Alapon

চ্যানেল আইয়ের ভারত দালালী ইজ অন...


বাংলাদেশের দু একটি মিডিয়া ছাড়া প্রায় সব কয়টি মিডিয়াই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর পক্ষ থেকে নামে বেনামে টাকা পায়। কথাটা আমার নয়, একজন বড় মাপের সাংবাদিকের। যে যত বেশি ভারতের পক্ষে দালালী করছে সে তত বেশি টাকা পাচ্ছে।  এজন্য বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো ভারতের দালালীর প্রতিযোগীতায় নামে প্রায় সময়ই। ভাত ছিটালে যেমন কাকের অভাব হয় না।  তেমনি টাকা ছিটালেও ভারতের দালালের অভাব হয় না।


ভারতের দালালীর দিকে থেকে বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে চ্যানেল আই।  এমনকি একাত্তর টিভির চাইতেও এগিয়ে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশি চ্যানেলের পরিবর্তে ভারতীয় চ্যানেলগুলোতে দেশি বিজ্ঞাপন দেয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো যখন মিডিয়া ইউনিটি সংগঠনের নামে জোটবদ্ধ আন্দোলনে নেমেছিলো, তখন কেবলমাত্র চ্যানেল আই এই আন্দোলনের বাইরে ছিলো। এটিএন মলিক মাহফুজ, হানিফ সংকেতসহ অনেককেই তখন চ্যানেল আইয়ের দালালী নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলো।


বহুল আলোচিত শেখ হাসিনার ভারত সফরের কালেও চ্যানেল আইয়ের ভারত দালালি পুরোদমে অব্যাহত আছে।  সারাদেশের মানুষ যখন ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির নামে গোলামির চুক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার।  ঠিক সেই সময় চ্যানেল আই এই স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী এই চুক্তির প্রতিবাদকে তুচ্চ তাচ্ছিল্য করতে ব্যস্ত।


বিএনপি মহাসচিবের প্রতিরক্ষা চুক্তির বিরোধীতাকে চ্যানেল আই বলছে একই কথা বার বার বলছেন!!



শুক্রবার সকালে সদ্য কারামুক্ত বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেলের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।


এসমময় সাংবাদিকরা ভারত সফর নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে ফখরুল বলেন, বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে তাদের বক্তব্য আগেই সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে।


তিনি আবারও বলেন, বাংলাদেশের জন্য প্রধান সমস্যাগুলো সমাধান না করে নতুন করে প্রতিরক্ষা চুক্তি অথবা সমঝোতা স্মারক কোনটাই দেশের মানুষ মেনে নিবে না।


মির্জা ফখরুল বলেন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা, অভিন্ন ৫৪টি নদীর ন্যায্য হিস্যা, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা বন্ধ, বাণিজ্য ক্ষেত্রে ট্যারিফ নন-ট্যারিফ সমস্যা নিরসন করাই এখন প্রধান কাজ।


সরকার বলছে ভারতের সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশের সম্পর্ক সবচেয়ে উচ্চতর স্তরে। তাহলে এধরনের চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রবিরোধী কোন চুক্তি বা সমঝোতা মানুষ মেনে নিবে না বলে জানান ফখরুল।


এসময় তিনি বাংলাদেশের মানুষের অধিকার, গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে ভারত সহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন।


 


মির্জা ফখরুলের উপরোক্ত কথাগুলোকেই চ্যানেল আই শিরোনাম করেছে-  “প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বারবার এক কথাই বলছে বিএনপি


মির্জা ফখরুল একদিন প্রতিরক্ষা চুক্তির পক্ষে আরেকদিন প্রতিরক্ষা চুক্তির বিপক্ষে, একদিন তিস্তা চুক্তির পক্ষে আরেকদিন তিস্তা চুক্তির পক্ষে বললেই মনেহয় চ্যানেল আই বেশি খুশি হতো। তাইলেই আর বার বার এক কথাই বলা হতো না।  ভারতের দালালি করতে করতে চ্যানেল আই এতটাই ভারতীয় হয়ে গেছে যে ভারতের বিরুদ্ধে যায় এমন কোনো কথা শুনলেই ওনাদের কাছে বিরক্তিকর লাগে!!  বার বার বলার মত লাগে!!


প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরের প্রধান ইস্যুই হলো ভারত বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা চুক্তি।  যেই চুক্তি হলে বাংলাদেশ সিকিম হতে বেশি দেরি হবে না।  দেশ রক্ষার এই চুক্তির বিরুদ্ধে বার বার বলবে নাতো একবার বলেই থেমে যাবে??


শেখ হাসিনা যে তার বক্তব্যে সবসময়ই বিরোধীদলের বিরুদ্ধে একই ঢোল বাজিয়ে যান তখনতো চ্যানেল আই বিরক্ত হয় না!  শেখ হাসিনা কিংবা আওয়ামী লীগের বেলায় তো কখনো এরকম শিরোনাম করতে দেখলাম না তাদেরকে?


‘র’ এর উচ্ছিষ্ট খেয়ে আর কত নির্লজ্জভাবে ভারতের দালালী করে যাবে চ্যানেল আই?? দেশটাকে দাদাদের হাতে তুলে দেয়া পর্যন্ত??


সোচ্চার হোন এসব দালালদের বিরুদ্ধে।  বয়কট করুন চ্যানেল আই। আপনি আমি তাদের চ্যানেল দেখেই টিআরপি বাড়াই। আর টিআরপি বাড়লে তাদের বিজ্ঞাপন রেট বাড়ে। এভাবে তাদেরকে আমরাই আর্থিকভাবে লাভবান বানাই। যেই অর্থ দিয়ে ভারতের পক্ষে তারা দালালী করে।  এখন থেকেই এসব দালাল চ্যানেল দেখা বন্ধ করুন।

পঠিত : ৮৬৯ বার

মন্তব্য: ০