Alapon

‘ফিলিস্তিন- রক্তে লিখা যে ইতিহাস’



ফিলিস্তিন! আল কুদস.. মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ের অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে এ পবিত্র স্থান। কারণ এটি তো কেবল একখণ্ড ভূমি নয়। এর প্রতি ইঞ্চি মাটি সাক্ষী হয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক বাস্তবতার। শ্বাপদের আঘাতে জর্জরিত হয়েছে বারেবার, হিংস্র হায়েনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আবার ও মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। এ এক রক্তাক্ত ইতিহাস।

সর্বপ্রথম দ্বিতীয় খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব রাদ্বি'আল্লাহু আনহুর শাসনামলে, ৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দে বাইতুল মুকাদ্দাস মুসলমানদের অধিকারে আসে। এর নাম ছিলো ইলয়া। ধর্মযাজক সাফাবিউনুস, বিখ্যাত “উমর চুক্তি”-র মাধ্যমে খলিফা উমরের(রাঃ) হাতে চাবি স্থানান্তরিত করেন সেদিন। ৪৬২ বছর পর, ১০৯৯ খ্রিষ্টাব্দে ক্রুসেড যুদ্ধে খ্রিষ্টানেরা রক্তক্ষয়ী অভিযানের মাধ্যমে জেরুজালেম কে ছিনিয়ে নেয়। ছোট শিশুদের সৈন্যরা কুদসের দেয়ালে ছুঁড়ে দিচ্ছিলো, উল্লাসে মেতে উঠেছিলো নিষ্ঠুর গণহত্যায়। দীর্ঘ ৮৯ বছর এ পবিত্র ভূমি তাদের করায়ত্ত ছিলো। অতঃপর নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য ত্রাণকর্তা হয়ে আবির্ভূত হন সালাহউদ্দিন আইয়ুবী। আল্লাহ প্রদত্ত তাঁর অসাধারণ সমরকৌশল, বিচক্ষণতা এবং তাঁর পতাকাতলে সমবেত হওয়া সৈন্যদের আল্লাহভীরুতা, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর পথে শামিল হবার দৃঢ় সংকল্প- মুসলিম উম্মাহকে আবারো এনে দিয়েছিলো বাইতুল মুকাদ্দাসের কর্তৃত্ব।

১৮৯৭ সালে ডঃ হার্জেল এর সভাপতিত্বে জায়নবাদের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ইহুদীদের একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র থাকবে, যা হবে সমগ্র বিশ্বকে পরিচালিত করার কেন্দ্রস্থল- এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তারা বিভিন্ন দেশে উপযুক্ত স্থান খুঁজছিলো অভিবাসনের জন্য। হিব্রু ভাষায় জায়ন মানে জেরুজালেম। শুরুতে শুধু ইহুদীরাই শুধু জায়নবাদী থাকলেও এখন যারা ইহুদী রাষ্ট্রের পক্ষে অবস্থান করে তারা সবাই জায়নবাদী হিসেবে পরিচিত। আরো নির্দিষ্ট করে বলতে চাইলে যারা মনে করে (সে যে ধর্মেরই হোক না কেন) জেরুজালেম ইহুদীদের অধিকারে থাকবে তারাই জায়নবাদী।

১৯১৭ সালে এমনই এক শীতার্ত ডিসেম্বরে ব্রিটিশ জেনারেল এডমন্ড অ্যালেনবি এসে পৌঁছালেন জেরুজালেমে। সদ্য অটোমান-তুর্কিদের হাত থেকে এ শহর জিতে নিয়েছে ব্রিটিশরা। তবে ঘোড়ায় চড়ে বিজয়ী বীরের মতো জয়োল্লাস করতে করতে নয়, ঘোড়া থেকে নেমে পায়ে হেঁটে জাফা গেট দিয়ে শহরে ঢুকলেন তিনি। এত দিন জেরুজালেম একটি পবিত্র ধর্মস্থান হলেও তা রাজধানীর স্বীকৃতি পায়নি। ব্রিটিশরা সেই স্বীকৃতিই দিল। আর তারই সঙ্গে শুরু হয়ে গেল নতুন সংঘর্ষের প্রেক্ষাপট। যে সংঘর্ষের এক দিকে রয়েছেন এই শহরের ভূমিপূত্র ফিলিস্তিনিরা। অন্য দিকে ইহুদিরা।

১৯১৭ সালে ব্রিটিশ সরকার বেলফোর ঘোষণায় ফিলিস্তিনে ‘ইহুদিদের একটি জাতীয় বাসস্থান’ প্রতিষ্ঠায় সমর্থন জানায়। অটোমান সাম্রাজ্যের পতন হলে ফিলিস্তিনির ম্যানডেট পায় ব্রিটিশরা। ফিলিস্তিনে দলে দলে অভিবাসী ইহুদি আসতে থাকে। বিরোধিতা সত্ত্বেও সেখানে তাঁরা বসতি গড়ে তোলে। এরপর ১৯২০, ’২১, ’২৮, ’২৯ ও ’৩৬ সালে আরবদের সঙ্গে ইহুদিদের সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

১৯১৭ সালে থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনের ভূমি ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ইহুদীদের কাছে ব্রিটেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে ফিলিস্তিনের জমিতে তাদের জন্য একটি রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ করে দিবে। সেজন্য ইহুদীরা কাজ করতে থাকে। সারাবিশ্ব থেকে চাঁদা তুলে ইহুদীরা ফিলিস্তিনের গরিব মুসলিমদের থেকে জমি ক্রয় করা শুরু করে। কিছু ক্ষেত্রে জোর করেও দখল নিতে থাকে। সারা পৃথিবী থেকে উদ্বাস্তু ইহুদীদের ফিলিস্তিনে আনা হয় ও তাদের পুনর্বাসন করা হয়। এসময় সিরিয়া থেকে আগত মুসলিম স্কলার ও যোদ্ধা ইজ্জউদ্দীন আল কাসসাম রহিমাহুল্লাহ ফিলিস্তিনে সামাজিক এবং পরবর্তীতে সশস্ত্র আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯৩৫ সালে ইহুদিদের বিপক্ষে এক প্রবল লড়াইয়ে তিনি শাহাদাতবরণ করেন। টনক নড়ে স্থানীয় প্রভাবশালী আরবদের, বিদ্রোহ গড়ে তোলে তারা; যদিও তা কঠোর ভাবে দমন করেছিলো ইংরেজ প্রশাসন।

১৯৩৩ সালে অ্যাডলফ হিটলার জার্মানির ক্ষমতায় এলে ইহুদিদের ওপর নিপীড়ন শুরু হয়। সেখানকার ইহুদিরা পালিয়ে ফিলিস্তিনে আসে। ফিলিস্তিনি আরবেরা এবার সংকট ভালোভাবে উপলব্ধি করতে শুরু করে।

মিত্রদের সহযোগিতা ও আশকারায় দিন দিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে ইসরায়েল। ষাটের দশকে পারমাণবিক বোমার মালিক বনে যায় তারা। দখলদারি ও বর্বরতার ব্যারোমিটার বাড়তে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া ইসরায়েলের একগুঁয়েমি ও নৃশংসতায় ফিলিস্তিনে রক্তগঙ্গা বইতে থাকে। আরব-ইসরায়েলের মধ্যে ১৯৫৬, ১৯৬৭ ও ১৯৭৩ সালে আরও তিনটি যুদ্ধ হয়। এতে ফিলিস্তিনের ভাগ্যে দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছুই জোটেনি।

মুক্তির সংগ্রামের লক্ষ্যে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন (পিএলও)। ১৯৬৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ইয়াসির আরাফাত ছিলেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান।

গোলমাল বড় আকার নিলো ১৯৬৭ সালের জুনে। মিশরের তৎকালীন শাসক নাসের তাইরান প্রণালী দিয়ে ইসরায়েলের জাহাজ যাওয়া বন্ধ করে দিলেন। মিশর-ইসরায়েল সীমান্তে সেনা সমাবেশ করলেন। নাসেরের উদ্দেশ্য ছিল ভয় দেখানোর। কিন্তু হঠাৎ পাল্টা বিমানহানা চালিয়ে সব ওলোট-পালোট করে দেয় ইসরায়েল। সে হানায় নাসেরের পুরো বিমানবাহিনী কার্যত ধ্বংস হয়ে যায়। পাশাপাশি গাজা ও সিনাই-এ স্থলযুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। এই অতর্কিত হানায় কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়ে মিশর।

নাসেরের চেষ্টায় সিরিয়া ও জর্ডানও যুদ্ধ নামে। কিন্তু তত দিনে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ছয় দিনের যুদ্ধের শেষে ইসরায়েল মিশরের কাছ থেকে গাজা ও সিনাই দখল করে নেয়। জর্ডান থেকে পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর আর সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান মালভূমি দখল করে নেয়।

এই বিপুল জয় ইসরায়েলের মনস্তত্ত্ব পাল্টে দেয়। এখন আর কিছুই অসম্ভব নয়, এমন এক ধারণা তৈরি হয়। পাশাপাশি জেরুজালেম অধিকারে রাখা নিয়ে দাবি তীব্র হতে থাকে।

১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট সাদাতের ইসরাইল সফর, ইসরাইলের বিরুদ্ধে আরব ঐক্যে ফাটলের শুরু বলে বিবেচিত হয়।

ইসরায়েলি দখলদারির অবসান ঘটিয়ে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করতে ১৯৮৭ সালে গঠিত হয় হামাস। তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সামরিক শাখা রয়েছে।

২০০০ সালে আল-আকসা মসজিদে বর্তমানে প্রয়াত নেতা অ্যারিয়েল শ্যারনের ঢোকা থেকে শুরু হয়ে ফিলিস্তিনিদের দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই, ইনতিফাদা। পাঁচ বছরে তিন হাজার ফিলিস্তিনীয় ও এক হাজার ইসরায়েলির প্রাণ গিয়েছে এই যুদ্ধে। এই সময়েই গাজায় নিজের অধিকার শক্ত করেছে হামাস। তাদের রকেট হামলার মোকাবিলায় বার বার টানা বিমানহানা চালিয়েছে ইসরায়েল। প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সে শহর।

২০০৬ সালের নির্বাচনে ফিলিস্তিনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে হামাস। কিন্তু সরকার গঠন করার পর আন্তর্জাতিক চক্রান্তে ফাতাহ হামাসের সাথে গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে দেয়। অবশেষে ২০০৭ সালে হামাস মুসলিমদের রক্তক্ষয় এড়াতে গাজার একক নিয়ন্ত্রণ নেয় ও পশ্চিম তীর ফাতাহকে ছেড়ে দেয়। এরপর কার্যত ফিলিস্তিন দুইভাগ হয়ে পড়ে।

পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনীয় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে গাজায় হামাসের নেতৃত্বের সম্পর্ক কখনই স্থিতিশীল হয়নি। ফলে ঐক্যবদ্ধ ফিলিস্তিনীয় আন্দোলনের ক্ষেত্রটিই গড়ে ওঠেনি।

২০১২ সালের নভেম্বরে গাজায় অভিযান চালায় ইসরায়েল। তখন আট দিনের মাথায় মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১২ সালের ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পায় ফিলিস্তিন। এর আগে তারা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ‘পর্যবেক্ষক ভূখণ্ড’ হিসেবে যোগ দিত। কিন্তু এখন ‘সদস্য নয় এমন পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’।

২০১৭ সালের মে মাসে ফিলিস্তিনের হামাস গ্রুপ একটি ডকুমেন্ট উপস্থাপন করে। সেখানে জেরুজালেমকে রাজধানী করে নতুন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের নতুন করে গঠনের কথা বলা হয়। তারা ইসরাইলকে কোনো রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতেও অস্বীকৃতি জানায়। যদিও ইসরাইল সরকার সেটা বাতিল করে দেয়।

হামাস ধীরে ধীরে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করছে। ২০১৪ সাল ও ২০২১ সালে তারা সরাসরি যুদ্ধ করে ইসরাঈলকে ভালো জবাব দিতে সক্ষম হয়েছে। মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য শক্তিশালী আরব রাষ্ট্রগুলোর সার্বিক সহায়তা পেলে নিশ্চয়ই তারা আরো কঠোর প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে।

গতো কয়েক বছর ধরে নানা অজুহাত দেখিয়ে পুনঃপুনঃ আক্রমণ করছে ইসরাইলীরা। ছেলেভোলানো শান্তিচুক্তি সম্পাদন করে এবং কিছু দিন না যেতেই তা পুনরায় ভংগ করে। বারংবার এক অযৌক্তিক কথার উপর ভিত্তি করে সন্ধি সম্পাদন। কি তা? ভূমির বিনিময়ে শান্তি! যে ভূমির প্রতি তাদের ন্যুনতম অধিকার ই নেই, তাতে আর তারা থাকবে না এই মর্মে সন্ধি করে তারা! যদিও এ হাস্যকর সন্ধির প্রতিও তারা সম্মান প্রদর্শন করেনা কখনোই। ইসরাইলের এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের পুনরাবৃত্তি করবার পেছনে মূল নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে তাদের মিত্র রাষ্ট্র আমেরিকার ওয়ার্ল্ড পাওয়ার। আমেরিকা ইসরায়েলকে নিরাপত্তা দেবার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যদিও এটিও নিজস্ব স্বার্থ হিসেবে ই। এখন পর্যন্ত জাতিসংঘে আমেরিকার দেয়া ৮৩ টি ভেটোর মধ্যে ৪২টি ই ইজরায়েলের পক্ষে।

সর্বশেষ, কুচক্রী ইসরাইলিরা শেখ জাররাহ'র বসতি সংক্রান্ত জটিলতা আবারো উত্থাপন করেছে। বহুকাল ধরেই তারা প্রচেষ্টায় রয়েছে একে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেবার। ১৯৪৮ সাল, যাকে ‘নাকবা’ বা বিপর্যয় দ্বারা চিহ্নিত করা হয়ে থাকে, সেসময় শেখ জাররাহ'র অধিবাসী ছিলো ২৮টি রিফিউজি পরিবার। যারা তাদের নিজস্ব ঘরবাড়ি হারিয়েছিলো। কিন্তু ইসরাইলিরা চেয়েছিলো সেখানে ১২টি পরিবারকে ইমিডিয়েট উচ্ছেদ করতে চায়, যারা সংখ্যায় ছিলো ১২৯ জন, যাদের মাঝে ছিলো ৪৬ জন শিশু। কেন? কারণ তারা চেয়েছিলো, সেখানে অবৈধ ইহুদীদের আবাসন দিতে। তাই সম্প্রতি তারা সবধরনের অবৈধ, অন্যায় পন্থা অবলম্বন করে হলেও এ বসতির নিয়ন্ত্রণ পেতে চায়। এ উদ্দেশ্যে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে তা প্রচার পর্যন্ত করেছে! আল আকসায় নামাজরত মুসল্লিদের উপর গুলিবর্ষণ, অসহায় শিশুদের উপর করেছে নির্যাতন, বোমাবর্ষণ। যা প্রতিটি মুসলিমের অন্তরে ঝড় তুলতে যথেষ্ট।

ইসরাইলিরা জেরুজালেমের পবিত্র মাটিতে অনাহূত ছিলো, আছে এবং সবসময় ই থাকবে। এ ভূমি মুসলিমদের। ফিলিস্তিনের অধিকার আরবদের নয়, নয় ইসরাইলিদের, নয় কোন ফিলিস্তিনির! এর উপর অধিকার রয়েছে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর। এ মর্যাদা অটুট রাখতে হবে। অনেক বছর ধরে যে টিকে থাকার লড়াই ফিলিস্তিনিরা করে আসছে, তা কখনো থামবার নয়; যতোদিন পর্যন্ত আল্লাহ নির্ধারিত শান্তি ও স্বস্তির সেই কল্যাণময় সময় উপনীত না হবে। সেই শান্তির সুবাতাসের জন্য চাতক পাখির ন্যায় অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনি জনগণ.. অপেক্ষায় পুরো উম্মাহ…!

। ফিলিস্তিন- রক্তে লিখা যে ইতিহাস ।
~ সাবিহা সাবা

তথ্যসূত্রঃ
১. জেরুসালেম বিশ্ব মুসলিম সমস্যা- উস্তাদ ইউসুফ আল কারযাভী।
২. মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কি হারালো- সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী।

পঠিত : ৫৯৮ বার

মন্তব্য: ০