Alapon

আর কতো নামবো আমরা? এসবের শেষ কাথায়?



যেভাবে শুরুঃ বানিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের আরামবাগ। বিখ্যাত গরিবের খিচুড়ির দোকানে বসে আছি নাজমুল ওরফে ইউসুফ ভাইয়ের সাথে। দোকানদা রসুভাই জিজ্ঞাসু চোখে জানতে চাইলেন, আচ্ছা ভাই! কেউ যদি বলে আমাকে কিডনাপ করা হয়েছে, কিছুদিন পরে বলে, আমি ভাল আছি টেনসন করোনা, আবার কিছুদিন পরে যদি তার জামাইকে বলে, আমাকে একজন পছন্দ করে সে জোর করে নিয়ে এসেছে। তাহলে তার নিয়ে টেনশন করে কি লাভ আছে?


 




আমি বললাম, ও আচ্ছা! তাকে জোর করে নিয়ে গেছে, সে যাইনি  তাইতো?? একেতো একজনের বউ, আবার নিয়ে গিয়েছে অন্যজন। ইদানিং অন্যের বউ নিয়ে যাওয়ার প্রবনতা দিন দিন বেড়েছে। দিনে দিনে মসা-মাছির মত বংশ বিস্তার করে চলেছে পরকিয়া,ফ্রি-সেক্সুয়ালিটি,হোটেল গুলোতে তো আজ নামিদামি বিশ^বিদ্যালয় গার্ল আর বড়লোকের আদুরে মেয়েদের হানিমুনের যায়গা। ভার্সিটি গুলোতে তো বাম-রাম সংগঠনগুলো অনেক আগে থেকেই ফ্রি-সেক্স এর জন্য নিজেদের আন্দোলন পরিপক্ক করেছে।

সেক্স থিউরিঃ 
কিছু বুদ্দিজীবি দাবী করে বিশ্বের উন্নতির প্রধান সমাস্যার মধ্যে অন্যতাম সেক্সুয়াল সমস্যা। এটাকে নির্দিষ্ট কারো জন্য অথবা কন্ট্রোল না করে উন্মোক্ত করে দেওয়া ভাল। অর্থাৎ পারিবারিক প্রথা না রেখে সেক্স উন্মুক্ত কর দিলে এটাতে আর কোন সমস্যা থাকবে না। যেহেতু সবাই চাইলে বাধাহীনভাবে সেক্স করতে পারবে সেহেতু কোন ধর্ষনের ভয়ও থাকবে না। (প্লোটো,থমাস হবস,রুশোদের সামাজিক থিম ঠিকই এমন)।




 




এধরনের বুদ্ধিজীবিদের সমালোচনা করতেও আমার রুচিতে বাধে।




পেরিক্ষিত বাংলাদেশঃ বাংলাদেশ পারসপেকটিভে রেইট্রি হোটেল কিংবা সিনেমা জগতের রমরমা খবরগুলো বর্তমানে আলো ছড়াচ্ছে বখাটেদের। পত্রিকার পাতা,টিভির স্ক্রলবারে আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতা খুললেই প্রথম ১০ টি নিউজের মধ্যে পরকিয়া আর ধর্ষনের খবর নাই এমনটা ভাবা যায়না। চেয়্যারম্যান-এমপি থেকে শুরু করে শিক্ষক-ছাত্র সবার মাঝে শুধু অনৈতিক কাজ টাইফয়েডের মত বেড়েছে। অনেকটা সাভাবিক ভাবেই অনৈতিক কাজগুলো সমাজ স্বীকৃতি দিচ্ছে। কারন সমাজের নেতা-নেত্রীরা যে আবার তারাই। অন্ধরা যে আজ বেশীই দেখে। নেতারা যে আজ অভীশাপ জাতির জন্য।




 




মেয়ের ধর্ষনের বিচার না পেয়ে বাবা-মেয়ে এক সাথে ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে আত্বহত্যা। চতুর্থ শ্রেণীর মেয়ে প্রেগনেন্ট। বিশ^বিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে মাকে বলল মা, জিনের বাতাশ লেগে তার পেটে যেন কি হয়েছে। অবশেষে ডাক্তার বললেন পেটে বাচ্চা। তনু, আফসানারা তো জীবন দিয়েও প্রমান করেছে। এক ঐসী কারাগারে থাকলেও হাজারো ঐসী তো এখনও ডিজে পার্টিতে কলা ফুলিয়েই যাচ্ছে।




এরকম হাজারো ঘটনা ঘটছে ঘটবে কিন্তু আমাদের বিবেক নাড়া দেয়না। আমাদের বিবেক আজ ঘুনে ধরা নিস্বচল যাত্রী। ফিরবে কি বিবেক আমাদের?


 




মিথ্যে প্রজঞ্চনাঃ সিনেমার নায়িকার ছুটছেন ইজ্জত বিলিয়ে ক্যারিয়ারের নেশায়। আধুনিক গৃহবধুরা মজেছেন ক্ষনিক সুখের আশায় ইমোশনাল পরকিয়ায়। বিশ্বিবিদ্যালয়ের মেয়েরা ব্যস্ত আজ ক্যারিয়ার গড়ার বিলাস স্বপ্নে। টিভি বিজ্ঞাপনে আজ নারী শরীরের অশ্লীল কুসুম কোমলে ত্বকে ভরা। দিনে দেনে নারীরা হয়ে উঠেছে ব্যবসার আকর্ষনীয় পন্য। 




প্রশ্ন রাখিঃ যদি প্রশ্ন করা হয় এপথে তোমাদের কে ডেকে এনেছে? রেইনট্রি হোটেলের দুই মেয়েকে যদি বলা হয় কেন তোমরা এতো রাতে সেখানে? ”মা”কে যদি বলা হয়, আপনার বয়স ৪০, আপনি হিজাব পরেন ঠিকই অথচ আপনার মেয়ের বয়স ২২, তাকে কেন হিজাব পরান না? ”বাবা”কে যদি বলা যেত, গতকাল আপনি-আমি একসাথেই বসেই তো ইমরান হাসমির তেরেবিন মুভিটি দেখে বেশ মজা পেয়েছিলাম। কিন্তু আজ সেই আমিই ভাবিকে নিয়ে পালিয়ে গেলে অপরাধ হবে কেন? স্বামীকে যদি বলা হয়, ডিজে পার্টিতে আপনার বউকে আপনি কেন মাতাল হয়ে অন্যের হাতে তুলে দিয়েছিলেন? বান্ধবিকে যদি প্রশ্ন করা যেত, সেদিন ক্লাস পর্টিতে-তো তুমি তোমার শরীরের কুসুম কোমল আর উচু-নিচু ভাজ দেখিয়ে আমাদের মোহিত করতে চেয়েছিলে। আমরাও সেদিন তোমার সৌন্দর্য দেকে হাতে তালি বাজিয়েছিলাম। কিন্তু আজ তোমার সেই শরীরটা একটু পেতে চেয়েছি, তাতে দোষ হবে কেন? সেটাতো তুমিই চেয়েচিলে! কেন দোষ হবে সাফাত-নাঈমদের? অপরাধ শুধু তাদের? তোমরা কি অপরাধী নও? 




 




বাস্তবতা হল, মানুষ সবসময় নির্যাতিতের পক্ষেই থাকে। গড়ি এক্সিডেন্ট করলেই দোষ কিন্তু ড্রাইভারের !!!! নিষ্পাপ তখন মানুস। আসলেই সবসময় কি তাই??




সমাজের এসব অপরাধর মাত্রা যেমন দিন দিন বাড়ছে। ঠিক তদরূপ বাড়ছে অপরাধের কৌশল । সমাজের এসব ক্রাইমগুলো অনেকগুলো কাজের সমস্টি। এগুলোর জন্য দায়ী শুধুমাত্র অপরাধী নয় । আমি যদি অপরাধের পথ উন্মুক্ত করে অপরাধির শাস্তি চাই তাহলে তাহলে ঠিক হবেনা। বন্ধু-বান্ধবি একসাথে খাওয়া. ঘুরতে যাওয়ার এক পর্যায়ে যেয়ে ধর্ষিত হয়ে অধিকাংশ মেয়েরা। প্রথমে কিন্তু মেয়েগুলো সুযোগ করে দিয়েছে সবশেষে যেয়ে সে ধর্ষিত হয়েছে। আবার পারিবারিকভাবে আমরা অনেক অনৈতিকতার পথ খুলে দিয়ে তারপর এক স্টেপে যে সে নষ্ট হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে যদি এসব পথগুলো বন্ধ করা যায় তাহলে অনেক অপরাধ কমে যেত।


 




কি প্রয়োজনঃ ন্যাচারালি আমরা মানবিক দুর্বলতা নিয়েই জন্মগ্রহন করি। মানুষ কিছু কিছু সময় নিজের নিয়ন্ত্রন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তখন যেকোন অপরাধ করে বসতে পারে। এজন্য দরকার নিজস্ব গাইডলাইন। এরপর দরকার উপযুক্ত শস্তি। সমাজ থেকে অপরাধ কমাতে হলে নিশ^য় কিছু গাইড লাইন দরকার আছে।



 


  • চীরস্থায়ী গাইডলাইন । যেখানে নির্ভুলভাবে অপরাধের শাস্তি ও কারন বলা থাকবে। 

  • অপরাধের উপযুক্ত শাস্তি। যেখানে উচু-নিচু-রাজনৈতিক ব্যবধান থাকবে না। 

  • পারিবারিক, ব্যাক্তিগত ও সামাজিক সচেতনতা।

  • অবশ্যই আধুনিক তবে মোরাল আধুনিক। 

  • ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ। 


 



কোরআন যা বলেঃ ব্যভিচারিণী নারী ও ব্যভিচারী পুরুষ ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। (নূর: ২)




 




হাদীসে কি বলেঃ অবিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে শান্তি, এক শত বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর। আর বিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে একশত বেত্রাঘাত ও রজম (পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড)। (সহীহ মুসলিম)




এই হাদীস থেকে অন্য ফিক্বহের ফকীহগণ বলেন, যিনাকারী অবিবাহিত হলে তার শাস্তি দুটো। ১. একশত বেত্রাঘাত। ২. এক বছরের জন্য দেশান্তর।




আর হানাফী ফকীহগণ বলেন, এক্ষেত্রে হদ (শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত শান্তি) হলো একশত বেত্রাঘাত। আর দেশান্তরের বিষয়টি ক্বাযী বা বিচারকের বিবেচনাধীন। তিনি ব্যক্তি বিশেষে তা প্রয়োগ করতে পারেন।




ধর্ষণের শাস্তিঃ ধর্ষণের ক্ষেত্রে একপক্ষে যিনা সংঘটিত হয়। আর অন্যপক্ষ হয় মজলুম বা নির্যাতিত। তাই মজলুমের কোনো শাস্তি নেই। কেবল জালিম বা ধর্ষকের শাস্তি হবে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে দুটো বিষয়ঃ সংঘটিত হয়। ১. যিনা ২. বলপ্রয়োগ/ ভীতি প্রদর্শন।




 




এ আয়াত থেকে বিখ্যাত মালেকী ফকীহ ইবনুল আরাবী ধর্ষণের শাস্তি মুহারাবার শাস্তি প্রয়োগের মত ব্যক্ত করেছেন।




উল্লেখ্য, ধর্ষক যদি বিবাহিত হয়, তাহলে এমনিতেই তাকে পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে। কিন্তু সে বিবাহিত না হলে তাকে বেত্রাঘাতের পাশাপাশি বিচারক চাইলে দেশান্তর করতে পারেন। কিংবা অপরাধ গুরতর হলে বা পুনরায় হলে অবস্থা বুঝে মুহারাবার শাস্তি প্রদান করতে পারেন। 




 




ইসলামের আলোকে বাংলাদেশের ধর্ষণ আইনঃ




 




১. বাংলাদেশের আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে,




যদি কোন পুরুষ বিবাহ বন্ধন ব্যতীত ষোল বৎসরের অধিক বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তাহার সম্মতি আদায় করিয়া,অথবা ষোল বতৎসরের কম বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করিয়াছেনন বলিয়া গণ্য হইবেন৷


 




ইসলামের সাথে কিছু অসামঞ্জস্যতাঃ ইসলাম সম্মতি-অসম্মতি উভয় ক্ষেত্রে নারী-পুরষের বিবাহ বহির্ভূত দৈহিক মিলনকে দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা দিযছেন। কিন্তু এই আইনে কেবল অসম্মতির ক্ষেত্রে তাকে অপরাধ বলা হয়েছে। সম্মতি ছাড়া বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ইসলাম ও দেশীয় আইন উভয়ের চোখে অপরাধ। আর সম্মতিসহ সম্পর্ক ইসলামে অপরাধ, দেশীয় আইনে নয়।




 




এটি নৈতিকভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে সম্মতি সাপেক্ষে অনুমতি দেয়া হলে মানুষ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে উৎসাহী হয়; তার চাহিদা বিস্তৃত হয়। পরে এক পর্যায়ে সে জোরপূর্বক তার চাহিদা মেটাতে সচেষ্ট হয়। আবার কোনো ক্ষেত্রে শুরুতে সম্মতি থাকলেও পরে ভিন্ন কোনো কারণে সম্মতি ছিল না বলে বলা হয়।




সম্মতি আর অসম্মতির বিভাজনরেখা খুব ঠুনকো। এর দ্বারা ধর্ষণ কখনোই রোধ করা সম্ভব নয়।




 




একই ব্যক্তি তার স্ত্রীভিন্ন অন্য নারীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে যখন পার পেয়ে যাবে, তখন সে এক পর্যায়ে জোরপূর্বকও তা করবে। চাহিদাকে সীমিত না করে ধর্ষণ রোধ করার চিন্তা অমূলক।




পক্ষান্তরে ইসলাম মানুষের চাহিদাকে সীমিত করে দেয়। বিবাহ ছাড়া কোনো নারী-পুরুষ দৈহিক সম্পর্কে জড়িত হলেই তাকে অপরাধ বলে গণ্য করে। কাজেই জোরপূর্বক করাকে অনুমোদন দেয়ার তো প্রশ্নই আসে না।




২. আইনে সম্মতির বিষয়টি অপরাধের সীমা হওয়ায় ষোল বছরের বয়সের কথা বলা হয়েছে, যা পূর্বে চৌদ্দ বছর ছিল এবং পরে তা সংশোধন করা হয়েছে। অর্থাৎ ষোল বছরের কম কেউ সম্মতিক্রমে দৈহিক মিলন করলেও তা দন্ডনীয় অপরাধ হবে। এবং পুরুষ শাস্তি পাবে। তবে এক্ষেত্রে নারীর কোনো শাস্তি হবে না। (অবশ্য আইনে নারীর কোনো অবস্থায়ই শাস্তি হওয়ার কথা না। ধর্ষণ হলে তো নয়ই। ধর্ষণ না হলেও নয়। কারণ ধর্ষণ না হয়ে সম্মতিক্রমে হলে কারোরই শাস্তি হবে না।)




পক্ষান্তরে ইসলাম কোনো নির্দিষ্ট বয়সে উল্লেখ করেনি। বরং বিবাহ বহির্ভূত দৈহিক সম্পর্ককেই যিনা বলেছে, যা দন্ডনীয়  অপরাধ। এক্ষেত্রে নারীর সম্মতি থাকলে সেও শাস্তি পাবে। নতুবা পাবে না। তবে ইসলামে যে কোনো বিধান প্রযোজ্য হওয়ার জন্য বালেগ বা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া জরুরী। আর বালেগ হওয়ার বয়স ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হতে পারে। স্বেচ্ছায় সম্মতিতে কেউ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক করলে তাকে বালেগই ধরা হবে। কাজেই তার ওপরও শাস্তি  প্রযোজ্য হবে।




৩. আইনে ধর্ষণের কারণে মৃত্যু না হলে তার মৃত্যুদন্ড নেই। কেবল যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড। পক্ষান্তরে ইসলামে বিবাহিত কেউ ধর্ষণ বা যিনা করলে তার শান্তি রজম বা পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড।




আইনে ধর্ষণের কারণে মৃত্যু হলে তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আর ইসলামে ধর্ষণের কারণে মৃত্যু হলে সে প্রথমে যিনার শাস্তি পাবে। পরে হত্যার শাস্তি পাবে। হত্যা যদি অস্ত্র দিয়ে হয় তাহলে ক্বিসাস বা মৃত্যুদন্ড। আর যদি অস্ত্র দিয়ে না হয়, এমন কিছু দিয়ে হয় যা দিয়ে সাধারণত হত্যা করা যায় না, তাহলে দিয়াত বা অর্থদন্ড, যার পরিমাণ একশত উটের মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ (প্রায় কোটি টাকা)।




ধর্ষণের সাথে যদি আরো কিছু সংশ্লিষ্ট হয়, যেমন ভিডিও ধারণ, তা প্রচার ও প্রসার ইত্যাদি, তাহলে আরো শাস্তিযুক্ত হবে।

আদৌ কি সম্ভবঃ 
যদি বাংলাদেশে ইসলামের বিচারের আলোকে ধর্ষকদর শাস্তি দেয়া হত। নিশ্চিত সেখানে কেউ দ্বিতীয়বার ধর্ষন করার সাহস পেত না। কিন্তু বাস্তবতা হল এর বিপরীত। যারা ধর্ষনে সেঞ্চুরি করে উদযাপন করে তার আজ বাংলাদেশে ঢাকা বিশ^ব্যিালয়ের মত জায়গায় শিক্ষক  হয়। জতির দুর্ভগ্য আজ এখানে। ধর্ষকরাই চালায় দেশ,ধর্ষকরাই আবার বিচার করে। বলতেই হয় বিচারের বানী নিভৃতে কাদে। আর ধর্ষকরা হল ছাগলের তিন নম্বার বাচ্চা।  যাদের বিচার হবে ঠিকই কিন্তু পরক্ষনেই  . . . . . .। 


 



 

পঠিত : ১৪২৯ বার

মন্তব্য: ০