Alapon

তাওয়াক্কুলঃ মুমিনের প্রথম পরিচয়



‘I am a proud Muslim’ 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' কথাগুলো ফেসবুকের ইনফোতে থেকে যায়, কিন্তু আমাদের জীবনে, কথায়-কাজে কখনো সেটার প্রমাণটা ফুটে উঠে না।

হযরত ইবরাহীম আ. এর উদাহরণ দিয়েই শুরু করি।। নমরূদ যখন তাঁকে ভয়াবহ অগ্নিকুন্ডে পুড়ে মেরে ফেলার জন্য নিক্ষেপ করল, তিনি অগ্নিতে পতিত হবেন এমাতাবস্থায়ও হযরত জিবরাঈল (আ.) উপস্থিত হয়ে তাঁকে সাহায্য করার জন্য বার বার প্রস্তাব করলেন। কিন্তু তিনি উত্তরে বললেন : ‘আপনার সাহায্যের আমার কোন প্রয়োজন নেই, হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকীল’-আল্লাহ্ই আমার সাহায্যের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই আমার উত্তম কার্যনির্বাহক। সঙ্গে সঙ্গে সর্বশক্তিমান আল্লাহ হুকুম জারী করলেন: ‘হে অগ্নি তুমি ইবরাহীমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও’। (২১:৬৯)

হিজরতকালীন সময়ের সেই ঐতিহাসিক ঘটনা কি আমাদের কাছে কম।বিস্ময়কর? ঘাতক বাহিনীর চোখ এড়িয়ে বিশ্বনবী (স.) ও তাঁর সহচর আবু বকর (রা.) রাতের অন্ধকারে আশ্রয় নিলেন এক পর্বতের গুহায়। ঘাতকরা হযরতকে বিছানায় না পেয়ে বেরিয়ে পড়ল তাদের সন্ধানে। এক সময় পৌছে গেল সেই গুহার মুখে। তাদের পা দেখা যাচ্ছিল গুহার ভিতর থেকে। দারুনভাবে বিচলিত, সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লেন হযরত আবু বকর। এক্ষুনি বুঝি তারা গুহায় ঢুকে হত্যা করবে প্রিয় নবীকে। কী উপায় হবে আমাদের ! আমরা যে মাত্র দু’জন। হযরত প্রশান্ত চিত্তে নিরুদ্বিগ্ন ভাবে, মৃদু কন্ঠে বললেন : না, আমরা দু’জন নই, তিন জন। ‘লা- তাহ্যান ইন্নাল্লাহা মা’আনা’ তুমি চিন্তিত হয়োনা (হে আবু বকর)আল্লাহ আমাদের সঙ্গেই আছেন।’ (৯:৪০)

সত্যিই তাই ! ঘাতকরা দেখতে পেল একটি মাকড়সা গুহামুখে জাল পেতে বসে আছে। তখন তারা ধারণা করল , গুহায় নিশ্চই কোন লোক প্রবেশ করেনি, তাহলে এ জাল থাকতনা। তারা চলে গেল। আল্লাহ সূক্ষ্ম সামান্য একটি মাকড়সার জালের ঢাল দিয়ে তাঁর নবীকে রক্ষা করলেন।

ইমাম ইবনু তাইমিয়্যা তাঁর জীবনে আট বছর জেল খেটেই মরেছেন। অথচ তিনি কী বলেছিলেন, জানেন? বলেছিলেন, দুনিয়াতেও একটা জান্নাত আছে, আমি আমার হৃদয়ে সে জান্নাতের খোঁজ পেয়েছি।

ইউসুফ আলাইহিস সালামকে যুলায়খা অপকর্মের আহবান জানালে তিনি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলেন। চারিদিকে তাকিয়ে দেখেন প্রাসাদের সব দরজা বন্ধ, খোলার উপায় নেই।তবু তিনি দৌড়ে গেলেন দরজার কাছে, আল্লাহর নির্দেশে দরজা খুলে গেল।

মূসা আলাইহিস সালামের দৃঢ়বিশ্বাস ছিল তিনিই জিতবেন, কেননা আল্লাহ তাকে বিজয়ের ওয়াদা করেছিলেন। এদিকে সামনে অথৈ সাগর, পেছনে ফিরআউনের সৈন্য, সাথে ভীত ও হতাশ বনী ইসরাঈল। আল্লাহ নির্দেশ করলেন লাঠি দিয়ে পানিতে আঘাত করতে, মূসা আদেশ পালন করতেই সমুদ্রের বুকে পথের রচনা হল।

মারইয়াম বিনতে ইমরান আলাইহিস সালাম প্রসববেদনায় অধীর। খেজুর গাছের নিচে দাঁড়িয়ে পড়লেন। আল্লাহ নির্দেশ করলেন গাছ ধরে ঝাঁকাতে, তিনি ঝাঁকালেন আর উৎকৃষ্ট খেজুর পড়তে লাগল।

এরকম অগণিত উদাহরণ দেওয়া সম্ভব। এরকম আরো শত শত উদাহরণ খুজে পাওয়া যাবে ইসলামের ইতিহাসে। এই কয়েকটার উদাহরণ ই দেওয়া যাক। এখানে প্রতিটা বিষয়েই একটা কমন ফ্যাক্টর আছে। তা হল তাওয়াক্কুল

এর অর্থ হলো, ভরসা করা, নির্ভর করা। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে, বিপদে,কষ্টে আল্লাহর উপর ভরসা রাখা, আস্থা রাখা। এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক বিষয়। যা বান্দা মনের মধ্যে পোষণ করে থাকে। আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল বিষয়টি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱلۡحَيِّ ٱلَّذِي لَا يَمُوتُ﴾ [الفرقان: ٥٧]

‘‘আর তুমি ভরসা কর এমন চিরঞ্জীব সত্তার ওপর যিনি মরবেন না।’’ [সূরা আল ফুরকান, আয়াত: ৫৮]

আজ যখন আমাদের প্রিয় চাকরিটি আমাদের হাত থেকে চলে যায়, পরিবারে বিচ্ছেদ শুরু হয়, যখন সবাইকে হারিয়ে ফেলি তখন আমরা হতাশায় ডুবে পরি। মনে করি জীবনটা বোধ হয় এখানেই শেষ। অথচ, আমাদের কতো মুসলিম ভাই তাদের হারাম পেশা অনায়াসেই ছেড়ে দিয়েছে, আশেপাশের প্রিয় মানুষগুলো সবাই যখন দূরে সরে গিয়েছিল, সবকিছু যখন তাদের হাতছাড়া যাচ্ছিল তখন তো তারা এসবের আশঙ্কা করেননি। বরং তারা তাওয়াক্কুল করেছিল। তারা জানত যে আল্লাহ তাদের সাথে আছেন। আল্লাহ তাদের কোনো না কোনোভাবে সাহায্য করবেন।

আর যারা কষ্টের মধ্যেও ধৈর্য-নিষ্ঠার সাথে চেষ্টা করে, তাদেরকে সুখবর দাও।

কিন্তু সুখবরটা কিসের? সুখবর একটাই কিন্তু অনন্য। 'জান্নাতের নিশ্চয়তা'। মুমিনদের জন্য সুখবর একটাই। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই আয়াতে বলে দিলেন কী করলে আমাদের আর জান্নাত পাওয়া নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না।

আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যে বিষয়টিতে ব্যর্থ হই তা হল এই তাওয়াক্কুল অর্জনে। আমরা মুখে মুখে বলি যে আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি, তার কাজে তার কৌশলে আমরা বিশ্বাস করি কিন্তু বাস্তব জীবনে যখন আমাদের সামনে কোনো কঠিন পরিস্থিতি উপনীত হয় তখন আমরা দিশেহারা হয়ে পরি। আমরা তখন ভুলেই যাই যে যেকোনো বিপদ আপদে আমাদের মেইন কাজই হচ্ছে তাওয়াক্কুল করা। অর্থাৎ, আমাদের বুঝতে হবে যে আমাদের সাথে যাই হচ্ছে তা আল্লাহ প্রদত্তই একটি পরীক্ষা মাত্র এবং এর সমাধান হচ্ছে আল্লাহর উপর ভরসা করে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। কিন্তু আমরা বারংবার নিজের ভাগ্যটাকে দোষারোপ করা শুরু করি। আমরা বার বার বলি আমার কাছে যদি এই জিনিসটা থাকত তাহলে আমার জীবন আজ এমন হতো না, ওই প্রবলেম টা না থাকলে আমার জীবনটা আরো সহজ হয়ে যেত... এরকম অনেক কথা আমরা বলি। আমরা শুধু অন্যের কি আছে আমার কি নেই বা আমার কেন এটি নেই, কেন আমার জীবনটা এতো কঠিন -এইসব নিয়ে বিলাপ করতে থাকি। অথচ আমরা ভুলেই যাই এর একমাত্র সমাধানদাতা আল্লাহই।
আল্লাহ বলেন : ‘আল্লাহ কি তাঁর বান্দার জন্য যথেষ্ট নন? -আলাইসাল্লাহু বিকাফিন আবদাহু।’ (৩৯:৩৬)

সামান্য একটু অসুস্থ হলে আমাদের গার্লফ্রেন্ড এর কথা ঠিকই মনে পড়ে যায়, জটিল কঠিন সমস্যায় সাহসী, সুচতুর, অভিজ্ঞ উকীল নিয়োগ করে নিশ্চিন্ত হতে পারি, সন্তানটিকে উন্নতমানের বিদ্যালয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষকের কাছে সপে দিয়ে যদি নিশ্চিন্ত হতে পারি, তবে কেন সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর ক্ষমতার কথা ভুলে যাই। তিনিতো বলেই দিয়েছেন ‘যে আমার উপর তাওয়াক্কুল করে আমি তার জন্য যথেষ্ট’।

তবে হ্যাঁ, আমাদের মস্ত বড় একটা ভুল ধারণা আছে। মানুষ মনে করে আল্লাহর সাহায্য আসবে, এরপর সে কাজ শুরু করবে। অথচ নিয়ম এর উল্টোটাই। আগে কাজ শুরু করতে হবে।একজন ঈমানদার মানুষ ভালো ও কল্যাণকর বিষয় অর্জনের জন্য সকল ব্যাপারে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করবে, সার্বিক প্রচেষ্টা চালাবে আর ফলাফলের জন্য আল্লাহ তা‘আলার ওপর ভরসা করবে, তাঁর প্রতি আস্থা ও দৃঢ় ইয়াকীন রাখবে। বিশ্বাস রাখবে যে, আল্লাহ যা লিখে রেখেছেন ফলাফল তা-ই হবে। আর তাতেই রয়েছে কল্যাণ চূড়ান্ত বিচার ও শেষ পরিণামে। বাহ্যিক দৃষ্টিতে যদি আমরা তা অনুধাবন না-ও করতে পারি। এটাই তাওয়াক্কুলের মূলকথা।

হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, আমি রাসুল সাঃ কে বলতে শুনেছি,
" তোমরা যদি সঠিকভাবে আল্লাহর তাওয়াক্কুল করতে, তাহলে তিনি তোমাদের সেভাবে জীবনোপকরণ দিতেন, যেভাবে তিনি পাখিদের জীবনোপকরণ দিয়ে থাকেন- তারা সকালবেলায় ক্ষুধার্ত অবস্থায় বেরিয়ে যায়, আর সন্ধ্যায় ফিরে আসে ভরা পেটে।"

পাখিরা যখন ভোরবেলায় তাদের নীড় থেকে বেরিয়ে খাদ্যের সন্ধানে যায়, তারা কিন্তু এই চিন্তায় বসে থাকেনা যে আমরা বসে থাকবো, আল্লাহ আমাদেরকে খাবার দিয়ে যাবেন। বরং তারা সেই ক্ষুধার্ত অবস্থায়ই সেই বিশ্বাস নিয়ে বেরিয়ে যায় যে আল্লাহ তাদেরকে খাবারের সন্ধান দিয়ে দিবেন। এই বিশ্বাসটাই আমাদের অর্জন করতে হবে।
"Trust Allah but tie your camel" এই নীতিটা আমাদের অনুসরণ করে যেতে হবে।

লোহিত সাগরের পানির বুকে পথ তৈরি করা আল্লাহর জন্য কঠিন কোন কাজ না, এর জন্য মূসার লাঠির আঘাতের দরকার ছিল না। ইউসুফের জন্য দুয়ার খুলে দিতে দরজা পর্যন্ত দৌড়ে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না।কিন্তু ইউসুফ যাওয়ার পরই আল্লাহ দরজা খুলে দিলেন। মারইয়ামের জন্য খেজুর ফেলতে গাছকে ঝাঁকানোর কোন দরকার আল্লাহর ছিল না। তিনি চাইলে এমনিই ফেলে দিতে পারতেন।

কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনটি ক্ষেত্রেই আল্লাহ তার বান্দার পক্ষ থেকে একটা কাজ হবার পর সাহায্য করেছেন। অর্থাৎ আল্লাহ চান আমরা তার উপর ভরসা রাখি, পাশাপাশি নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা টাও করতে থাকি।

আল্লাহ আমাদের বারবার পরীক্ষায় ফেলবেন। এটা আমাদের জীবনের একটি বাস্তবতা। তিনি আমাদের পরীক্ষায় ফেলবেন আমাদের ধৈর্য ও তাওয়াক্কুল যাচাই করার জন্য।

وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنْفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ
এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। [সুরা বাকারাঃ১৫৫]

অর্থাৎ, আল্লাহ ক্লিয়ারলি বলেই দিয়েছেন তিনি আমাদের পরীক্ষায় ফেলবেনই। তবুও আমরা বারবার ভুলে যাই আমাদের জীবনের এইসব দুঃসময়গুলো কেবল আল্লাহর পরীক্ষামাত্র। আবার তিনি তাও বলে দিয়েছেন তিনি আমাদের কিভাবে কিভাবে পরীক্ষায় ফেলবেন। তা কি?

প্রথমত তিনি বলেছেন ভয়ের মাধ্যমে। তা কিভাবে? আমি ইসলাম মেনে চললে আমাকে সবাই অনেক হিউমিলিয়েট করবে, আমি দাড়ি রাখলে আমাকে সবাই জঙ্গি ভাববে, আমাকে চাকরি দিবেনা, আমি অন্যান্য দশ বারোজনের মতো আগের মতো পার্টি চিল করতে পারবোনা, আমার বন্ধু, কাছের মানুষগুলো হারিয়ে যাবে, হারাম উপায়ে অতো লাখ লাখ টাকা আমি অর্জন করতে পারবো না, সমাজে স্ট্যাটাস থাকবেনা আমার ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলো সবই শয়তানের কুমন্ত্রণা। আপনার আসল স্ট্যাটাস সমাজের কাছে নয়। আল্লাহর কাছে বৃদ্ধি করতে হবে। কবরের জীবনে, হাশরের ময়দানে আপনার সমাজের এই স্ট্যাটাস আপনাকে কোনো আযাব থেকে রক্ষা করতে পারবেনা। কিন্তু আল্লাহর কাছে যদি আপনি আপনার স্ট্যাটাস বাড়াতে পারেন, তখন পরকালের সেই শান্তিময় দুনিয়ার সামনে দুনিয়ার এই সামান্য দুঃখ আপনার কাছে কিছুই না।

তাওয়াক্কুলের ফল কিন্তু অতি উত্তম। যেটাকে বলা হয় পিস অভ মাইন্ড। তাওয়াক্কুলের আরেকটি উপকার হচ্ছে, এটি ইবাদতেরই একটা অংশ। সাইদ ইবনুল মুসাইয়াব রাহিমাল্লাহু বলেন, "সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে আব্দুল্লাহ ইবনুল রাদিআল্লাহু আনহুর দেখা হলে, তারা একে অপরকে বললেন, তুমি যদি আমড় আগে মারা যাও তাহলে আমার সাথে দেখা করে জানাবে, তুমি তোমার মালিকের কাছ থেকে কি কি পেয়েছ। আর আমি যদি আগে মারা যাই, তাহলে আমি দেখা করে জানাব।" এরপর একজন অপরজনকে জিজ্ঞেস করলেন, "আচ্ছা জীবিত মানুষের সাথে কি মৃত মানুষের দেখা হয়?" তিনি বললেন, "হ্যাঁ, তাদের আত্মাসমূহ জান্নাতের যেখানে চায় সেখানেই বিচরণ করে।" তিনি বলেন, "অমুক ব্যক্তি মারা গেল। তারপর স্বপ্নে সে তার সাথে দেখা করে বলল, তাওয়াক্কুল কর, আর সুসংবাদ লও। কারণ তাওয়াক্কুলের মতো আর কোনো কিছু আমি আর কখনো দেখিনি।"

তাই আমাদেরকে তাওয়াক্কুল বিষয়টি অবশ্যই আয়ত্ত করতেই হবে। আর কথায় কাজে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তা মেনে চলতে হবে। শুধু বিশ্বাস রাখতে হবে। আল্লহই মহান, তার ক্ষমতার বাইরে কিছুই নেই। বরং সবকিছুই তার ক্ষমতার অধীন। তিনি আমাদের পরীক্ষায় ফেলবেন এবং তিনিই আমাদের সমাধানের পথ দেখিয়ে দেবেন যদি আমরা তাওয়াক্কুল করি।

"যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট’। আল্লাহ রাব্বূল আলামীন আরো বলেন : ‘কষ্টের সাথেই তো স্বস্তি আছে। অবশ্যই কষ্টের সাথে স্বস্তি আছে। অতএব তুমি যখনই অবসর পাও একান্তে ইবাদত করো এবং তোমার প্রতিপালকের প্রতি মনোনিবেশ করো।"(৯৪:৭,৮)

পঠিত : ১০৯৯ বার

মন্তব্য: ০