Alapon

১২ই মে, সুরাইয়া নক্ষত্র উঠলে কি করোনা শেষ হবে...?


সে অনেককাল আগের কথা। মাউন্ট অলিম্পাস পর্বতের মাথায় দেবতাদের যুদ্ধ লেগেছে। দেবতারা বিএনপি-আওয়ামী লীগের মত করে দুই ভাগ হয়ে মারামারি করতেছে। তাদের এক দলের নাম অলিম্পিয়ানস , এই দলে আছে জিওস,হেরা, এ্যাথেনা,এ্যাপোলো এবং আরো গন্য মান্য দেবতা । আরেক দলের নাম খুলনা টাইটান্স, থুক্কু, শুধু টাইটান্স। দলে আছে এ্যাটলাস, ইউরেনাস, ক্রোনাস ইত্যাদি হার্ড হিটার ।

১০ বছর ধরে Titan war চলার পরে যুদ্ধ থামল । অলিম্পিয়ানরা জিতল, আর টাইটানরা হেরে গেল। টাইটান দেবতাদের অনেককে ফাসি দেওয়া হল, অনেককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড বা অন্য শাস্তি দেওয়া হল।

দেবতা এ্যাটলাস কে আজব একটা শাস্তি দেওয়া হল । সে ঘাড়ে করে পুরা স্বর্গ ক্যারি করে দাঁড়িয়ে থাকবে পৃথিবীর সর্ব পশ্চিমের জায়গায়।

এই এ্যাটলাসের ছিল ৭ মেয়ে । মাইয়া, ইলেক্ট্রা, এ্যালসিওন, টাইগেট ,সেলেনাও, স্টেরোপ আর মেরোপ (বাংলায় - সন্নতি, সম্ভূতি, অনসূয়া, লজ্জা, প্রীতি, দেবসেনা)। এ্যাটলাস শাস্তি পালন করতে চলে গেছে । বাসায় যেহেতু বাবা নেই, এ্যাটলাসের এই ৭ টা মেয়েকে এলাকার বখাটে ছেলে অরিয়ন অনেক বিরক্ত করা শুরু করল।

৭ মেয়ে তখন দেবতা জিউসের কাছে দোয়া করল। দেবতা যাদু মন্ত্র দিয়ে এই ৭ কণ্যারে ঘুঘু বানিয়ে দিল।

অরিয়ন বলল, ঘুঘু দেখেছো, ঘুঘুর ফাদ দেখোনি। সে তখন ঘুঘুরুপী মেয়েদেরকে শিকার করার চেষ্টা করল।

মেয়েরা জিউসের কাছে দোয়া করল। ''ঘুঘু হয়েও তো আমরা শান্তিতে থাকতে পারছিনা। আমাদের একটা সাস্টেইনেবল সলুশন দেন। দেবতা হইয়া কি করেন ? সব কিছু এ্যাড হক বেসিসে সল্ভ করলে হবে,এ্যা ? ''
জিউস তখন বলল, যা তোদেরকে আকাশের তারা বানাইয়া দিলাম। এইবার তোরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমা ।

৭ টা মেয়ে আকাশের ৭ টা তারা হয়ে একসাথে বসে থাকল। একসাথে এদের নাম হল প্লাইডিস (Pleiades) ।ইংরেজিতে seven Sisters. বাংলায় কৃত্তিকা । আরবিতে সুরাইয়া । ফার্সিতে পারভিন।

অরিয়ন তখন প্লাইডিসকে ধরার জন্য সে ও আকাশের তারা হয়ে গেল । রাতের আকাশে প্লাইডিস এর একটু দূরেই দেখা যায় অরিয়ন (বাংলায় কালপুরুষ) নক্ষত্রমন্ডলী হাত পা উচিত প্লাইডিসকে ধরার জন্য দৌড়াচ্ছে।

২.

আকাশের তারকাগুলার কোনো মা বাপ নেই। একদম বানের জলে ভাইস্যা আইছে অবস্থা । কয়েকটা তারা একসাথে দেখে যে যেমন পারে তেমন প্যাটার্ণ বানায়। কেউ সেখানে বাঘ সিংহ দেখে, কেউ সাপ বিছা দেখে, আবার কেউ সেখানে সুন্দরী মাইয়া, নর্তকী দেখে । যার মনে যা আছে আরকি ।

তারকাগুলার এই প্যাটার্ন দেখে একেকজন একেকরকম গল্প ও বানায় । কারো গল্প যদি বেশি লাইক পায়, তাহলে সেই গল্প বেশি বেশি শেয়ার হয়। বেশি বেশি মানুষ সেই গল্পে বিশ্বাস করা শুরু করে।

প্লাইডিস কে নিয়ে বিকল্প গল্প ও আছে। টরাস (বাংলায় বৃষ) নক্ষত্রমন্ডলী এই প্লাইডিসকে ধরার জন্য ছুটতেছে। আর অরিয়ন (কালপুরুষ) লাঠি সোটা, ঢাল, তলোয়ার দিয়ে টরাসকে ঠেকানোর চেষ্টা করতেছে --এইরকম গল্পও পপুলার।

আরো একটা গল্প শুনাই। এইটা মিডল ইস্টের গল্প । সুরাইয়া (মানে প্লাইডিস/কৃত্তিকা) ৭ টা মেয়ে নয়। সুরাইয়া হচ্ছে মাত্র ১ টা মেয়ে। এই মেয়ের বয়ফ্রেন্ডের নাম হচ্ছে আল দাবরান । (ইংরেজি Aldebran, বাঙলা হলদীবরণ)। এই নায়ক আল দাবরান নায়িকা সুরাইয়াকে দাবড়াচ্ছে। মানে, ধাওয়া করছে ।

মোরগ যখন মুরগীকে ধাওয়া করে, মুরগী তখন লোক দেখানোর জন্য কিছুক্ষন দৌড়ায়। দৌড়াইতে দৌড়াইতে ভাবে, আমি কি বেশি জোরে দৌড়াচ্ছি একটু পরে ১০ মিটার স্প্রিন্ট শেষ করে মোরগের কাছে রেসে হেরে যায় সে, ইচ্ছাকরেই। আল দাবরানের দাবড় খেয়ে সুরাইয়া কতদূর পরে দৌড় শেষ করে, সেটাই দেখার বিষয়। তবে গত কয়েক হাজার বছর ধরে এদের মিলন হচ্ছেনা । সুরাইয়ার পিছনে আল দাবরান ছুটেই যাচ্ছে, মাইয়াটা ধরা দিচ্ছে না এখনো।

৩.

প্রাচীন সব সভ্যতার জ্যোতিষীরাই সুরাইয়াকে দেখেছিলেন। সুরাইয়াকে নিয়ে তাদের নিজেদের মত গল্প-মিথ বানিয়েছেন। গ্রীক, রোমান, আরব, ইন্ডিয়া থেকে শুরু করে, চায়না,জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ল্যাটিন আমেরিকাতেও সুরাইয়াকে নিয়ে গল্প পাওয়া যায়। বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্টে প্লাইডিস এর নাম আছে। কোরান শরীফের সূরা নজমে নাম হীন এক নক্ষত্রের কথা আছে, অনেকে দাবি করেন, সেটা সুরাইয়া ।


সাম্প্রতিককালে সুরাইয়া তারা নিয়ে নতুন হাউকাউ শুরু হয়েছে। একটি হাদিস পাওয়া গেছে, সেখানে বলা হয়েছিল , আকাশে সুরাইয়া উঠলে মহামারী থাকবে না। এই হাদিসকে সূত্র ধরে, অনেকে দুয়ে দুয়ে চার মিলিয়ে বলছেন ,রাতের আকাশে সুরাইয়া উঠলে (এ্যাপ্রোক্সিমেটলি ১২ মে) করোনো মহামারী পুরাপুরি চলে যাবে।

৪.

আকাশের তারা কে নিয়ে বানানো গল্প, এমনকি তারাদের নিয়ে বানানো প্যাটার্ন বা ছবিও ভিন্ন হতে পারে। আমি তারাগুলাকে যেভাবে লাইন টেনে মিলিয়ে মিলিয়ে গরু আকাচ্ছি, আপনি হয়তো সেটাকে ঘোড়াও আকাতে পারেন। আপনার দৃষ্টিভংগি বা ক্রিয়েটিভিটির উপর নির্ভর করে।

দেখা গেছে, আকাশের একই তারা বা নক্ষত্রমন্ডলীকে বিশ্বের সব মানুষই দেখছে, কিন্তু এর সাথে তারা একেক ধরনের ছবি/প্যাটার্ন মিলাইছে।

উদাহরনস্বরূপ উত্তর আকাশের ধ্রুব তারার পাশের ৭ টা উজ্জ্বল তারাকে ধরুন। ভারতীয়রা একে সপ্তর্ষিমন্ডল বলে। তাদের বিশ্বাস, ৭ জন ঋষি এখানে তারা হয়ে বসে বসে ধ্যান করছেন । নিজেদেরকে তারা একটা প্রশ্নবোধক চিহ্নের মত করে সাজিয়েছেন ।

নর্থ আমেরিকানরা একে হ্যান্ডেল ওয়ালা রান্নার পাত্র হিসেবে কল্পনা করেছে। একে নাম দিয়েছিল Big Dipper

ফ্রেঞ্চরাও একে রান্নার পাত্র হিসেবেই দেখেছে । তারা এর নাম দিয়েছে la casserole

ইংল্যান্ডের কৃষকরা এই একই তারকাগুলাকে কল্পনা করেছে তাদের ফসলের ক্ষেতের নিড়ানি হিসেবে

গ্রীকরা এটাকে দেখাছে একটা ভাল্লুক (Ursa major) এর ল্যাঞ্জা হিসেবে

উত্তর ইউরোপের লোকেরা এটা দেখে বলেছে, ঘোড়ায় টানা রথ/চ্যারিয়ট/ ওয়াগন যাচ্ছে আকাশ দিয়ে

চাইনিজ রা দেখেছে আরেকটু বেশি। তারা দেখেছে, আকাশের রাজা রাজ সিংহাসনে বসে বিচার করতেছে ।তার সামনে ২ জন বিচারপ্রার্থীও আছে।

মিশরের পোলাপান আরেকটু বেশি মাত্রায় হাই হয়ে গেছিল । তারা এখানে দেখেছে প্রথমে একটা ঘোড়া। ঘোড়ার সাথে দড়িতে বেধে এক কয়েদীকে ছেছড়াইতে ছেছড়াইতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর পিছনে একজন শিকারী ঘোড়াটাকে ধাওয়া করতেছে। শিকারীর পিঠে আবার একটা মরা কুমীর।

বিশ্বকবি রোদ্দুর রয়ের পক্ষেও সম্ভব না এত হাই হওয়া

৫.

আকাশে এইরকম ৮০/৯০ টা তারামন্ডলী আছে । একেকটায় একেক রকম কাল্পনিক ছবি । কোনো মন্ডলী সারা বছর থাকে আকাশে । কোনোটা নির্দিষ্ট মাসেই শুধু ওঠে।

এই ৯০টা মন্ডলীর মধ্যে ১২ টা মন্ডলী বেছে নিয়ে কমার্শিয়াল জ্যোতিষীরা রাশিচক্র বানিয়েছেন । মেষ, বৃষ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃ্শ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন--এই ১২টা রাশিকে ১২ মাসে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

জ্যোতিষীরা দাবি করেন, কোনো ব্যক্তি যে তারিখে জন্মগ্রহন করেন, সেই তারিখে আকাশে যে তারা মন্ডলী বেশি উজ্জ্বল থাকে, ওই ব্যক্তি সেই রাশির মধ্যে পড়েন। এবং সেই রাশির তারকা গুলাই তার ভবিষ্যত জীবন কন্ট্রোল করে।

এভাবে,মোট ১২ টা তারা মন্ডলী এইভাবে পৃথিবীর সব মানুষের ভাগ্য,জন্ম, মৃত্যু, ভবিষ্যত জীবন কে নানাভাবে নিয়ন্ত্রন করে। (১২ টা বাদে বাকি ৮০ টা তারামন্ডলোর কোনো বেইল নাই )

আচ্ছা, জ্যোতিষীরা কিভাবে দৈনিক পত্রিকায় রাশি গুনে গুনে বলেন, আজ যাত্রা শুভ, প্রেম অশুভ , টাকা পয়সা হাতে আসবে ইনশাল্লাহ ?
ইউজুয়ালি, তারা অতীতের কোনো ঘটনা রেকর্ড করে। তারপর সেই ঘটনার সাথে আকাশের চন্দ্র সূর্য গ্রহ নক্ষত্র মিলায় । এরপরে আবার আকাশে সেই সিকুয়েন্সে চন্দ্র-সূর্য-গ্রহ-নক্ষত্র যদি মিলে যায়, তখন তারা ভবিষ্যতবানী করেন, যে এখন এই ঘটনা ঘটবে।

একটা উদাহরন দেই। ধরুন, রাজা আকবরের জন্ম হয়েছিল, পূর্নিমা রাতে । তখন ধরুন, আকাশে বৃশ্চিক তারা মন্ডলী ছিল । এখান থেকে জ্যোতিষী সূত্র বানাল, বৃশ্চিক মন্ডলের পূর্নিমাতে যার জন্ম হবে, সে অনেক বড় রাজা/ মন্ত্রী/ এমপি/চেয়ারম্যান/ চাউল চোর/ঘুষখোর হবে। অনেক টাকা জীবনে আয় করতে পারবে ,বৈধ-অবৈধ সব উপায়ে।

আবার মনে করুন, ইখতিয়ার উদ্দিন বিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি যখন বাঙলা দখল করেন , তখন আকাশে কর্কট রাশি আর চাদের ৮মী । এই ঘটনা থেকে জ্যোতিষীরা সূত্র বানালেন , কর্কটের অষ্টমী তিথিতে সব সময় খারাপ কিছু ঘটবে/ মারা যেতে পারেন/ এ্যাক্সিদেন্ট করবেন/দূরের যাত্রা অশুভ/টাকা পয়সা খোয়া যেতে পারে/ শেয়ার মার্কেটে লস হবে/ফেসবুকে ক্রাশ আপনাকে ব্লক করে দিবে ইত্যাদি ইত্যাদি

৬.

প্রাচীণ যুগে রাজা বাদশা কিংবা সাধারন মানুষ এই জ্যোতিষীদের কথা বেশ গুরুত্ব দিয়ে শুনতেন। দীপ্ত টিভিতে ১৫০০ সেঞ্চুরির অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস নিয়ে বানানো 'সুলতান সুলেমান' টিভি সিরিয়াল দেখাচ্ছে এখন। এই সিরিয়ালে দেখা যায়, রাজা সুলেমান জ্যোতিষীর কাছ থেকে খবর নিচ্ছেন যে কবে সূর্যগ্রহন হবে। সূর্যগ্রহনের সময় কি কি ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হবে

সেই সময়ে মানুষ আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অনেক ঘটনারই কারন খুজে পেত না। কলেরা,ডাইরা,ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা প্লেগ কেন হয়--সেই কারন তাদের জানা ছিল না । ( আজ আমরা জানি যে রোগ জীবানু এক জনের কাছ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পড়লে রোগ হয়। কিন্তু ১৬০০ সালে অনুবীক্ষন যন্ত্র আবিষ্কারের আগে কেউ জীবানু সম্পর্কে কিছুই জানত না) । তারা তখন মনে করত, আকাশের গ্রহ নক্ষত্রের কোনো প্রভাবের ফলে এই রোগ হচ্ছে।

গ্লোবাল ওয়ার্মিং সম্পর্কে আজ আপনি জানেন । বঙ্গোপসাগরে উম্পুন নামক সাইক্লোন তৈরি হওয়ার এক সপ্তাহ আগেই আমরা জানতে পারি যে সাইক্লোন আসতেছে ।সবাই রেডি থাকি । কিন্তু প্রাচীন মানুষ জানত না। তারা হঠাত করে চলে আসা ঝড় বণ্যা শিলাবৃষ্টিকে মনে করত, আকাশের নক্ষত্রের কারসাজি।

গ্লোবাল পলিটিক্স সম্পর্কে আজ আপনি আমি কম বেশি বুঝি। কিম জং উন আমেরিকারে আসলেই বোমা মারবে নাকি হুমকি ধামকি দিয়ে চুপ করে থাকবে , কিংবা কাসেম সোলায়মানিকে খুন করার পরে ইরান কি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুন করার জন্য দৌড় দিবে নাকি ঠান্ডা থাকবে, সেটা আমরা কমবেশি অনুমান করতে পারি। কিন্তু প্রাচীণ মানুষ এত বুঝত না। তারা হঠাত লেগে যাওয়া যুদ্ধের পেছনে মনে করত আকাশের তারাদের হাত আছে ।

সেই সময়কার কমার্শিয়াল জ্যোতিষীরাও তাদের ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য এই বিশ্বাসগুলো মানুশের মাঝে ছড়িয়ে দিত।

৭.

বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে এখন আমরা বুঝতে পারছি , পৃথিবীর মানুষদের অসুখ বিসুখ, জন্ম মৃত্যু , ঝড় বন্যা সাইক্লোনের পিছনে আকাশের গ্রহ নক্ষত্রের কোনো ভূমিকা নেই। কিংবা অতীতে আকাশের অমুক চিপায় তমুখ নক্ষত্র থাকার সময়ে যে ঘটনাটা ঘটেছিল, আজকের আকাশে সেই তারকে উঠলে একই ঘটনা ঘটার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
অতীতে একবার সুরাইয়া নক্ষত্র উঠলে মহামারী সেরে গিয়েছিল বলেই এবার ও সুরাইয়া উঠলে করোনা বন্ধ হয়ে যাবে--এই সূত্রের কোনো ভিত্তি নেই। মধ্যযুগে ইউরোপে প্লেগ তো চলেছিল কয়েক বছর ধরে (1347-1351) । প্রতিবছরই সুরাইয়া উঠত নিয়মমত ,প্রতি মে মাসেই । কই , সুরাইয়া ওঠার পরে প্লেগ তো বন্ধ হয়নি। ইউরোপের ওয়ান থার্ড মানুশ মারা গেছিল এই প্লেগে।

কিংবা মনে করুন প্রথম মহাযুদ্ধের সময়কার স্প্যানিশ ফ্লু এর কথা। সেই মহামারীও তো কয়েক বছর ধরে চলেছিল , ১৯১৫ থেকে ১৯২০। সুরাইয়া আকাশে উঠে তো সেটাকে দমাতে পারেনি।

বেশি দূর যেতে হবে না। ২০১৩ তে আফ্রিকায় ইবোলা মহামারী শুরু হল। ৩ বছর পরে ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের পরে সেটা থামল। মাঝের ৩ বছর আকাশে সুরাইয়া থেকেও কিছু করতে পারেনি।

কাজেই সুরাইয়া কিংবা আকাশের অন্য কোনো গ্রহ নক্ষত্র অতীতে যেমন সূত্র মেনে কোনো ঘটনা ঘটাইতে পারেনি, তেমনি ফিউচারেও পারবে না। এদের নিজেদের সাইজ বড়, ওজন বেশি । কিংবা তাপ, আলো দেওয়া ছাড়া আর কোনো ক্ষমতা নেই এদের। মানুশের লাইফ কন্ট্রোল করার তো প্রশ্নই আসেনা।

৮.

বিজ্ঞান মনস্ক হোন। রাশিচক্র হিসাব না করে ঘটনাগুলোর কার্যকারণ বোঝার চেষ্টা করুন। আকাশের তারার দিকে না তাকিয়ে নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে পরিশ্রম করুন। মাথাটা কাজে লাগান। আপনার ভাগ্য আপনার হাতে, আকাশে না।

@Jahirul

পঠিত : ৪৮৬ বার

মন্তব্য: ০