, সুশীল নামধারী, ধর্ম নিরপেক্ষতার ধবজাধারী এই সকল কুলাঙাররা ইসলামকে টার্গেট করেই এতোসব করছে।

তারা এইসব করার সাহস পেল কোথায়?

এই সাহস আমরাই তাদের যুগিয়েছি। ফরিদউদ্দিন মাসউদের মত কিছু নামধারী কুলাঙ্কার আলেম তাদের এই সাহস জুগিয়েছে। দেশের ইসলাম বিদ্বেসী মিডিয়া তাদের এই সাহস জুগিয়েছে।

জল অনেক গড়িয়েছে। অভিনয় জগতে ভাত না পাওয়া এই পীযূূসরা এখন ইসলাম ধর্ম বিদ্বেসী প্রপাগান্ডা চালিয়ে নিজেদের উদর ভরার বন্দোবস্ত করতে চায়। দেশের মধ্যে একটি বিভাজন তৈরী করে তারা ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকার করতে চায়।

তাদের আর বাড়তে দেওয়া যায় না। প্রতিবাদ করতে হবে, প্রতিরোধ করতে হবে। তবে তা অবশ্যই শান্তিপূর্ণ উপায়ে করতে হবে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এই পীযূস গংদের আইনের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। সেইসাথে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হবে।

এই দেশ শান্তির দেশ। এই দেশ ১৮ কোটি মানুষের দেশ। এই দেশ হিন্দু-মুসলিম সকলের দেশ। এই দেশে বিভাজন সৃষ্টি করে কোনো ধরণের অরাজক পরিস্থিতি তৈরী করার সুযোগ আমরা কখনোই দিবো না।

পঠিত : ১২৮৫ বার

মন্তব্য: ০