Alapon

নারীবাদি আন্দোলনের প্রকৃত লক্ষ্য কী...?



নারীবাদীরা বাইরে থেকে সমান অধিকার চাই সমান অধিকার চাই বললেও ভেতরে ভেতরে তাদের অন্যতম দাবী হচ্ছে, নগ্ন হয়ে ঘুরতে চাই, অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা ছড়াতে চাই। যতদিন না পর্যন্ত তাদের এগুলোর লাইসেন্স দিবেন এই চাই চাই আন্দোলন চলবেই।
নাস্তিক এবং নারীবাদীদের সম্পর্ক বেশ ভালো শুধু তফাৎ হচ্ছে সব নারীবাদীরা নাস্তিক না, তবে সব নাস্তিক-ই নারীবাদী। বাংলাদেশেও একদিন পর্ণোগ্রাফি তৈরি হলেও হতে পারে। হতে পারে নিজস্ব পর্ণ ইন্ডাস্ট্রি থাকবে, নিজেদের তারকা থাকবে! এটা আমার ভবিষ্যৎ বাণী ও না আবার চূড়ান্ত মন্তব্য ও না, এটা কেবল আমার আশংকা। কারণ চোখের সামনে যা দেখছি তাতে এটুকু আশংকা হ‌ওয়াটাই স্বাভাবিক।

সমাজে কি হারে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ছে এটা নতুন করে আর কি বলবো বলেন। বাংলার জনতা যখন ধর্ষণের আন্দোলন করতে গিয়ে নারীবাদী আন্দোলন, ফ্রি মিক্সিং এর আবেদন, ওপেন কিসিং শো দেখায় তখন ধর্ষক জেলে বসে হাসে আর ভুক্তভোগী ধর্ষিতা বোনটি বাড়িতে বসে কাঁদে। কিন্তু না তারা তো ধর্ষণের প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছে। কেউ একজন বলেছিলো বাঙালি স্বার্থ ছাড়া কিছু করে না, কথাটা ঠিক‌ই। আন্দোলন করতে গেলাম ধর্ষণের কিন্তু একের পর এক মন্তব্য করছি ইসলাম বিদ্বেষী এটা কোন সাইন্স আমার বুঝে আসে না।
নারীবাদী হচ্ছে একটা গ্রুপ যাতে অংশগ্রহণ ও করা যায় আবার এর থেকে বের‌ও হ‌ওয়া যায়।

আর তারা অনেক বড় চক্রান্ত থেকে বেঁচে গেছে যারা নারীবাদীদের ভয়ানক ফাঁদ সম্পর্কে বুঝতে পেরেছে এবং এর থেকে ফিরে এসেছে। নারীর মর্যাদা কোথায় নেই বলেন? ইসলাম যেখানে নারীকে করেছে চিরসম্মানিত, তাকে দিয়েছে উচ্চ মর্যাদা সেখানে একজন মুসলিম নারীর নারীবাদী ফিতনায় পরা নিতান্তই বুদ্ধির ও ইসলামি জ্ঞানের অভাব। অনেকের আবার অভিযোগ ছেলেদের কারণে মেয়েরা নারীবাদী হয়! বোন আপনি দ্বীনদারিতা কে প্রাধান্য দেন, দ্বীনদার জীবনসঙ্গী গ্রহণ করেন দেখবেন আপনার স্বামী আপনাকে মাথায়ও তুলে রাখবে।

একজন জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি কি করে না বুঝে যে, পুরুষের সাথে আমাকে মেলালে হবে না। ছেলেরা স্মোক করলে আমার কেন করতে হবে, আমার কেন অর্ধউলঙ্গ হয়ে চলাফেরা করে বোঝাতে হবে আমি অধিকার পেয়েছি, ছেলেদের সমস্ত কাজ আমি পারবো না এবং আমার সকল কাজ‌ও তারা করতে পারবে না, এটাই তো নিয়ম আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তো দুই সৃষ্টিকে দুইভাবে তৈরি করেছেন।

কিন্তু মগজধোলাই এমনভাবে‌ই হয়েছে যে এসব চিন্তা করার সময় হয়না তাদের। জানেন তো দাজ্জালের অধিকাংশ অনুসারী হবে নারী, জাহান্নামের অধিকাংশ‌ই হবে নারী। হুম জানেন তবে সম্পূর্ণ ইমান ই তো আনতে পারেন নি জাহান্নামের ভয় কি করে পাবেন। নারীবাদী এজেন্ডা খুব সূক্ষ্মভাবে সমাজে অশ্লীলতা ছড়াতে চেষ্টা করছে। এর জন্য তাদের দরকার আমাদের বোনদেরকে ঘর থেকে বের করে আনা এবং অধিকারের মিথ্যা বুলি শুনিয়ে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাওয়া।

এই নারীবাদী এজেন্ডা চায় পরিবার ব্যবস্থা ভেঙে দিতে। নারী যতখুশি ততো ছেলের সাথে সম্পর্ক করবে উভয়ের সম্মতি থাকলে কোনো সমস্যা নেই ইটস হার চয়েজ! আর তাদের কাছে সন্তান জন্ম দেয়া অসম্মানের কাজ, পরিবার সামলানো অসম্মানের কাজ। এগুলো কি আপনার জঘন্য মনে হয় না বোন? দয়া করে সতর্ক হন। আমাদের বোনেরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে মাশাআল্লাহ তবে শিক্ষাঙ্গনে তারা নারীদের অহংকারী ও দাম্ভিক করে তুলছে। যার ফলে আজ স্বামীর সাথে স্ত্রীর ব্যবহারে আদব নেই, যার ফলে আজ অসংখ্য পরিবার ভেঙে যাচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ যারা এই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে বুঝতে পেরেছে‌ এবং সাবধান হচ্ছে সেসকল বোনেরা সার্থক, সার্থক তাদের শিক্ষা অর্জন।

আর দ্বীনি লেবাসের নারীবাদীদের বলছি, আল্লাহ কে ভয় করুন। একদিকে ইসলাম প্রচার আর অন্যদিকে নারীবাদী ফিতনা প্রচার বন্ধ করুন। নারীদের জীবন শিকলে আবদ্ধ না। নারী কোনো সস্তা জিনিস না যে হাতের নাগালে‌ই পাওয়া যাবে। নারী কোনো মূল্যহীন বস্তু না যে, ইন্টারনেটে টোকা মারলেই বা রাস্তায় বের হলেই তাদের শরীর দেখা যাবে। নারী হচ্ছে মূল্যবান হীরার ন্যায় যা চাইলেই দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না। নারী হচ্ছে সিন্দুকে রাখা গহনার ন্যায়, গহনা যেমন সিন্দুকে প্রোটেকশন দিয়ে রাখতে হয় তেমনি নারীকেও পর্দার প্রোটেকশন নিয়ে থাকতে হবে আর এটা শুধু প্রোটেকশন না, প্রথমত এটা আল্লাহর পক্ষ হতে ফরজ বিধান।

- Rifat

পঠিত : ৯৯৪ বার

মন্তব্য: ০