Alapon

তাফহীমুল কুরআন আমার তৃষ্ণা মেটায়!




আমি আল্লাহর নামে শপথ করেই বলি - আমার যেসব বিষয় সহজেই বুঝে ধরে না। হৃদয়ের তৃষ্ণা মেটে না। প্রশ্নের পর প্রশ্ন থেকেই যায়, তখন আমি তুলনামূলক তাফসীরের ওপর দৃষ্টি রাখি, কুরআনের তাফসীরগুলো মিলিয়ে পড়ি, তখন অধিকাংশ সময়ই আমি তাফহীমুল কুরআনের মধ্যেই যেনো আমার মনের কোণে উদিত হওয়া প্রশ্নগুলোর জবাব পেয়ে যাই। আপডেট সব তথ্য, যুগোপযোগী সব কথায়-ই প্রায় ওখানে পেয়ে যাই। এক কথায় তাফহীমুল কুরআন যেনো যুগ জিজ্ঞাসার জবাব! স্বয়ং ডাক্তার জাকির নায়েকও তাফহীমুল কুরআনের প্রশংসা করেছেন। তা-ও ওনার পিস টিভিতে। তাঁর অগণিত দর্শকদের সামনে রেখেই। আর আমরা তাফহীমুল কুরআনের মতো অন্যতম একটা যুগশ্রেষ্ঠ তাফসীরের ইলম থেকে নিজেকে তো মাহরুম করে রেখেছিই। অন্যদেরও রেখেছি।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, সাধারণ শিক্ষিত, সমাজতন্ত্র-কম্যুনিজমের রোগে আক্রান্ত হয়ে কিংবা খ্রিষ্টান মিশনারীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যারা ঈমানের বারোটা বাজিয়েছেন, তাঁরা অবশ্যই এই তাফসীর দিয়েই নিবারণ করতে পারবেন হৃদয়ের তৃষ্ণা! পাবেন অনেকগুলো প্রশ্নের সদুত্তর। মাঝেমধ্যে ভাবি একটা মানুষ ত্রিশটা বছর সময় ধরে শুধু শুধুই তাফসীরটি রচনা করেছেন কী কারণে? কী প্রয়োজন ছিলো? ওনার মতো এমন বিদগ্ধ আলিমের এতো সময় কেনো লেগেছে? পরক্ষণেই যখন পড়ি, তখন বুঝতে পারি কী জন্যে এতো সময় লেগেছে! দল-মত আর সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে ওঠে যদি আমরা চিন্তা করতে পারি, তা হলে এই তাফসীরের দ্বারা সকলেই উপকৃত হতে পারে।

দুঃখের বিষয় আমরা সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে ওঠতে পারি না কেউই। সংকীর্ণতার চাদরে আবৃত হয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করি সকলকেই। এই বিষয়টি ইমাম মওদূদী রহঃ এর ক্ষেত্রে আরো বেশিই করি। হেন কোনো অপবাদ নেই যা আমাদের দেশীয় মানবকূল আলিমকূল ওনাকে দেয় নি! আজো দিয়ে যাচ্ছে তা। বড়ো দুঃখ হয়। তবুও হাসি, সয়ে যাই। ইস্তিক্বমাত থাকি ওনার আচরণের ওপরই। ওনার একটা সুন্দর উক্তি আছে, আমার ওপর সকল অভিযোগের জবাব আমি আল্লাহর কাছে নিবেদন করলাম। দেখি কেয়ামতের ময়দানে যারা আমার ওপর অযথা অপবাদ আরোপ করেছে তাদের স্থান কোথায় হয়!! কখনো দেখিনি তিনি কাউকে কটুকথা বলতে, গালাগাল করতে। কী অসাধারণ ধৈর্য! আল্লাহু আকবর!! আল্লাহ রব্বুল আলামীন ইমাম সাঈয়িদ আবুল আ'লা মওদূদীর প্রতি রহম করুন। ওনার ভুলচুক আর সীমাবদ্ধতাগুলোকে ক্ষমা করুন!

পঠিত : ৩৪৪ বার

মন্তব্য: ০