Alapon

বিশ্বায়নের নতুন থিম, ইসলামিক প্রেম


কাসেম বিন আবুবকর কে নিয়ে বর্তমানে সরগরম মিডিয়া জগত। ইসলামিক প্রেম কি? প্রেমের ইসলামিক রিয়েলাইজেশন্টা কি হতে পারে? প্রেমের ইসলামাইজেসন কে কেন্দ্র করে দ্বিধাভক্ত টোটাল আস্তিক-নাস্তিক সমাজও।


আসল ব্যাপারটা আমাদের জানার বিপরিত হতে পারে। হেফাজাতের উত্থান কিংবা ইসলাম কে বর্তমান নোংরা প্রেমের মধ্যে গুলিয়ে ফেলার সংস্করন তেমন কিছু না। মুল ব্যাপারটা আরো গভীর। এটি বিশ্বায়নের একটা নতুন থিম।


যারা গ্রাহাম ই ফুলারের A world without muslim বইটা পড়েছেন তারা কিছুটা ধারনা পেতে পারেন। কাসেম বিন আবুবকর ফ্যাক্ট নয়, ফ্যক্ট বিশ্বায়ন কি চাচ্ছে? তাদের বর্তমান থিউরি হচ্ছে, ”ইসলাম নাম ধারি এমন কিছু ব্যক্তিদের কে ইসলামের মডেল হিসেবে উপস্থাপন করা, যাদের ব্যক্তি জীবনে প্রাকটিসিং ইসলাম নয়। যাদের দিয়ে ইসলামের উপকার হবেনা কিন্তু ইসলামের স্পর্সকাতর জায়গায় আঘাত কিরা যাবে। ক্রমান্নয়ে ইসলাম থেকে ডিটাস করার সহজ হবে। আবার তাকে ব্যবহার করে পাশ্চাত্য তাদের স্বার্থ ঠিকই উদ্ধার করতে পারবে।”


মালালাকে আমরা সেরকমই দেখেছি। সামনের বিশ্বে আমরা এরকম কিছু ইসলামিক আইডিয়লকে হয়তো দেখতে পাবো? যাদেরকে হঠাৎ করে ইসলামিক মডেল হিসেবে জাতির সামনে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। একই প্রসেস কাসেম বিন আবু বকরের ক্ষেত্রেও প্রযোয্য। যিনি মিডিয়ার কল্যানে জিরো থেকে হিরো।


আবার এটির মাধ্যমে খোদ ইসলাম পন্থিদের মাঝেই বিভক্তি শুরু হয়েছে। সেই হিসেবে পাশ্চত্যর কিংবা বিশ্বায়নের নতুন থিম বা ধাধাটা মুসলিমদের জন্য এপ্রপিয়েট। আর এটার জন্য কাসেম বিন আবু বকর ছাড়া অন্য কাউকে বাংলাদেশে তারা পাইনি। যিনি মধু দিয়ে বিষ তৈরী করতে পারেন। মারহাবা!!! সফল একটি থিম বাংলাদেশে প্রয়োগ সম্পর্ন হলো। ফলাফল ভবিস্যতের জন্য অপেক্ষারত।


ব্যাপারটা যদি একটু অন্যভাবে চিন্তা করা যায় তাহলে ক্ষতি কি? কাসেম বিন আবু বকর আর দশটা উপন্যাশিকের মতই একজন উপন্যাশিক। কি বাম লেখক আর ডান লেখক,তাকে একজন লেখক হিসেবেই চিন্তা করতে পারাটা উদারতা কিনা জানিনা। সমস্যা হল ইসলামের সাথে গুলিয়ে ফেলা। এতে সমস্যা দুদিকেই বেড়েছে। ইসলামিকরা তাকে নিজেদের চিন্তা করতে পারছে না, আবার বাম-রামরা ভাবছে ইসলামী শক্তির আবির্ভাব হিসেবে। কারন ইসলাম মানেই তাদের কাছে এক ধরনের আস্বস্থি।


কিন্তু সত্য কথা হল কাসেম বিন আবু বকরের বড় ধরনের জনপ্রিয়তা আছে। যেখানে হুমায়ুন আহ্মমেদও পৌছাতে পারেনি। বই বিক্রিতা থেকে লেখক হিসেবে আসার বড় কারন, গ্রামিন কালচার, সমাজ নিয়ে অন্য লেখকদের আগ্রহ কম থাকা। আর তিনি সে কাজটাই করেছেন। যেখানে গ্রামিন পরিবেশ তার লেখায় বেশি ফুটে উঠেছে। যার কারনে গ্রাম-গঞ্জে বিয়ে,মেয়ে দেখা, জন্মদিনের উপহার কিছু ক্ষেত্রে কাসেম বিন আবু বকরের বই-ঈ দেয়া হয়। কওমি থেকে হুজুর লেভেলের কিছু মানুষের প্রিয় বই এখনও এগুলো। ইসলামিক ঘরনার ছেলে-মেয়েরা এখনও কিন্তু এই বই-ই পড়ে। হোক সেটা লিগাল-ইল্লিগাল। গ্রামের লাইব্রেরী খুজলে এখনো ফুটন্ত গোলাপ,বোরকা পরা সেই মেয়েটি, বিদেশি মেম,শরিফা বইটি হয়তো পাওয়া যাবে।


যতই তার পক্ষে বিপক্ষে লেখা লেখি হোক না কেন। বিশ্বায়নের মোড়লরা যদি চান তিনি ফোকাসিং হবন-ই। স্বন্দেহ নেই তার বই বিক্রি আগের চেয়ে বেড়েছে, আরো বাড়বে। অবাক হবনা কাসেম বিন আবু বকর যদি আগামি দিনে কোন গুরুত্বপুর্ন আসনে বসে জাতির নেতা হন। কারন আমরা যে বিশ্বায়নেরই একটা বড় অংশ। কথায় বলে, গরিবের বউ সবার ভাবি। আমাদের অবস্থা অাজ সেরকম নয়কি??


(লেখাটা একবারেই নিজস্ব ব্যক্তিগত চিন্তা থেকে কারো মনের মত নাও হতে পারে অথবা ভুল হতে পারে। ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)

পঠিত : ১৬৩৫৪ বার

মন্তব্য: ০