Alapon

মুসলিমদের জন্য কোন হাহাকার নেই!

‘টাইটানিক’ মুভিটা দেখেছেন হয়তো। আমার প্রিয় মুভিগুলোর মধ্যে ‘টাইটানিক’ ছিল অন্যতম। স্কুলে পড়ার সময় এই মুভিটা প্রতি সপ্তাহে একবার করে দেখতাম। টাইটানিকের হাজার হাজার যাত্রীর মৃত্যুর দৃশ্য দেখে ভাবলেশহীন হয়ে তাকিয়ে রইতাম।


ভিন্নদিকে, টাইটানিকের নায়ক ‘জ্যাকের’ মৃত্যু দেখে কষ্টে বুকটা ফেটে যেত। জ্যাকের বিচ্ছেদে নায়িকা রোজের যেমন বুকটা হাহাকার করে উঠেছিল! তেমনটা না হলেও কিঞ্চিত হাহাকার কিন্তু আমারও করেছিল। কিন্তু টাইটানিকের হাজার হাজার যাত্রীদের মধ্যে আর কারো জন্যই কিন্তু আমার বুকটা হাহাকার করে উঠেনি। যতো বেদনা সব জ্যাক আর রোজের জন্য।



ইউরোপের মানুষজনের অবস্থা হয়েছে টাইটানিকের নায়ক নায়িকা জ্যাক আর রোজের মত। নিত্যদিন, মুসলিম বিশ্বের হাজার মানুষ গুলি খেয়ে কিংবা বোমা বিষ্ফোরনে মারা যাচ্ছে। কিন্তু তাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবার কেউ নেই। আর আমেরিকায় মাত্র ৫৯ জন গুলি খেয়ে মারা গেল, তাতেই বিশ্ববিবেক এবং মিডিয়া হুঁহুঁ করে কান্না শুরু করে দিল। যতো বেদনা সব ইউরোপিয়ানদের জন্য। মুসলমানদের জন্য বিশ্ব বিবেকের বেদনা কোথায়?


মিয়ানমারে প্রতিদিনই শতশত রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যা করা হচ্ছে। সিরিয়ায় প্রতিদিনই শতাধিক মুসলিম নিহত হচ্ছে। কিন্তু সেই মৃত্যুতে বিশ্ববিবেক হাহাকার করে ওঠে না। বিশ্বমিডিয়া সেই মৃত্যুর ঘটনাকে তেমন গুরুত্ব দিয়ে প্রচারও করে না। টাইটানিকের হাজার যাত্রীর মৃত্যুতে যেমন দর্শকের কোন ভ্রুক্ষেপ হয় না। তেমনি প্রতিদিন শতশত মুসলমানের মৃত্যুতেও জাতিসংঘ এবং বিশ্ববিবেকের ভ্রুক্ষেপ হয় না।


তবে, আল্লাহপাকের শুকরিয়া লাসভেগাসের ঘটনায় কোন মুসলিমকে জড়াইতে পারে নি। আইএস দ্বায় স্বীকার করে মুসলিমদের ফাসাইতে চাইলেও, বিরাট দেরি করে ফেলেছিল। তার আগেই নিজেদের মান ইজ্জত বাঁচাইতে হামলাকারীরে খৃষ্টান পাগলা বানাই দিছে, এফবিআই।


নচেৎ, টাইটানিকের সাধারণ যাত্রী ‘মুসলিমবিশ্বের’ হয়ে হাহাকার করবার কেউ না থাকলেও, তাদেরকে বাঁশ দেবার লোকের অভাব হইতো না।


পঠিত : ৫৮৯ বার

মন্তব্য: ০