Alapon

ইকোনমিক্স পলিটিক্সকে ডমিনেট করে শান্তির সময়ে, যুদ্ধের সময়ে না



হুমায়ুন আজাদ আশির দশকের শেষের দিকে একবার *গী নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল হলে ধরা পড়েছিলেন। আমার এক শ্রদ্ধেয় প্রফেসর তার শার্টের কলার চেপে ধরে হল থেকে বের করেন। তিনি তখন ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল হলের হাউজ টিউটর।


দুজনের মধ্যে মারামারি লেগে যাওয়ার উপক্রম হয়। হাউজ টিউটর ভদ্রলোক বলছিলেন ইউ হ্যাভ নো রাইট টু ড্যামেজ মোরালিটি অফ দ্যা জেনারেল স্টুডেন্টস হিয়ার।


শেষমেশ প্রভোস্ট ও প্রো ভিসির হস্তক্ষেপে ঘটনা মিটে যায়, আহমদ ছফা নিজে গিয়ে হুমায়ুন আজাদ ও তার কলার চেপে ধরা ভদ্রলোকের মধ্যে মিটমাট করে দেন।


আজকে দেখলাম হুমায়ুন আজাদের তীব্র সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশানের ফসলজাত একটা কবিতার ক্যামেরায় তোলা ছবি ফেইসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।


হুমায়ুন আজাদ ইন্টেলেকচুয়াল হিসেবে কোন স্তরের তা নিয়ে আমি আলাপ করবো না। তবে তাকে যারা আদর্শিক দিকপাল মনে করে, তাদের নৈতিকতার কম্পাসটা কোন দিকে, এখান থেকে বুঝে নিতে হবে।


ইন্টারেস্টিং হচ্ছে, যে ভদ্রলোক হুমায়ুন আজাদের *গীবাজির বিরোধীতা করেছিলেন, তিনি বাংলাদেশের ভুরাজনৈতিক কিছু বিষয়ে একই নৈতিক দৃঢ়তা প্রদর্শন করে এখন জনপরিসর থেকে বিস্মৃতপ্রায়। আর হুমায়ুন আজাদকে মনে করা হয় জাতির বিবেকের অংশবিশেষ হিসেবে।


হুমায়ুন আজাদ বা তাকে ধরাশায়ী করা সেই তরুণ অধ্যাপকেরা একটা মোটামুটি মেরিটোক্র‍্যাটিক বাংলাদেশে থাকতেন। ঐ মেরিটোক্রেসির দিন শেষ। আপনি কত ভাল উদ্যোক্তা, কত মেধাবী স্কলার, এগুলার কোন ভ্যালু নাই এখন।


আজকের বাংলাদেশে আপনি কতবড় মেধাবী, সৎ বা পরিশ্রমী লোক তা আসলে টিকে থাকার ক্ষেত্রে ম্যাটার করে না। এই বাংলাদেশে টিকে থাকতে হলে আপনাকে হতে হবে এবসলিউট মাদারী। যে যতবড় মাদারী, সে ততবড় সাকসেসফুল হবে কারন সিস্টেমটা আগাগোড়া বাস্টার্ডাইজড।


দেখেন, বাংলাদেশে রকমারির চেয়ে অনেক বড় ও অনেক বেশি সফল কিছু অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ছিল। চুষে দেয়া হয়েছে সব।


চাইলে যেকোন সময় রকমারিকেও গাপ করে দেয়া কঠিন কোন কাজ না। এটা খুবই সম্ভব।


উপমহাদেশে একটা গেরুয়া রিকনকুইস্তা শুরু হয়েছে। এই রিকনকুইস্তার সবচেয়ে বড় হেরেসি হচ্ছে ইসলামকে ধারন করতে চাওয়া। নিরাপদ ইসলাম বলে আসলে কোন কিছু হয় না।

আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসুল, এই কথাটুকু ধারন করার মূল্য হিসাবে আপনাকে দুনিয়াবী অনেক স্যাক্রিফাইসের ভেতর দিয়ে যেতে হবে যদি না আপনি পাওয়ার গেমে জিততে পারেন। এটাই বাস্তব।


ইকোনমিক্স পলিটিক্সকে ডমিনেট করে শান্তির সময়ে, যুদ্ধের সময়ে না। রিকনকুইস্তা ইন্ডিয়ানা একটা টোটাল ওয়র। এই সময়ে পলিটিক্সই ইকোনমিকে ডমিনেট করবে। পাওয়ার ক্ল্যাশে হারা মানে, ইকোনমি সহ হারায়ে যাওয়া।


কজ দেয়ার ইজ নো সেইফ ভার্সন অফ মুসলিমহুড।

পঠিত : ৪২৮ বার

মন্তব্য: ০