Alapon

একজন ব্যারিস্টারের গল্প



একজন ব্যারিস্টার। সে সরকারের প্রসিকিউটর। বিবাদী আসামীদের সাথে গোপনে যোগাযোগ করে। নিজেই যায় আসামীদের কাছে। গিয়ে ঘুষ গ্রহণ করে ক্যাশ টাকায়। প্রকাশ্যে বোরকাকে ঘৃণা করে। কিন্তু ঘুষ গ্রহণের সময় বিবাদিদের বাসায় ও রিসোর্টে যাওয়ার সময় বোরকাই পরে যায়।

সাথে নিয়ে যায় কেরানীকে। যখন ঐ ব্যরিস্টার মুখ খোলা অবস্থায় থাকে তখন তার কেরানী ফারাবি কেরানীই থাকে। কিন্তু যখন তিনি বোরকা পরে মুখ ও শরীর ঢেকে ফেলেন তখন ফারাবী তার পাশে থাকে তার স্বামী হিসেবে।

এ এক আজব চরিত্র! পাকিস্তানের এক সেনা কর্মকর্তার কাছে ঘুষ গ্রহণ ও সরকারের নথি তাকে সরবরাহ করেন ব্যরিস্টার। এই অপরাধে তার চাকুরি চলে যাওয়ার কথা। একইসাথে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে সাজা পাওয়ার কথা।

কিন্তু কেন যেন তার কোনো সাজা হয় না। সে অনেককে অনেক কিছু দিয়ে ম্যানেজ করে। এখানেও কোনো না কোনো ম্যানেজের ঘটনা ঘটেছে।

হাসিনা সরকারের দালাল হিসেবে তার বেজায় ক্ষমতা। সেই ক্ষমতার জোরে নিজের ভাই ও বৃদ্ধা মাকে বাসা থেকে বের করে পথে বসিয়েছে। তার বাবার সকল সম্পত্তি সে একাই দখলে নিয়েছে। এর বিরুদ্ধে মামলা হলেও মামলা কোনো গতি পায়নি।

ব্যারিস্টারের মা কয়েকবার সংবাদ সম্মেলন করে কান্নাকাটি করেছেন। অনেকের সহানুভূতি তৈরি হয়েছে। আমার অবশ্য হয়নি। এরকম একটি দুশ্চরিত্রা মহিলা তৈরিতে মায়ের ভূমিকা কম থাকে না। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন তার মেয়ে এতোদিন ভালো ছিল কিন্তু তার স্বামী অর্থাৎ ব্যারিস্টারের বাবা ১৭ সালে মৃত্যুর পর সে খারাপ হয়ে গেছে।

আসলে ঐ ব্যরিস্টার একদিনে খারাপ হয়নি। এখানে সেখানে খ্যাপ মেরে টাকা কামাতো। পরিবারের সবাই তাকে নিয়ে মেতে উঠেছিল। এখন যখন সে মূল দানবদের থেকে পাওয়ার পেয়ে নিজের মাকে কুক্ষিগত করলো তখনই সে খারাপ হয়ে গেল। হাহ!

যাই হোক ঐ ব্যারিস্টার তার মাকে সবসময় ভয় দেখাতো ডিবি, ডিজিএফআই ইত্যাদিতে আমার বন্ধুরা আছে। আর তোমরা বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমার বড় আপু ও ছোট আপু আছে। একদম গুম হয়ে যাবা। এই বড় আপু হলেন হাসিনা আর ছোট আপু হলেন রেহানা। এতে খুব ভয় পেত ব্যারিস্টারের মা। কারণ তিনি আগে থেকে তার মেয়ে থেকে শুনেছেন এসব ডাইনীদের কথা। তারা আসলেই মানুষ খেয়ে ফেলে।

শুনেছি তার মা সংবাদ সম্মেলন করে কান্নাকাটি করেও শেষ পর্যন্ত সামান্য সম্পত্তিও ব্যারিস্টার থেকে নিতে পারেন নি। তিনি ডাইনীদের কাছে তার মেয়ের বিরুদ্ধে বিচার চেয়েছেন। ডাইনীরা দেখলো এই বৃদ্ধা মহিলা তাদের কোনো উপকারে আসবে না। তাই তার আবেদনে কর্ণপাত করেন নি দুই ডাইনী। এখন তিনি ডাইনীদের রাজ্য ছেড়ে পালিয়েছেন।

ব্যারিস্টার নিয়ে এতো কথা বলার কারণ ব্যারিস্টার স্বঘোষিত ধর্ষিতা ও নূরু ঘোষিত দুশ্চরিত্রা মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেখে ভালো লেগেছে। কথায় আছে রতনে রতন চিনে, শুয়োরে চিনে কচু।

পঠিত : ৫৩৮ বার

মন্তব্য: ০