Alapon

সৌদি বাদশাহ জালেমদের খাদেম।

জনৈক মনীষী বলেছিলেন, ‘বর্তমানে মুসলমান শাসকদের অবস্থা হাতির মত। হাতি যেমন কানের জন্য নিজের মস্তবড় শরীর দেখতে পারে না। তেমনি মুসলিম শাসকরাও ক্ষমতার মোহে পড়ে, নিজেদের মস্তবড় শক্তি দেখতে পারে না।’


ইখওয়ানুল মুসলিমিনকে সৌদি সরকার বহু আগে থেকেই নিজেদের হুমকি মনে করে। রাজতন্ত্রের জন্য হুমকি মনে করে। সেকারণে কয়েকহাজার ডলার খরচ করে মুরসি সরকারকে ক্ষমতা থেকে জেলখানায় পাঠাতে অগ্রনী ভূমিকা রেখেছিল সৌদি বাদশাহ খাদেমুল জালেম।


আবার অন্যদিকে সৌদি বাদশাহর মুখপাত্র টুইটে করে জানিয়েছেন, ‘কাতার খাদেমুল হারামাইনকে অপমান করেছে। এইরূপ অপমান করেছিল মুরসি সরকার। ফলে তাকে জেল বরন করতে হয়েছে। কাতারকেও মুরসির ভাগ্য বরণ করতে হবে।’ আর এইসব কর্ম ঠিকঠাকভাবে সম্পাদন করতে সৌদিআরব ইসরাঈলের সহযোগিতা কামনা করেছে। এইবার বুঝেন সৌদিবাদশাহ আসলেই খাদেমুল হারামাইন নাকি খাদেমুল জালেমাইন? এই মানুষরূপী শয়তানগুলো আসলেই জালেমের খাদেম।



ক্ষমতা। শুধু ক্ষমতার লোভে পড়েই সোদি সরকার আজ খাদেমুল জালেম। সৌদি সরকার আজ আমেরিকা ইসরাঈলের পোষা কুত্তায় পরিণত হয়েছে। আমেরিকা যদি বলে, ঘেউ ঘেউ কর তবে সৌদি কুত্তা বাদশাহও ঘেউ ঘেউ করে। আবার ইসরাঈল যদি বলে, ভাদ্র মাসের কুত্তাগুলোর মত নোংরামো কর। তবে বাদশাহ খাদেমুল জালেমাইন নোংরামো শুরু করে।


অথচ সৌদিসহ গোটা মুসলিম বিশ্ব যদি ঐক্যবদ্ধ হতো তবে, সৌদি সরকারকে আমেরিকা এবং ইসরাঈলের কুত্তা হয়ে থাকতে হতো না। এই পৃথিবী নিয়ন্ত্রনের ভার আমেরিকা বা ইসলাঈলের হাতে থাকতো না। বিশ্ব চালাইতো মুসলিম শাসকরাই। কিন্তু ঐ যে হাতির কানের মত ক্ষমতার লোভ মুসলিম শাসকদের চোখ ঢেকে ফেলেছে।


সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী বলেছিলেন, ‘ইতিহাস বলে, মুসলিমরা যেমন হাজার হাজার বীরের জন্ম দিয়েছে। ভিন্নদিকে মুসলিমরা তারও অধিক গাদ্দার জন্ম দিয়েছে।’


সৌদিআরবের বাদশাহ আব্দুল আজিজ যাকে কিনা খাদেমুল হারামাইন শরীফাইন বলা হয়। আসলে তিনি হলেন, খাদেমুল জালেম, খাদেমুল ইবলিস, খাদেমুল ট্রাম্প এবং খাদেমুল নেতানিয়াহু। এই খাদেম সাহেবই সম্ভবত মুসলিম জাতির মধ্যে সবচেয়ে বড় গাদ্দার। আল্লাহর লানত, এইসকল গাদ্দারদের উপর।


পঠিত : ১০৭৭ বার

মন্তব্য: ০