Alapon

ড মিজানুর রহমান আযহারী, তারেক মনোয়ার এখন সংসদে...


খুশির খবর অবশ্যই, হয়তো কয়দিন পরে তারা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যালেও যাবেন। প্রকৃত হকপন্থীদের বিষয়ে আল্লাহ পাকের চিরন্তন সুন্নাত কিন্তু এটাই। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সাহস রাখুন, আল্লাহ পাক উত্তম ফয়সালাকারী। যারা তদবির করছে তাদের হিডেন বন্ধুরা আপাতত আমলাদের চেয়ারে আছে, তাদের জননী এখন ফেরাউনের চাইতে অধিক ক্ষমতা হোল্ড করছে। ফলে দ্বীনের কাজে কিছুটা সমস্যা তো হবেই। হওয়াই উচিত নইলে সত্য মিথ্যা, মুমিন মুনাফেক, জালিম আর জালিমের সহযোগীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে না।

আমাদের ফরিদগঞ্জের ভোট চোরা, অটোমেটিক সাংবাদিক নেতা বনে যাওয়া, প্রেস ক্লাবের পরে হাসিনার কদম চুমে তার চয়েজে এমপি হওয়া শফিকুর রহমান সংসদে ড মিজানুর রহমান আর মাওলানা তারেক মনোয়ারের ওয়াজ নিয়ে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন। এই পাগলটাকে কে নামিয়েছে এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে হলে আপনাকে কিত্তনখোলার পড়া পানির ইতিহাস জানতে হবে। সাংবাদিক শফিকুর রহমানের উঠানের লোক কিন্তু চরমোনাইর খলিফা, সংসদ প্রার্থী। বুঝলে বুঝ পাতা,না বুজলে কচু পাতা। লিংক)

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে যুগ্ন সচিব পদে কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে গোয়েন্দা বিভাগে বিশেষ এক শাখায় দায়িত্ব্য পালণ করছে এমন একজন ভদ্রলোককে দিয়ে মিজানুর রহমান আযাহরীর মাহফিল বন্ধে পীর সাহেবের দলের তদবির খুব একটা কাজে না দেওয়াতে আসল খলিফার আত্নিয়কে দিয়ে সংসদেও ঢেউ তোলা পীরের ক্ষমতা নিয়ে যাদের সন্দেহ আছে তাদের জন্য একটি ঘটনা বলি। ঘটনাটি অস্বিকার করার সাহস কারো নেই, কারণ এটা মানুষের মুখেমুখে ছিলো।

বর্তমান চরমোনাইর প্রধান কার্যালয়টি কীভাবে দখল হলো, কীভাবে আসল মালিককে হটিয়ে ভবনটি জোর পুর্বক ভূয়া কাগজে দখলে নেওয়া হলো সেই ঘটনা সবাই তো জানার কথা! সেই অসহায় মালিকের কথা তো মনে আছে নিশ্চয়? অসহায় সেই ভদ্রলোক থানা পুলিশ, আদলতে ঠাই না পেয়ে মাওলানা মুহিউদ্দিন খান রহ (মাসিক মদীনার সম্পাদক) এর কাছে গিয়েছিলেন। তিনি মজলুম লোকটির পক্ষ হয়ে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করলে তাকে উত্তর দেওয়া হলো, সরকারের হাই লেবেল থেকে বিষয়টি দেখা হচ্ছে এবং চরমোনাইর ততকালিন পীর ফেবার পাচ্ছেন। আপনি এই কাজে জড়িয়ে বিপদে পরবেন না যেন।

পরের দিন অসহায় লোকটি মুহিউদ্দিন খানের কাছে গেলে তিনি বললেন, চরমোনাইর পীরর হাত যে এত লম্বা আমি তো আগে জানতাম না। আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন,কিছুই করার নেই। আল্লাহর কাছে বিচার দেন। এরকম পীরের সাথে টক্কর দিয়ে হেফাজতের মতো বিশাল সংগঠণ এক রাতেই নাস্তানুবুদ হয়ে গেছে। এরপরেও যারা ভাবে, পীরের সাথে ফাজলামো করে, তাদের সিন্ডিকেটের সাথে বাহাসে লিপ্ত হয়ে মাঠে কাজ করতে পারবেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।

এই ভুল রামগঞ্জ পানপাড়ার পাটওয়ারী বাড়ির লোকেরা করলো। অসহায় হিন্দুগুলোক কুয়াকাটা হুজুরের মাহফিলে না উঠিয়ে আযহারীর মাহফিলে তুলেছিল। এরপরে চরমোনাইর সকল ফেসবুক আইডি, ওয়েব পোর্টাল সিরিজ রিপোর্ট লিখে সন্দেহ ছড়াতে থাকে যে, আগের মুসলমানদের নতুন করে মুসলিম বানানো হয়েছে। মিডিয়ার চাপে পুলিশ সেই এগারো জনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের ভারতীয় হিন্দু নামের পাসপোর্ট জব্দ করে তাদের হিন্দু পরিচয়ে ভারতে পুশ ব্যাক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার চরমোনাইর লোকদের কলিজা ঠান্ডা হয়েছে।

Apu Ahmed

পঠিত : ৭৪২ বার

মন্তব্য: ০