Alapon

জন্মগতভাবে আমরা সবাই মেধাবী


প্রত্যেক মানুষেরই একটা আলাদা স্বকীয়তা আছে। আছে মেধার ভীণ্ণটা। আছে অনুভবের নিজস্ব জগত। মনের মাধুরী মিশিয়ে আপন করে সাজায় তার প্রিয় অংগন। সে অংগনে সেই রাজা।

স্কুল জীবনের শুরুতেই আমাদের মেধাটাকে সুনামির মত বিরাট ধাক্কা দেয়া হয়েছে। আমাকে না বুঝেই বলা হল, তোমাকে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে। অথচ আমার মেধাটা অন্যরকম ভাবতে চায়। চোখ বুঝে পিতা-মাতা প্রত্যাশা করেন ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়া-বিসিএস। অথচ আমার ভাল লাগে ইতিহাস-গবেশনা-সাংবাদিকতা।

এটি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার একটি বড় ত্রুটি। মন মনন না বুঝেই চাপিয়ে দেয়া হয় শিক্ষার জাতাকল। যাতে পিস্ট হতে থাকি আমরা। লেখাপড়াটা যদি ভালবাসার সংমিশ্রনে তেরি না হয়, তাহলে যা হয়! সেক্টর ভিত্তিক যোগ্যতম লোক খুবিই কম। ফলাফল: বিশাল বেকারত্বের ভার জাতির ঘাড়ে। সার্টিফিকেট আছে নেই যোগ্যতা।

আমি মেধাবি আমার সেই জগতে। হ্যাঁ সবচেয়ে বড় জিনিয়াস। কারন বিধাতা আমাকে সেই মেধা দিয়ে পাঠিয়েছেন। শুধু দরকার সঠিক পরিচর্যা। তাহলে আপন ভুবনে আমিই রাজা। আমিই তো পারি আমার মেধা দিয়ে বিশ্বকে নতুনত্ব উপহার দিতে। বিশ্ব মনে রাখবে সারাজীবন আমাকে। এটিই আমার আমলে ছলিহা। যেমনিভাবে অর্ধশতাব্দি পর্যন্ত পৃথিবী শাষন করেছে মুসলিমরা।

আমাদেরকে নিজস্ব ভালবাসার জগত থেকেই লেখাপড়া শিখতে হবে। মন-মনন বুঝেই নিজের গোল ঠিক করা দরকার। পিতা-মাতাদেরকে অবশ্যই ছেলে মেয়ের মন-মানসিকতার দিকে লক্ষ রেখে স্বপ্ন দেখাতে হবে। আবেগকে না দমিয়ে বুদ্ধিমত্বার সাথে এগিয়ে দিতে হবে। তাহলে তেরী হবেনা বিতশ্রদ্ধা।

আমাদের দেশে আইনস্টাইন-এডিসন-বিল গেটসরা তেরী হয়না কারন আমরা জন্মের পরেই ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-বিসিএস হতে চাই। মেধার ভ্যারাইটি না ভেবেই পড়তে শুরু করি। শুরুহয় চোখবুঝে অাকাশে ওঠার গল্প। একসময় ঢপাস!

আমি যেমন আমার প্রিয় স্ত্রীকে ভালবেসে কাছে ডাকতে পারি। ঠিক তেমনি লেখা পড়াটা হতে হবে ভালবাসার সাথে। তাহলে স্ত্রীর মতো লেখাপড়া অবশ্যই আমাকে ভালকিছু উপহার দিবে। কারন ভালবাসা কখন বৃথা যায় না।

ছোটবেলায় পড়েছিলাম, বন্যরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃকোড়ে। আসলেই ব্যাপারটা তাই। গোলাপকে জুইয়ের সাথে মিলানো অসম্ভব। আবার জুইকে যদি হাসনাহেনার পাশে রাখা হয় তাও মানাবে না। একটার বিশেষত্ব গন্ধে অন্যটার সৌন্দর্যে। প্রত্যেকেই নিজের জায়গায় সে সুন্দর। সেখানেই তার বিকাশেত হতে দেওয়া উত্তম।

জাতিগত ভাবে আমরা দিনদিন পঁচে যাচ্ছি। যুব সমাজ ব্যস্ত নারী- মদ-টাকা নিয়ে। দেশ গোল্লায় গেলেও তাদের ঢের নেই। রাষ্ট অাছে ক্ষমতা নিয়ে। হাজার হজার লাশ পড়লেও তাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে।বিদেশী প্রভুরা আছে ধান্ধা নিয়ে। কি হবে দেশটার???

আব্দুর রহমান ভাই বলেছিল, পৃথিবীতে এমন কিছু রেখে যেতে হবে যাতে আমি মারা গেলে পৃথিবী বড় ধরনের ঝাকি খায়। আর দশটা মানুষের মত আমিও মারা যাব। তাহলে কেমনে হবে। আমি মারা গেলে পৃথিবী বুঝবে কেউ একজন প্রিথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। প্রশ্ন শুধু নিজের কাছে, কতটুকু পেরেছি?????

পঠিত : ৮৪৭ বার

মন্তব্য: ০