Alapon

এটাকেই কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে?


আমাদের বিজ্ঞ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে আমি মাননীয় স্পীকার হয়ে গেলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর নিয়ে কথা বলছিলেন, মন্ত্রী মহাদয়। সেই সফরে তিস্তা পানিচুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধীতার কারণে হয়তো সেই চুক্তি আলোর মুখ দেখতে পারবে না। সেই বিষয়ে মন্ত্রী সাহেব বলেছেন, ‘একটি চুক্তি হলো কি হলো না তাতে কিছু যায় আসে- না।’  তবে এই সফরে বাংলাদেশ কি পাবে?


ভারত না হয় প্রতিরক্ষা চুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একরকম কিনে ফেলতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীও ভারতীয় সেনাবাহিনীর আওতাধীনে চলে যাচ্ছে। সেনাবাহিনীকে কমান্ড করার অধিকার না হয় ভারত পেতে যাচ্ছে। সেই বিনিময়ে বিগত কিছদিন ওবায়দুলরা তো গলা ফাটিয়ে বললেন, এইবার তিস্তার পানিচুক্তি হবে। ওবায়দুল কাদেরতো এক ডিগ্রী বাড়িয়ে বলেছিলেন,‘ দেশের স্বার্থবিরোধী কোন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে না।’ এখন আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে ভিন্নসুর। তিস্তা চুক্তি না হলেও কোন কিছু যায় আসে না।


জনাব মন্ত্রী সাহেব! আপনার তো কিছুই যায় আসবে না। কারণ, ভারতকে তুষ্টো করতে পারলেই নিজের মন্ত্রীত্বের গদিযে স্থায়ীত্ব লাভ করবে সেই বিষয়ে আপনি সরাসরি না বললেও জাতি আজ সবকথা জানে। জাতি এও জানে, শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভেই আপনারা পুরোদেশটাকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিতে যাচ্ছেন। এটাই হয়তো আপনাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। কিন্তু তিস্তাপাড়ের সেই গরীব মানুষগুলো তো আর ক্ষমতা চায় না। তারা পেটপুরে দু’মুঠো ভাত খেয়ে বাঁচতে চায়। আর এরজন্য তাদেরকে তিস্তার পানির দিকে চেয়ে থাকতে হয়। তিস্তায় পানি না থাকলে তাদের চাষাবাদ হয় না। আর চাষাবাদ না হলে তাদের পেটে খাবার জুটে না। খাবার না জুটলে তাদেরকে হয়তো না খেয়েই মরতে হবে। তারপরও আপনারা বলে যাচ্ছেন, এরকম দু’একটি চুক্তি না হলে তেমন কিছু এসে যায় না। হায় রাজনীতি। এটাই কি মানুষের জন্য রাজনীতি? এমন রাজনীতিই কি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা দিয়ে গেছেন? এই ক্ষমতার রাজনীতিই কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল?


 

পঠিত : ৬৯৯ বার

মন্তব্য: ০