Alapon

||ছাত্রলীগ : এবার তোরা মানুষ হ||

এমন কোনো দিন নেই। এমন কোনো মাস নেই যেদিন যে মাসে ছাত্রলীগ ধর্ষণ করে না। চাঁদাবাজি করে না। ভিন্ন দলের ভিন্নমতের কাউকে মারে না। পিটায় না।

প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটা কলেজে প্রতিটা গ্রামে মহল্লায় তাদের সন্ত্রাসী মাস্তানী চাঁদাবাজির রমরমা রাজত্ব চলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণে সেঞ্চুরি করে তা উদযাপন করে মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে। বুয়েট ক্যাম্পাসে নিরপরাধ আবরারকে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ২৮ অক্টোবর প্রকাশ্যে দিবালোকে লাশের ওপর নৃত্য করে। ২৮ ফেব্রুয়ারীতে পাখির মতো গুলি করে মাজলুম প্রতিবাদী মানুষকে খুন করে।

ধানের শীষে ভোট দেয়ার অপরাধে চারসন্তানের জননীকে ধর্ষণ করে। শিবির করে সেজন্যে লজ্জাস্থানে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাঁক দেয়া হয়! জামায়াত করে সেজন্যে মাসজিদে আল্লাহর ঘরে সিজদাহ্'রত অবস্থা থেকে টেনে হিঁচড়ে দাড়ি চেপে টেনেটুনে পিটিয়ে পিটিয়ে নিয়ে জেলে পুরে দেয়। ক্রসফায়ার করে জীবনের যবনিকাপাত ঘটায়। বন্দুকযুদ্ধের নাম দিয়ে মানুষের বুক খালি করে।

প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় প্রকাশ্যে দিবালোকে এরা খাদিজাকে কী নির্মমভাবেই না কুপিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে, তবুও এদের কিচ্ছু হয় না! এরা বুক উঁচিয়ে দাপিয়ে বেড়ায়।

এদের কাছে দেশ নিরাপদ নয়। এদের কাছে নিজ দলের ভাইও নিরাপদ নয়। সিগারেটের ধোঁয়া নিয়ে, গার্লফ্রেন্ডের ভাগ নিয়েও এরা মারামারি করে, খুন করে। দিনশেষে এরাই সোনার ছেলে। জাফর ইকবালরা এদেরই সাফাই গায়!

এদেশে এরা বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের নামে কর্মীদের নামে বর্বর মিথ্যেরবেসাতি তৈরি করে।স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষের ধোঁয়া তুলে এরা দেশের মানুষকে খন্ডে খন্ডে বিভক্ত করছে।

আশ্চর্য! বড্ড আশ্চর্য! এদেশে কথিত যুদ্ধপরাধের নামে পঞ্চাশ বছর পূর্বের কথিত ধর্ষণের সাক্ষী নাকি পাওয়া যায়, অথচ কালকে নৃশংস কায়দায় কুপিয়ে কুপিয়ে যে নিরাপদ জামায়াতের, বিনএপির কিংবা শিবিরের ছেলেটাকে হত্যা করা হয়েছে সেই বর্বর মানবতা বিরোধী অপরাধটার বিচার হয় না। সাক্ষী পায় না।

হাজারো মেয়েকে এরা ধর্ষণ করে তার ইজ্জত নষ্ট করেছে। হাজারো মাকে এরা বিধবা করেছে, সম্রম লুটেছে। চাল-ডাল চুরি করে গরীবের বুকে পেটে কষে লাথ্থি মেরেছে, তবুও এদের কিচ্ছু হয় না! কিচ্ছু না। এরা প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়ায়। এদেরকে কেউ কিছু করার নেই।

এদের এমন জাহালাত, এদের এমন নির্মমতা আর কতোকাল চলবে? এরা পারে কীভাবে স্বামীকে বেঁধে তাঁর প্রিয়তমার ইজ্জতে আঘাত হানতে? পশুর মতো ঝাপিয়ে পড়তে?

পশুর বিবেক আছে, এদের বিবেক নেই! এরা পশুর চেয়েও অধম! জানোয়ারের চেয়েও এরা নিকৃষ্ট! সভ্যতার কী ভয়ালরূপ করছে এরা!

তবুও তারা চেতনার শক্তিতে সোনার ছেলে! এরাই স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি! এদের হাতে বাংলাদেশ জিম্মি।

এই হায়েনাদের হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার কি কেউ নেই?

পঠিত : ৩৯৭ বার

মন্তব্য: ০