Alapon

চারুকলায় গরু গোশত নিষিদ্ধের প্রকৃত কারণ!


চারুকলায় গরুর গোশত নিষিদ্ধ! এই সংবাদ শুনে নিশ্চয়ই আপনি অবাক হয়েছেন। আমি কিন্তু অবাক হইনি। অনেক আগে থেকেই বলি চারুকলার সবগুলোই হিন্দু। আজ তারা নিজেরাই ঘোষনা দিল আমরা প্রকৃত বাঙালী মানে হিন্দু। আর বাঙালী মানে যে ‘হিন্দু’ তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।


তারা হিন্দু বলেই নিজেদের শোভাযাত্রার নাম দিয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই মঙ্গল শোভাযাত্রা যে শুধু হিন্দুদের তাই এটাকে বলা হয় বাঙালীদের ঐতিহ্য। তার মানে হিন্দুদের ঐতিহ্য। বাঙালী মানে যে হিন্দু, এই কথাটি আমার নয়। ইতিহাসবিদরাই বলে গেছেন বাঙালী মানে হিন্দু।


বিশিষ্ঠ সাম্প্রদায়িক সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্রোপাথ্যয় ‘শ্রীকান্ত’ নামক উপন্যাসের ১১৯ তম পৃষ্ঠায় বলেছেন, “ স্কুলের মাঠে বাঙালী (হিন্দু) ও মুসলমানদের মধ্যে ফুটবল খেলা চলিতেছে।


কুমুদনাথ মল্লিক তাঁর ‘নদীয় কাহিনী’ বইয়ের ১২১ তম পৃষ্ঠায় বলেছেন, “ বাঙালী মাত্রই সাধারণত হিন্দু গৃহস্থ। সাধারণত দেবদেবীতে তাদের তাহার চিরদিনই অচলা ভক্তি।”


ড.আসিত কুমার বন্দোপাথ্যয় ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃন্ত’ বইএর ৩৮ তম পৃষ্ঠায় বলেছেন, “বাঙালী (হিন্দু) মানসের পূর্ণ বিকাশের জন্য ব্রার্ক্ষ্র্যন্য সংস্কৃতি অত্যাবশ্যক ছিল।”


ড. জয়ন্তি মৈত্র তার ‘Muslim politics In Bengal' বই এর ৪০ তম পৃষ্টায় আরো স্পষ্ট করে বলেন, “জাতিগত,ভাষাগত ও সংস্কৃতিগত সাদৃশ্য থাকলেও বাঙালী হল হিন্দু। আর মুসলমানদের বলা হত বাঙালী মুসলমান।”


এইবার নিশ্চয়ই বিশ্বাস করবেন, বাঙালী মানেই হিন্দু। আর বাঙালীর ঐতিহ্য বলে শোভাযাত্রাটি মুসলিম জাতির উপর চাপিয়ে দিয়েছে ঢাবির চারুকলা ইনষ্টিটিউট। অবস্থাটি এমন দাড়িয়েছে যেন, চারুকলার ঐ ছোট্ট জায়গাটি আলাদা স্বতন্ত হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সেই রাষ্ট্র ঘোষনা দিয়েছে সেখানে গরুর গোশত নিষিদ্ধ।


আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। প্রতিরোধ গড়ে তুলি। এই হিন্দু রাষ্ট্রটিকে চলতে দেওয়া যায় না। এভাবে চলতে চলতে একসময় পুরো রাষ্ট্রটিকেই গ্রাস করে ফেলবে। প্রয়োজন হলে চারুকলার বকুল তলায় গরু জবাই দেওয়া হবে। গরু জবাই দিয়ে সেই গরুর রান বকুল গাছে বেঁধে চাছানো হবে। আর সেই গরুর গোশত চারুকলার বিভাগীয় প্রধানকেই কাঁচায় খেতে বাধ্য করা হবে। এটাই এই মুনাফিকদের শায়েস্তা করার একমাত্র উপায়!

পঠিত : ৬৮৯ বার

মন্তব্য: ০