Alapon

আজ নারীর অধিকার নিশ্চিত হয়েছে বৈকি!

সবকিছুই কেমন জানি উলট পালট লাগছে! দেশটার অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে  পুরো দেশ এইডস রোগে আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দিয়ে বাসায় ফিরছি এমন সময় দেখি রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুকাচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীডের এক ছাত্রী! তার ছেলে বন্ধুদের নিয়ে বেশ আরাম করেই সিগারেট ফুকাচ্ছে। এই দেশের উন্নতি হয়েছে বৈকি! আমি তাগড়া জোয়ান হবার পরও সিগারেটের ধোঁয়া সহ্য করতে পারি না। রিক্সায় উঠলে সিগারেট ফুকানো রত রিক্সাওয়ালা ভাইকে অনুরোধ করি, ‘ভাই দয়া করে সিগারেটটি ফেলে দিন! কষ্ট হচ্ছে’! আর ভিন্নদিকে আমার দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ছাত্রীরা আজ সিগারেট ফুকাচ্ছে। বিরাট উন্নতিই হয়েছে বৈকি। এই উন্নতি দেখে আমাদের নারীবাদী নেত্রী সুলতানা কামাল  এবং রোকেয়া প্রাচীরা নিশ্চয়ই প্রাণখুলে হাসছেন। যান বাঙালী ললনাদের অবশেষে শুভ বুদ্ধির উদয় হল। নারীবাদীরা নিশ্চয়ই বলবেন পুরুষরা সিগারেট খেতে পারলে নারীরা পারবে না কেন? সেই কেন এর উত্তর চুলটানা থুক্কু সুলতানা কামালরাই ভালো বলতে পারবেন। 



এতো মাত্র সিগারেট! সন্ধ্যার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা শহীদ মিনার চত্বরে একটা বার চক্কর দিলে বুঝতে পারবেন, আমাদের নীরা জাতিরা কতোদূর এগিয়ে গেছে। তারা সিগারেটের পর্যায় শেষ করে এখন গাজার পর্ব শুরু করেছেন। কেউবা গাজাও পেরিয়ে গিয়ে ‘বাবা’ ধরেছেন। এখন নেশাই তাদের মজা আর নেশাই তাদের আসল নেশা। ঢাবিতে পড়তে এসে নেশাই এখন তাদের আসল নেশায় পরিণত হয়েছে। আর  এই লক্ষ্য পরিবর্তন দেখে শাহবাগী এবং সুলতানা কামালদের আজ জয়জয়কার। তারা তো এটাই চায়। বাঙালীরা ঘরে বসে থাকবে কেন? তাদেরকে ঘর থেকে বের করে এইসব নেশার আসরে বসিয়ে দিতে পারলেই সুলতানা কামালদের স্বপ্ন পূরণ হয়। আর তাদের এই স্বপ্ন পূরণ হওয়াকে তারা নারী স্বাধীনতা এবং নারী অধিকার বলে চিন্হিত করে থাকেন। এটাই যদি নারী অধিকার এবং নারীর স্বাধীনতা হয়ে থাকে তবে এই নারী জাতির কপালে ভয়ানক দূর্দশা রয়েছে! এ কথা প্রায় চোখ বন্ধ করেই বলে দেওয়া যায়। তাহলে অপেক্ষায় থাকুন এবং চোখ খোলা রাখুন! সবই আপনাদেরকে নারী জাতির ভবিষ্যৎ জানিয়ে দিবে।

পঠিত : ৬৬৩ বার

মন্তব্য: ০