Alapon

ভোটের রাজনীতি ও একটি পর্যালোচনা, কেস স্টাডি বগুড়া

জন্ম বগুড়ায়। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বগুড়ার রাজনীতি নিয়ে চিন্তা করি। ‘বিএনপির ঘাঁটি’ খ্যাত বগুড়ার রাজনীতিকে ঠিকঠাক অধ্যয়ন করতে পারলে সামগ্রিকভাবে দেশের রাজনৈতিক হালচাল বুঝা সহজ। আগামী নির্বাচনের ‘টেস্ট ফিল্ড’ হিসেবে বগুড়াকে বুঝা খুব জরুরী। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, ক্ষমতা প্রত্যাশী বিএনপি এবং ইসলামপন্থীদের বড় দল জামায়াত- সকলের জন্যই বগুড়া একটা ‘প্র্যাকটিক্যাল রিসার্চ ফিল্ড’। আমি শিউর, বগুড়ার চলমান বাস্তবতাকে যে দল যত ভালভাবে স্টাডি করতে পারবে, তারা আগামী নির্বাচনের প্ল্যানিং তত ভাল করে প্রস্তুত করতে পারবে।


প্রথমেই বলি, আপনি যদি প্রিজুডিস ধারণা নিয়ে এই স্ট্যাটাস পড়তে থাকেন, আমার কিছু বলার নাই। আমার নিজস্ব রাজনৈতিক অবস্থানের উর্ধে থেকে নির্মোহভাবে বগুড়ার বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে অগোছালো কিছু কথা বলছি। রাজনীতি নিয়ে যাদের ন্যূনতম আগ্রহ আছে, তারা স্ক্রল করে নিচের অখাদ্য লিখাগুলো গলধকরণ করতে পারেন। বাকিদের এখানেই আসসালামু আলাইকুম।


বগুড়ায় জন্ম নেয়ার সুবাধে বিএনপির রাজনীতির ভেতর-বাহির জানার সুযোগ হয়েছে। দেশের সবাই নিশ্চয় জানেন, বগুড়া মানেই বিএনপির ঘাঁটি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া ১৯৭৮ সালের বিএনপি এখন ২০১৭ সালের যৌবনে এসে দাঁড়িয়েছে। অতীত ফলাফল, ঐতিহ্য আর স্বপ্ন নিয়ে এখনো পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী কর্মীবৃন্দ বুক টান করে দাবী করে- ‘শহীদ জিয়ার মাটি, বিএনপির ঘাঁটি’।


বাস্তবতা কী আসলেই তাই? আসুন একটু সামনে এগিয়ে যাই।
৭৮ সাল পরবর্তী বগুড়ার রাজনীতি মানেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি। এক দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়া। প্রেসিডেন্ট জিয়ার জন্মভূমিতে কার সাধ্য বিএনপির সাথে কম্পিটিশন করে টিকে থাকে? সংসদীয় ৭ টি আসনে বরাবরই বিএনপি একচ্ছত্র ও নিরুঙ্কুশ জনসমর্থন পেয়েছে। বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া আর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া একই কথা।


বিএনপির জনসমর্থন কতটা প্রবল- তা বুঝতে ২০০৯ সালে ফিরে চলুন। ২০০৮ এর ২৯ শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৬৭ আসনে জিতে মহাপ্রতাপে ক্ষমতার ম্যাজিক চেয়ারে আসলো। বিএনপি পেল মাত্র ৩১ আসন। নোয়াখালির ব্যারিস্টার মওদূদ আর পঞ্চগড়ের ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার সেই নির্বাচনে ফেল করেছিল। বেগম জিয়া তিন আসনে জিতেছিলেন; বগুড়া ৬ ও ৭ তার মধ্যে দুটি। বেগম জিয়ার ছেড়ে দেয়া আসনে উপ-নির্বাচনে নোয়াখালি ও পঞ্চগড়ে ফেল মারা মওদূদ সাহেব আর জমির সাহেব মাত্র ১ মাস পরেই বগুড়াতে এসে বিপুল ভোটে জিতে গেলেন! কোন ক্যাম্পেইন ছাড়াই। বগুড়াবাসী জানতো- আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়, তবুও বহিরাগত দুই জাতীয় নেতাকে জিতিয়ে দিলো। বেগম জিয়ার প্রতি আস্থা ও ভালবাসা কতটা প্রবল, সেই উপ-নির্বাচন থেকে আপনারা বুঝে নেয়ার চেষ্টা করুন।


আবার ফিরে চলুন ২০০৮ সালের নির্বাচনে। বগুড়ার ৭ আসন থেকে দুটি আসনে আওয়ামী লীগ জিতে গেল। তৎকালীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান সারিয়াকান্দি-সোনাতলা আসনে এবং পুলিশের সাবেক এসপি হাবিবুর রহমান শেরপুর-ধুনটে জিতে গেলেন। যে যাই বলুক- বগুড়াতে তারা দুজন ভোটেই জিতেছিলেন। বগুড়ার মাটিতে কারচুপি করার বেশি সুযোগ ছিল না।


আমি এখন যা লিখবো, তাতে আমার জাতীয়তাবাদী বন্ধুমহল সংক্ষুব্ধ হবেন, কষ্ট পাবেন। ‘অর্বাচীন কথা’ বলে উড়িয়ে দিবেন। তবুও আমি কিছু বলছি, লিখছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বগুড়ার জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দের নজরে আমার এই কথাগুলো পৌঁছবে। তাতে আত্মসমালোচনার এতটুকু খোড়াক পেলে, আমার তৃপ্তি লাগবে।


গোপালগঞ্জের কোন আসনে কী বিএনপির জামানত টিকে থাকে? কত ভোট পায় বিএনপি? ১০-১৫ হাজার। কিন্তু বগুড়াতে কেন আওয়ামী লীগ প্রতি আসনে ৫০ হাজার থেকে ৯০ হাজার ভোট পায়? কেন আগামীতে সুষ্ঠ নির্বাচন হলেও বিএনপির টেনশন বাড়ছে? কেন লোকাল এডমিনিস্ট্রেশন বিএনপির হাতছাড়া? বগুড়ার কয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির? কয়টি পৌরসভার মেয়র বিএনপির? ইউপি চেয়ারম্যানদের কত শতাংশ বিএনপির?
আমি জানি, জাতীয়বাদী অনলাইন শার্দুলবৃন্দ হুংকাড় ছেড়ে বলবেন, এখনো ৫০% লোকাল জনপ্রতিনিধ বিএনপির। আমার প্রশ্ন, বাঁকি ৫০% কাদের হাতে এবং কেন?
লাফ দিয়ে বলে বসবেন, লোকাল ভোটেও কারচুপি হয়েছে। আমি বলবো- মিথ্যা কথা। বগুড়ার কোন নির্বাচনে কারচুপি হয় নি। বিএনপি নেতৃত্বের খামখেয়ালীপনা, পরিস্থিতি অনুধাবনের ব্যর্থতা, চিরাচরিত নিজেদের ঘাঁটির দম্ভ, প্রতিপক্ষকে আন্ডারেস্টিমেট করা, জনসম্পৃক্ততা থেকে কয়েক মাইল দূরে থাকাই হচ্ছে- সামগ্রীক পরাজয়ের মূল কারণ।


বিএনপিকে স্বীকার করুক আর না করুক, বগুড়ার মাটি আর বিএনপির একচ্ছত্র ঘাঁটি নাই।


ঘটনা দুটি ঘটেছে।
এক,
আওয়ামী লীগ বাস্তবিক অর্থেই সাংগঠনিকভাবে দারুণ শক্তিশালী হয়েছে।
দুই,
জামায়াতে ইসলামী কচ্ছপ গতিতে বগুড়াতে শক্ত গনভিত্তি তৈরি করে ফেলেছে।


আমি স্পষ্টত দেখতে পাচ্ছি, বগুড়ার রাজনীতিতে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াত এখন ৩৩, ৩৩ ও ৩৩।


এতটুকু পড়ে বগুড়ার বিপ্লবী জাতীয়তাবাদী যোদ্ধারা নিশ্চয় ফুঁসে উঠেছেন।
সমস্যা নাই। আগে আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিন।
এক-সর্বশেষ কবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আযিযুল হক কলেজে মিছিল করেছে?
দুই-বগুড়ার কোন কোন কলেজে এখনো ছাত্রদল নামে প্রকাশ্যে কার্যক্রম চলে?
তিন-সাতমাথায় সর্বশেষ কবে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন?
চার- গত উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার কারণ কী ছিল?


প্রশ্নগুলো রেখে এবার চলুন- আওয়ামী লীগ অধ্যয়ন করি।


বগুড়ার মানুষ স্বাধীনচেতা। রাজনৈতিক দাসত্ব আর গোলামিকে কখনোই বগুড়াবাসী মেনে নেয় নি। ইন্ডিয়ার আধিপত্যবাদকে বগুড়ার আম-জনতাও ঘৃণা করে। ইন্ডিয়ার পদলেহী আওয়ামী রাজনীতিকে বগুড়াবাসী কখনোই মেনে নেয় নি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই বগুড়াতে আওয়ামী লীগ মিনোস পার্টি। কিন্তু সাম্প্রতিক বাস্তবতা ভিন্ন। বগুড়াতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম অত্যন্ত শক্তিশালী হয়েছে। মমতাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ওয়ার্ড পর্যায়েও নেতৃত্ব তৈরি করেছে। লুটপাটের ভাগও তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তৃণলূলের কর্মীরা অপকর্ম করলে টপ লিডাররা সেটা সামাল দেয়ার চেষ্টা করে, শেল্টার দেয়। বগুড়ার প্রত্যেক আসনে আওয়ামী লীগের ৬০-৭০ হাজার ভোট ব্যাংক তৈরী হয়েছে। বগুড়ার উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের কাছে ধরাশায়ী হলেও পৌর নির্বাচনের অধিকাংশ পৌরসভায় জিতে গেছে। ইউপি নির্বাচনে ৫০ শতাংশ ইউনিয়নে জিতে গেছে। আওয়ামী লীগের শ্রমিক সংগঠন সর্বোচ্চ শক্তিশালী অবস্থায় আছে। যুবলীগ ও ছাত্রলীগ মোটামুটি জেলা ব্যাপী গোছালো।


অনেকেই ভেবে বসবেন, ক্ষমতায় থাকলে এসব ঠিকঠাক এমনিতেই চলে। বাস্তবতা আসলে তা নয়। বিএনপি আগামীকাল ক্ষমতায় আসলেও শ্রমিক নেতৃত্ব সহজে আওয়ামী লীগের কবল থেকে দখলে নিতে পারবে না নিশ্চিত থাকুন। অনেক পৌরসভায় আওয়ামী লীগ জিতবে নিশ্চিত থাকুন। অনেক ইউপি আওয়ামী লীগ জিতবে নিশ্চিত থাকুন। বিএনপির সাংগঠনিক ব্যার্থতার বিপরীতে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো জেলাব্যাপী দৃশ্যমান।


জামায়াত নিয়ে কিছু কথা-
বগুড়ার রাজনীতিতে জামায়াত একটা বিশাল ফ্যাক্টর। বগুড়ার জনপদের একটা ন্যাচারাল ক্যারেক্টার আছে। ইসলামপ্রিয় জনতার কারণে ন্যাচারালিই জামায়াত একটা এডভান্টেজ পেয়ে আসছে। বিশেষ করে, প্রতি বছরের আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেবের তাফসীর মাহফিল সমগ্র বগুড়াতে জামায়াতকে অসম্ভব জনপ্রিয় করেছে। বগুড়ার মানুষ জামায়াতকে যতটা না গ্রহণ করেছে, তার চেয়েও বেশী আল্লামা সাঈদী সাহেবকে গ্রহণ করেছে। বগুড়ার যেকোন আসনে আল্লামা সাঈদী নির্বাচন করলে (খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া ছাড়া) অন্য কারো জামানত রক্ষা করা সত্যিই কঠিন হবে। আল্লামা সাঈদীর ফাঁসির রায় পরবর্তী বগুড়ার গনমানুষের ইতিহাস গড়ার আন্দোলন নিশ্চয় মনে আছে। সেনাবাহিনী নামিয়ে সামলাতে হয়েছিল।


বিগত উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতকে বগুড়াবাসী বুকের গভীরে জায়গা করে দিয়েছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে যৌথভাবে পরাজিত করে বগুড়ার ১২ টি উপজেলার মধ্যে ৬ টিতে নির্বাচন করে ৫ টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে জিতে যায় জামায়াত। ১২ টি উপজেলাতেই ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত।


এতক্ষণ জামায়াত স্টাডি দেখে অনেকেই হয়তো গদগদ হয়ে গেছেন! এখানেও এক চরম বাস্তবতা লুকিয়ে আছে। যে স্বপ্ন আর ভালবাসা নিয়ে বগুড়াবাসী জামায়াতকে বিজয়ী করেছিল, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ঠিক ততটাই হতাশ করেছে। একেকজন চেয়ারম্যান সরকারের দক্ষ কর্মচারী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। উপজেলা অফিস আঁকড়ে পড়ে থেকেছেন। জনগনের সাথে সম্পৃক্ততা থেকে অনেক দূরে চলে গেছেন। কারো বিরুদ্ধে দূর্নীতি-লুটপাটের অভিযোগ নাই; কিন্তু জনগণ তাদের কাছে পায় না বলে মারাত্মক অভিযোগ। জামায়াতের জনপ্রতিনিধিবৃন্দ নিজেদের দল পরিচালনার সহজাত কমান্ডের স্টাইলে অফিসমুখি পরিষদ গড়ে তুলে কতটা বিপদ ডেকে এনেছেন, তার প্রমাণ পেতে আগামী উপজেলা নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ভালমানের দলীয় দায়িত্বশীল হওয়া আর গনমানুষের ‘জননেতা’ হয়ে ওঠার বিশাল পার্থক্যটা জামায়াতে জনপ্রতিনিধিরা এখনো বুঝে উঠতে পারে নি আসলে। সততা আর নৈতিকতা নিয়ে গনবিচ্ছিন্নতার পরিনতি বুঝতে একটু অপেক্ষা করতে হবে। জামায়াত নিজেদের সীমাবদ্ধতা নিয়ে সম্যক ওয়াকিবহাল বলে আমার মনে হয়নি। জামায়াত গনমানুষের সমর্থন পাওয়ার পরে কেন হারিয়ে ফেলে, বগুড়ার জনপ্রতিনিধিদের দেখলে তা ভালভাবে বুঝা যায়।


এবার আসুন, আগামী নির্বাচনে বগুড়াতে কী ঘটতে যাচ্ছে। যদি ইলেকশন সুষ্ঠ হয়, দুটি ঘটনার উপর ফলাফল ডিপেন্ড করবে।


একঃ বিএনপি-জামায়াত জোট থাকছে কিনা।
দুইঃ জামায়াত একক নির্বাচন করছে কিনা।


বগুড়ার প্রত্যেক আসনে বিএনপির ভোট এখনো কিছুটা বেশি। তবে খুব বেশী নয়। বিএনপির ১ লাখ ভোট হলে, জামায়াতের ৮০ হাজার, আওয়ামী লীগের ৮০ হাজার। প্রার্থী সিলেকশন উলটাপালটা হলে, বিএনপির এক গ্রুপ বেঁকে বসলে এই ২০ হাজার ভোটের হিসেব উল্টে যাবে। যদি বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াত একক নির্বাচন করে, তাহলে কে জিতবে বলা মুশকিল হবে। বিএনপি এখনো ঘাঁটির দম্ভে মাতোয়ারা হয়ে আছে। আগামী নির্বাচনে এর বড় মাশুল দিতে হবে। তবে হ্যাঁ, জোটগত নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের সাথে প্রত্যেক আসনে ৭০-৮০ হাজার ভোটের ব্যবধান হবে।


ফুটনোটঃ
আগামী নির্বাচনে কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপি-জামায়াতের সমন্বয় হলেও বগুড়াতে গোলমাল লেগে যাবে। বগুড়ার বিএনপি এখনো ভাবে জামায়াত কোন দল হল? ৫ টি উপজেলায় লজ্জাজনকভাবে হেরেও ভাবে জামায়াতের কোন ভোট নাই। এই ঔধত্যপনার একটা মূল্য দিতে হবে। ৭ টি আসনে অন্তত একটি আসন জামায়াতকে ছেড়ে দিলে হাজার হাজার জামায়াত কর্মী স্বতস্ফুর্তভাবে সারা জেলায় জোটের পক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়বে। জামায়াত জানে বিএনপি এটা করবে না। তাই ৭ টি আসনেই জামায়াতের একক প্রার্থী প্রস্তুত। বগুড়া জামায়াতের তরুণ অংশকে কেউ সিদ্ধান্ত দিয়েও আটকাতে পারবে না। তাতে হয়তো বিএনপি-জামায়াত দু-দলকেই অনেক বেশি মূল্য দিতে হবে।

পঠিত : ১৬১৭ বার

মন্তব্য: ০