Alapon

টেন মিনিট স্কুলের ভন্ডামো এবং কিছু কথা...


আমি কারো নাম উল্লেখ করবো না।আমি জাস্ট বাঙ্গালির কিছু বেসিক ন্যাচার এবং কিছু লিবারেল ভন্ডামির ব্যাপারে কথা উঠাবো।

শায়খ আহমাদুল্লাহ সেদিন কোন এক অনলাইন স্কুল নিয়ে কথা বলার পর ঐ অনলাইন স্কুল থেকে একটা বিবৃতি দেয়া হয় বা আমি বলবো তারা বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়। শায়খ আহমাদুল্লাহরা শায়খ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের বুদ্ধিবৃত্তিক উত্তরাধিকার। মুমিন মুসলমানের করোনা হয় না টাইপ বয়ানে তাকে পাওয়া যাবে না, তার মুখ থেকে অধিকাংশ সময় বের হয় রুচিসম্মত জ্ঞানের কথা। কথাবার্তা শুনলে বোঝা যায় ইনি একজন দা'য়ী।

ঐ অনলাইন স্কুলটির প্রধান সাবস্ক্রাইবার কারা?? আন্ডার এজ ছেলেমেয়েরা। তারা সেখান থেকে পড়াশোনা শেখে। এই পর্যন্ত ঠিকই আছে। কিন্তু যখন, অনলাইন স্কুলটির সাথে জড়িতরা মোরালিটি শিক্ষা দেয়া শুরু করে, এবং সেই মোরালিটি এমন হয় যা দেশের প্রতিটি ধর্মের শিক্ষার সাথেই বেমানান, তখন এই ব্যাপারে প্রতিরোধ আসাটা অস্বাভাবিক কিছু না।

ঐ স্কুলটাকে অনেকে চ্যারিটেবল মনে করেন, দুঃখিত, জগতে চ্যারিটি বলে কিছু নাই। এভরি সিঙ্গেল থিং ইজ পলিটিক্যালি অর কমার্শিয়ালি মোটিভেটেড।

পলিটিক্যাল-কমার্শিয়াল মোটিভেশনের জায়গা থেকেই দেশে যখন ছাত্র আন্দোলন হয় তারা মুখ বন্ধ রাখে। কিন্তু তাদের স্কুলের ছাত্ররাই কিন্তু এসব আন্দোলনে মার খায়।
আবার এই কমার্শিয়াল মোটিভেশন মাথায় রেখেই সাধারন মানুষের প্রেসার খেয়ে তারা বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়, যে কারও ব্যক্তিগত মতের সাথে তাদের সম্পর্ক নাই।
নাহলে চ্যানেল আনসাবস্ক্রাইব হবে, ফলোয়ার কমবে, ভিডিও ডিজলাইক খাবে, ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক সমস্যা আছে। এই সমস্যাগুলা তারা ফেইস করতে চায় না। লাগলে সোহাগ ভাইয়ের সাথে সকাল বিকাল আরো ছবি আপলোড হবে।

স্লিপওভার খ্যাত লিবারেল ভন্ড ভাইয়াটি, এবং এলজিটিভির রং্ধনু পতাকা ওড়ানো অক্সফোর্ড পড়ুয়া ভাইয়াটির খুব সম্ভবত পরিকল্পনা আছে জার্মানী-ইউকেতে এসাইলাম নেয়ার।
বাঙ্গাল জাতের মধ্যে এমন অনেক পাবলিক আমার দেখার সৌভাগ্য হয়েছে যে দিনরাত রোহিঙ্গাদের গালি দেয়, কিন্তু দিনে মাত্র একশো পঞ্চাশ টাকার সুবিধার জন্য আবার রোহিঙ্গা আইডি কার্ড বানায়। এদের সংখ্যা কম না, অনেক।

দেশে এই এলজিটিভি-সমকামীতার যেসব লিবারেল পায়ুসেনাদের আপনারা দেখতে পান, এই লিবারেল পায়ুসেনাদের লিবারেলিজমে আদর্শ কতটা আর কতটা ভিসা পাওয়ার আকর্ষণ, তা এই মানসিকতা থেকে বরঞ্চ ব্যাখ্যা করা সহজ।

কালকে যদি বলা হয় বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের রেজিস্ট্রেশন হবে এবং এক লাখ রোহিঙ্গাকে ইউরোপের সিটিজেনশিপ দেয়া হবে, দেখবেন দেশে রোহিঙ্গা হওয়ার হিড়িক পড়ে যাবে।
যেকারনে রোহিঙ্গা হওয়ার হিড়িক পড়ে যাবে, ঐ একই কারনে দেশের উঠতি সেলেবদের মধ্যে এলজিটিভি হওয়ার হিড়িক পড়েছে। সত্তরের দশক থেকেই দেশে এই ট্রেন্ড চালু ছিল। ইসলামকে গালি দেয়া বা এই জাতীয় একটা কিছু করে, পশ্চিমে পলিটিক্যাল এসাইলাম নেওয়া, আর তা না পারলে দেশে নিজের এক্টিভিজমের জন্য পশ্চিম থেকে ফান্ডিং ম্যানেজ করা।

আব্বুর তসবিধরা হাতের ছবি দিয়ে সিমপ্যাথি নেয়া যে ভাইয়াটা দাবি করছেন তিনি হুমকির মধ্যে আছেন, এই দাবিটা নিয়ে আমার সন্দেহ হয়। আমার ধারনা, এই দাবি তোলা তার এসাইলাম সিকিংয়ের সেকেন্ড স্টেপ। এইরকম মাল বহু আগে থেকেই ইধার সে ওধার হচ্ছে এবং সামনেও হবে।

যেদিন ফান্ডিং শুকায় যাবে, সেদিন থেকে দেখবেন তোমার লাইফটা শুধুই তোমার, লোকের কথায় কান দিয়ে লাভ কি, এইসব কিউট বয়ানের এলজিটিভি যোদ্ধাদের যুদ্ধে ভাটা পড়বে।

অতএব, আমাদের 'অমুকে আমাকে হুমকি দিয়েতে আমি একম কি কব্বো লে...' এইসব মায়াকান্নাকে একেবারে উড়িয়েও দেয়া যাবে না, আবার সন্দেহও করতে হবে।

বাপের তসবি আর মায়ের তাওয়াফের ছবি আপলোড দিয়ে নিজের হারামীপনাকে যারা ঢাকতে চায় ঐসব ধর্মব্যবসায়ী থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

নিজে পলিটিক্যালি নিউট্রাল থেকে শত্রুর পলিটিক্যাল আইডিওলজি প্রচার করা একটা পলিটিক্স, একে পলিটিক্সের বাইরে থেকে দেখার কোন সুযোগ নাই।

- সজল

পঠিত : ৫৪৬ বার

মন্তব্য: ০