Alapon

ধুমপায়ীর চেয়ে পরোক্ষ ধুমপায়ীর ক্ষতি বেশি!

ধূমপায়ীর চেয়ে পরোক্ষ ধূমপানকারীর ঝুঁকি বেশি। আবার একজন ধূমপায়ীর আশেপাশে পরোক্ষ ধূমপানকারী হন অনেকে। সিগারেট আসক্ত ব্যক্তি নিজের বুকের সাথে আরও দশটা মানুষের বুক পোড়েন।


ফেইসবুকে যারা গুজব ছড়ান, আধাসত্য বা ভুলভাল খবর ছড়ান, সত্যমিথ্যা যাচাই না করে, তথ্যের উৎস যাচাই না করে হট হট টপিকে স্ট্যাটাস দেন, তারা ভার্চুয়াল ধূমপায়ী। অসমর্থিত সূত্র, গাঁজাখুরি নিউজ পোর্টাল, বেওয়ারিশ ওয়েব বা ব্লগ, অমুক তমুকের স্ট্যাটাসের লেজ ধরে নিজে স্ট্যাটাস দিয়ে কত যে মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট করেন তার হিসেব জানেন আল্লাহ আর সম্মানিত দুই লেখক ফেরেশতারা।



ইশারা ফিশারার কিছু নাই। কুর'আনের ভাষিক আর শাব্দিক মু`যিজাকে যিনি কুর'আন-ভোলা আধুনিক মুসলিম তরুণ-তরুণীদের কাছে নতুন করে তুলে ধরেছিলেন সেই উস্তায নুমান আলী খানকে নিয়ে চলমান বিতর্কের জের ধরে এই কথাগুলো বলছি। বিষয়গুলো বিতর্কিত। সন্দেহজনক। এখনো অভিযোগের পর্যায়ে। উনি যদি দোষী সাব্যস্ত হোন, আল্লাহর কসম, আমি জানামাত্র উনার থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকব। কিন্তু যতক্ষণ না কোর্টে ফায়সালা হচ্ছে, তিনি দোষী সাব্যস্ত না হচ্ছেন, ততক্ষণ আমি তার পক্ষ নেব। নয়তো চুপ থাকব বিষয়টা কী দাঁড়ায় তা দেখার জন্য। লোকটা নুমান আলী খান না হয়ে নিমাই ভট্টাচার্য হলেও আমার অবস্থান তাই হতো।


নবুয়াতের আগে হিলফুল-ফুদল বা পূণ্যবানদের সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেই সময়ের এক মুশরিকের ন্যায্য অধিকার আদায়ের প্রেরণা থেকে। নবুয়াতের পর যার স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে আমাদের ইনসাফি নবি বলেছিলেন, যদি আজকেও এই সংঘ গঠিত হতো, তিনি তাতে যোগ দিতেন। আবার এক অভিজাত মুসলিম নারীর শাস্তি মওকুফের বিষয়ে তদবির করতে এলে তিনিই সাফ সাফ জানিয়ে দেন, তার মেয়ে ফাতিমাও যদি চুরি করত, তবু তিনি তার হাত কাটতে দুবার ভাবতেন না।


এমন ইনসাফি নবির উম্মাত হয়ে বেইনসাফি আমাদের কথায় কাজে সাজে না। হোক সেটা নুমান আলী খান কে নিয়ে অথবা আফিফ খানকে নিয়ে।


আফিফ খান কে? চিনবেন না, বলে লাভ নেই।


পঠিত : ৪৬০ বার

মন্তব্য: ০