Alapon

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি নিয়ে কিছু কথা!

তুরষ্ক এখন মরিয়া হয়ে খুজতেছে যে কারা তাদের ব্যার্থ সামরিক ক্যু এর ইন্ধনদাতা। বহু লোককে গ্রেফতার এবং সংশ্লিষ্ট লোকদের চাকুরি চলে গেছে। ফেতুল্লা গুলেন কে নিয়ে তো আমেরিকার সাথে টানাটানি অবস্থা। আমেরিকার অসহযোগিতার কারনে বাধ্য হয়ে তুরষ্ক রাশিয়া বলয়ে ঢুকে পড়েছে। ইরান মহাখুশি। এখন সুখে দুখে ইরানী মন্ত্রী তেহরান- আংকারা দৌড়াদৌড়ি করে। সেই সংকটকাল রাত্রী থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত এবং একটা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কাতার তুরষ্ক ছোট খাট পার্থক্য ভুলে একই নৌকার যাত্রী। সৌদির হাতে সিসির মত একটা কুকুর থাকলে তুরষ্ককেও সাইজ করত। ইখওয়ানের মত তুর্কিরাও যে শেখদের জন্য হুমকি সেটা সৌদিগংরা ভাল করেই জানে। কিন্তু তুরষ্ক জন্যই কিছু কইতে পারে না। চেষ্টা যে করে নাই তা কিন্তু নয় । কিন্তু রাজাদের চেষ্টা এবং তন্ত্র মন্ত্র কাজে দেয় নাই। ব্যার্থ ক্যু যদি অব্যার্থ হইতো সৌদীরা পরদিন ঐ নায়ক কে রাজভোগের দাওয়াত দিত। মিশর থেকে শিক্ষা নিয়ে এরদোগানও এইটা বুঝে। এখানেই বড় মাইর খেয়ে যায় রাজাবাবুরা। 
.
তুরষ্ক এমন একটা দেশ যার সঙ্গ সবাই পেতে চায়। আর এখন তো উদিয়মান বিশ্ব শক্তি। আর এরদোগান নিজেও ঘাড়তেড়া টাইপের। পছন্দ না হলে কাউকে পাত্তা দেয় না। এখন তুরষ্ককে তার নিজের এবং আঞ্চলিক স্বার্থের জন্য কাতারের সাথে থাকতেই হবে। এছাড়াও উভয় দেশের কিছু কমন মিল আছে যেমন, 
১. ইসলামপন্থি দল গুলোর সাথে কাতার তুরষ্কের ভাল সম্পর্ক 
২. বিশেষ করে হামাসকে দুই দেশই প্রত্যাক্ষ সাপোর্ট দেয় 
৩. বিভিন্ন ফোরামে তুরষ্ককে নিঃর্দিধায় সাপোর্ট দানকারী দেশ কাতার 
৪. সংকোটকালীন সময়ে আলজাজিরা এরদোগানকে সাপোর্ট দিয়েছে 
৫. ইখওয়ানের ছায়া সংসদ তুরষ্কেই গঠিত হয়েছে 
৬. ব্যার্থ ক্যু এর সাথে আরব আমিরাতের প্রত্যাক্ষ সংযোগের 
৭. তুরষ্কের আরব বিশ্বে একমাত্র বিশ্বস্ত বন্ধু কাতার আর কাতারের কাংখিত বন্ধু রাষ্ট তুরষ্ক 
 .
কাতারের সাথে তুরষ্কের এত্ত গুলো রাজনৈতিক, আদর্শিক এবং আঞ্চলিক স্বার্থ জড়িত আর কাতারের দূর্দিনে আংকারা ঘোমটা দিয়ে থাকবে এত সহজ সরল নেতা এরদোগান নন। আমার মনে হয় কাতারের জন্য তুরষ্ক প্রত্যক্ষ যা করছে গোপনে তার অধিক সহযোগীতা করছে। একেই বলে বিপদে বন্ধুর পরিচয়। এখন ক্যু এর ইন্ধনদাতা হিসেবে আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে এরদোগান কি ব্যাবস্থা নেয় তা দেখার অপেক্ষা। 
.
খুব দ্রুত গতিতে চেঞ্জ হচ্ছে মধ্যপ্রচ্যের হিসেব কিতাব। নৈতিক ভাবেই আমাদের কাতার-তুরষ্ক-ইসলামী আন্দোলন বলয়ে থাকা উচিত। আর যারা সৌদি শেষ তো ঈমান শেষ বলে চিল্লাচিল্লি করতেছে তাদের মুল ঈমান ইতোমধ্যেই খতম হইছে টেরই পায় নাই। তরিকাওলাদের সহিহ তরিকার বোঝা নিয়ে এখন ছেড়ে দে মা কাইন্দা বাঁচি অবস্থা। ভরসা রাখুন সত্য এবং ন্যায়ের উপর, সৌদির উপর নয়।

পঠিত : ১২৫০ বার

মন্তব্য: ০