Alapon

আমাদের প্রতিক্রিয়া এবং রাসূল সা.-এর শিক্ষা...


তিনটা ঘটনা বলি।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সাহাবীদের নিয়ে বিসে আছেন। দূরে রাস্তা দিয়ে একটা লাশ যাচ্ছে। তিনি বসা অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে গেলেন।

সাহাবীদের কয়েকজন বললেন " নবী, আপনি দাঁড়ালেন কেনো? এ তো ইহুদীর লাশ"।

তিনি উত্তর দিলেন " সে মানুষ না? আমি মানুষের সম্মানে উঠে দাঁড়িয়েছি"।

আল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে উপাধি দিয়েছেন "রাহমাতুল্লিল আল আমিন" - সমস্ত পৃথিবীর জন্য রহমত; রাহমাতুল্লিল মুসলিমিন অথবা রাহমাতুল্লিল মুত্তাকিন বলে লিমিটেড করে দেননি। "I have sent you as a mercy of entire universe".

খন্দকের যুদ্ধের আগে মুহাম্মাদ (সাঃ) সাহাবীদের ডাক দিয়ে কিছু নির্দেশ দিয়ে দিলেনঃ

কোন মহিলাকে আঘাত করা যাবে না।

কোন শিশুকে আঘাত করা যাবে না।

কোন বৃদ্ধ / বৃদ্ধাকে আঘাত করা যাবে না।

কোন খ্রিস্টান পাদ্রীকে আঘাত করা যাবে না।

অহেতুক কোন গাছ কাটা যাবে না।

শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, সেই যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি যতটা সম্ভব কম করার জন্য কী চেষ্টা!

একদিন সাহাবীদের নিয়ে তিনি মসজিদে নববীতে বসা। এক বেদুইন এসে নিজের উট মসজিদে ঢুকিয়ে দিলো। তারপর সেখানে বসেই পেশাব করতে লাগলো।

কিছু সাহাবী তেড়ে গেলেন সেই বেদুইনের দিকে। নবী (সাঃ) তাদেরকে নিবৃত্ত করে বললেন

"তাকে তার কাজ শেষ করতে দাও"।

বেদুইনের কাজ সমাপ্ত হলে নবী সাঃ তাঁর পাশে গিয়ে বললেন

- তুমি যেখানে পেশাব করলা, এটি আমাদের পবিত্র ইবাদতখানা, তুমি কাজটা ঠিক করোনি।

এমন ব্যবহার পেয়ে বেদুইন অবাক।

আজকের দিনে কোনো হিন্দু ভদ্রলোক বায়তুল মোকাররম এ গিয়ে এই কাজ করলে আমাদের রি-এ্যাকশন কী হবে ভাবতেও ভয় লাগে। এটা বাদ দিলাম, একটি শিশু ও যদি গিয়ে পেশাব করে দেয়, এটা নিয়েই যে কত হুলস্থুল শুরু হবে। বাবা মাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, বাচ্চাদের মসজিদে আনা ঠিক না, এই ফতোয়া শুনতে হবে।

আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার আর পালন করার তৌফিক দান করুক।

লিখেছেন: নুরুল চৌধুরী

পঠিত : ৫৬০ বার

মন্তব্য: ০