Alapon

ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নোবেল শান্তি পুরষ্কার নিয়ে কিছু কথা...



ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসেন মূলত America First and make America great again এই স্লোগান দিয়ে।তিনি আমেরিকাকে বিশ্বরাজনীতির মোড়লগীড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন।যার লক্ষণ ছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে সৈন্য কমিয়ে আনা।কিন্তু ক্ষমতার প্রথম দিগে তিনি ইরান,ভেনিজুয়েলা এবং উত্তর কোরিয়ার সাথে যুদ্ধাবস্থা তৈরি করেন।

ট্রাম্পেরর ক্ষমতার মেয়াদের শেষ ২ বছরে তিনি কয়েকটি দেশের মধ্যে কিছু চুক্তি সম্পাদন করার মাধ্যমে এখন বেশ আলোচনায় আসেন।যার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ২০২০ নোবোল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনিত হন।ট্রাম্প যেকারণে নোবেল পাওয়ার অন্যতম দাবিদার:

*ক্ষমতায় আসার পরেই তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সাথে কথায় জড়িয়ে পরেন এ নিয়ে যে কে কত বড় বোমা দিয়ে অন্যকে ধ্বংস করবে।কিন্তু এসব পরেও ট্রাম্প আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ার নেতার সাথে ২০১৮ সালে সাক্ষাৎ করেন।তার লক্ষ্য ছিল কোরিয়ান পেনেনসুলাকে পারমাণবিক বোমা মুক্ত করা।২বার সাক্ষাৎ করেও তিনি সাফল্য না পেলেও তিনি চেষ্টা করেন।

*সার্বিয়া এবং কসোভোর মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ২টি দেশ ঐতিহাসিক ইকোনমিক চুক্তি করেন যা শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেবে।

* ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় সাফল্য ইসরায়েল সাথে মধ্যপ্রাচ্যের গুরুপ্তপূর্ণ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের মধ্যে সম্পাদিত শান্তি চুক্তি যা আব্রাহাম চুক্তি নামে পরিচিত পায়।এই চুক্তি সম্পাদন ট্রাম্পের ২য় বারের মত প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে অনেকটা এগিয়ে দিবে এবং এ চুক্তির জন্যই তিনি নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হন।ট্রাম্প প্রশাসনের কূটনীতিক প্রচেষ্টায় আরব বিশ্বের আরও ৫ টি দেশ ইসরায়েল সাথে শান্তি চুক্তি করতে রাজি হয়েছে যা কিছু দিনের মধ্যেই প্রকাশ পাবে।

*এছাড়া ট্রাম্প ভারত,পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্নীর সমস্যার সমাধানে মধ্যস্থতার কথা বলেন।

*বর্তমানে ভারত এবং চীনের মধ্যে চলমান সীমান্ত বিরোধ নিরসনে ট্রাম্প দুপক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানান।

অল্প কিছু দিনের মধ্যে ট্রাম্পের এতগুলো চুক্তি কারার জন্য অনেকে তাকে Deal Maker হিসেবে সম্বোধন করছে।আমার মনে হয় এবারের নোবেল টা ট্রাম্পের প্রাপ্য।

- Mamun

পঠিত : ৩৪৮ বার

মন্তব্য: ০