Alapon

নতুন বর্ষবরণ এবং বোকা জাতির ঐতিহ্যের ইতিহাস!

বাঙালী জাতি যে একটি অদ্ভুদ জাতির নাম, সে কথা আমি অতীতেও অনেকবার বলেছি। এই জাতি বড়ই ভুলো মনা জাতি। এই জাতি ইতিহাস ভুলে থাকা জাতি। এই জাতিকে সহজ কথায় বলতে গেলে শর্টটাম্র মেমোরি লস জাতিও বলা যায়। কারণ কথায় কথায় হাজার বছরের ঐতিহ্য খুঁজে পান। কিন্তু ইতিহাস বোদ্ধারা বলে থাকেন এই জাতির বয়সই এখন পর্যন্ত হাজারের ঘরে পৌছায় নি। সেখানে ‘হাজার বছরের ঐহিত্য’ শব্দ একটি নিছক হস্যরত্নক শব্দ ছাড়া আর কিছুই নাহ। যেমন কোন কোন নেতাকে বলতে শোনা যায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন। আরে মশাই বাঙালীর বয়সটাই তো এখনো সহস্রাধিকের ঘরে পৌছানো সম্ভব হল না তার আগেই কথার মারপাছে এবং কন্ঠনালীর উচ্চাচাপে বাঙালীর বয়স হাজারও পার করে দিয়েছেন। সেই হাজার পেরিয়ে আবার সেখান থেকে একজন শ্রেষ্ঠ বাঙালী বাবুকেও ধরে এনেছেন। কি তাজ্জব বলুন তো! তবে এই জাতিকে মাথামোটা জাতি ছাড়া আর কিইবা বলা যায়!


আগামীকাল বাংলা নতুন বছর। সেই নতুন বছরকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণীর অতি মাথামোটা বিজ্ঞ ইতিহাস বিদরা হাজার বছরের ঐতিহ্যকে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। সেই হাজার বছরের ঐতিহ্যের নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা। অথচ বাংলাদেশে এই মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রচলন শুরু হয় ১৯৮৯ সাল থেকে। উক্তসালে চারুকলার গুটি কয়েক অকর্মন্য গাজাখোর শিক্ষার্থী এই মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল। ঐসময় বৈশাখ উদযাপনের প্রচলন শুধুমাত্র ঢাকা শহর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাগুলোতেই উদযাপন করা হতো। সেই গুটি কয়েক মানুষের উদযাপিত অনুষ্ঠানকেই কিনা আজ বলা হচ্ছে হাজার বছরের ঐতিহ্য মঙ্গল শোভা যাত্রা! 



এই বৈশাখী উদযাপন নিয়ে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক মরহুম হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন, ‘যাহাই ছায়ানট তাহাই পহেলা বৈশাখ’। অর্থাৎ ছায়ানটের এই অনুষ্ঠানটিকে নাম দেওয়া হয়েছে বৈশাখী উদযাপন। আর ছায়ানটের এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে গড়ে উঠেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা নামের একটি ধার করা সংস্কৃতি। এই ধার করা সংস্কৃতিকেই কিনা আজ রাষ্ট্রিয় ভাবে পালনের জন্য ঘোষনা প্রদান করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, হাজার বছরের এই ঐতিহ্যকে অবশ্যই পালন করতে হবে। মশাই মাত্র প্রায় ত্রিশ বছর আগেকার এই সংস্কৃতি-ই লাভ দিয়ে হাজার বছরের সংস্কৃতি হয়ে যায় কিভাবে?


তবে কি িএর পিছনে ভিন্ন কোন উদ্শ্যে রয়েছে? হ্যা! একটা উদ্দেশ্য হয়তো ঠিকই রয়েছে। তা হল মেয়েদের শরীরে হাত বুলানো। ২০১৫ সালের বর্ষবরন অনুষ্ঠানে এই সুশীল ব্যক্তিরাই কিনা নারীদের শরীরে হাতু বুলিয়ে নিজেদেরকে চেতনাধারী বলে প্রমান দিয়েছেন। আজ সেই চেতনাধারীরাই দাবি করছেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা রাষ্ট্রিয়ভাবে পালন করা হোক। এর মানে রাষ্ট্রিয় টাকায় একটু আমোদ ফূর্তিও করা গেল আবার হাজার বছরের ঐতিহ্যও পালন করা হল! হায়রে বাঙালৈী! তাই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, “রেখেছো বাঙালী করে মানুষ করো নি”।

পঠিত : ৪০৭১০ বার

মন্তব্য: ০