Alapon

বাক স্বাধীনতারও সীমা আছেঃ জাস্টিন ট্রুডো


ইউরোপে যেমন আছে উগ্রবাদী লিডার, তেমনিভাবে দেখা গেছে কিছু নমনীয় রাষ্ট্র নায়কও আছে। আমি খুঁজে দেখলাম কানাডার সরকার প্রধান ট্রুডো এতো জনপ্রিয়তার কারণ কী, বিষয়টা বুঝতে যতটুকু পারছি, তা হলো তিনি ট্রাম্প, ম্যাক্রোর মত উন্মাদ না। মুসলমানদের প্রতি ওপরে ওপরে হলেও শ্রদ্ধাশীল।


ফ্রান্সের বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করে ট্রুডো বলেন- স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সীমা লঙ্ঘন করা উচিত নয়। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর এমন মন্তব্য অবশ্যই সততার পরিচয় বহন করে।

তিনি বলেছেন, আমরা অবশ্যই বাক স্বাধীনতার পক্ষে। তবে সেই স্বাধীনতায়ও সীমাবদ্ধতা আছে। এ ক্ষেত্রে সীমা লঙ্ঘন করা উচিত নয়। অকারণে নির্বিচারে কাউকে আঘাত করাও উচিত নয়।

সম্প্রতি ফ্রান্সের পত্রিকায় হজরত মুহাম্মদকে (স.) অবমাননা করে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ট্রুডো বলেন, অন্যদের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। আমরা সমাজ ও পৃথিবীতে যাদের সঙ্গে সব কিছু ভাগাভাগি করে থাকছি, তাদের নির্বিচারে এবং অপ্রয়োজনে আঘাত করা মোটেও উচিত নয়।

তিনি বলেন, জনাকীর্ণ কোনো সিনেমা হলে গিয়ে উচ্চস্বরে চিৎকার করার অধিকার আমাদের নেই। এর একটা সীমা আছে।

ট্রুডো বলেন, আমরা যেসব কথা বলি, অন্যদের প্রতি যে আচরণ করি, বিশেষ করে সেসব সম্প্রদায় ও জনগোষ্ঠী যাদের ভয়াবহ বৈষম্যের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের প্রতি এর প্রভাব সম্পর্কে আমরা নিজেদের কাছে দায়বদ্ধ।

পঠিত : ৯৪১ বার

মন্তব্য: ০