Alapon

নীড়ে ফেরার সূচনা...



আমার দীর্ঘ ২৪ বছরের অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনে একরাশ আলো নিয়ে হাজির হলো "হেদায়েত"। আচ্ছা হেদায়েত কি কেবল একটি শব্দ মাত্র? নাকি এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে হাজারো না বলা স্বপ্ন, হাজারো অশ্রুঝরা স্মৃতি।

না; আমার জীবনে হেদায়েত কেবল একটি শব্দ নয়। এর সাথে মিশে আছে হাজারো পাপ করে অতঃপর তওবা করার আর্তনাদ। এর সাথে মিশে আছে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে ফিরে তার পানে চেয়ে সারাজীবন কাটিয়ে দেয়ার ইচ্ছে। এর সাথে জড়িয়ে আছে একজন মানুষের আসল নীড় ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করার জন্য প্রতিকূলতার সাথে দীর্ঘ সংগ্রাম।
তেমনই এক হেদায়েত আমার অবাধ্যতায় পরিপূর্ণ জীবনটাকে আলোর রোশনাই দিয়ে দীপ্তিমান করে তুলেছিল। ২৪ বছরের অবাধ্যতার জীবনকে ছুটি দিয়েছিলো। সাহায্য করেছে শুরু করতে একটি পরিপূর্ণ নতুন জীবনের।

এটা এমন জীবন, যে জীবনে থাকবে না কোন অবাধ্যতা, থাকবে না হতাশ হয়ে যাওয়ার কারণ, থাকবে না শুকরিয়া আদায় না করার স্পর্ধা৷ থাকবে তো কেবল রবের উপর ভরসা, পরিপূর্ণ বিশ্বাস যে- তিনি কখনো আমাকে খালি হাতে ফেরাবেন না, মাঝ রাস্তায় খেই হারিয়ে ফেলতে দিবেন না, ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়া অন্তরটা নিয়ে তার সামনে দাঁড়ালে অত্যন্ত যত্নের সহিত তিনি তা জোড়া লাগিয়ে দিবেন৷

আচ্ছা এমন রবকে কি ভালো না বেসে পারা যায় বলুন? বরং তাকে ভালো না বাসাটাই সবচেয়ে বড় বোকামি। যে বোকামিটা আমি এত বছর ধরে করে এসেছিলাম। কত অবাধ্যতা করেছিলাম সে অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনে! তার কথা মনে পড়তেই কান্নায় ভেঙে পড়ি, বুকের ভেতরটা চুরমার হয়ে যায়। আস্তাগফিরুল্লাহ!

তো কিভাবে এ নীড়ে ফেরা বা হেদায়েতের সূচনা হলো তা কিছুটা সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করি এবার... ইন শা আল্লাহ,

দিনটি খুব বেশি পুরোনো নয়। এইতো বড়জোর ২/৩ বছর পূর্বের হবে। কেন জানি খুব মনে হচ্ছিলো নিজেকে সকলের থেকে আলাদা করে নিতে, এই সেকুলা-র সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একমাত্র আল্লাহমুখী হতে। জাহান্নামের পথ থেকে জীবনের চাকা ঘুরিয়ে জান্নাতের দিকে মোড় নিতে। পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামের পথে চলতে।

তো ছোট বেলা থেকেই একটি বেদ্বীন পরিবারে বেড়ে ওঠা। ইসলামের ছিটেফোঁটা নেই সেখানে। বাবা কখনোই সালাত আদায় করেননি, আজও অবধি করেন না। মা-ও পর্দা, সালাতের গুরুত্ব বুঝেন না, আমাকে প্রকৃত ইসলামের দিকে আহবান করার মতো কাউকেই পাইনি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সবাইকে হেদায়েত দান করুন। তিনিই দয়াময় আল্লাহ, আল হাদী- পথ প্রদর্শক।

আমিই পরিবারের বড় ছেলে ৩ ভাই এর মধ্যে। ছোট বেলা থেকেই সেকুলার শিক্ষার ভূত মাথায় চাপিয়ে দেয়া হয়। আলহামদুলিল্লাহ, ছাত্র হিসেবে ভালোই ছিলাম, কিন্তু যার অন্তরে কুরআনের আলো নেই, সে সেকুলারিজম এর আলোকে ভালো ছাত্র হলেও , কুরআন সুন্নাহ এর আলোকে ভালো মুসলিম ও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার প্রিয় বান্দা হতে পারে না। ২০১৭ এর শেষ অবধি আমি কুরআন পড়তে জানতাম না, হরফও চিনতাম না।

কিন্তু একটা জিনিস ছোট বেলা থেকেই কাজ করতো, যেটা ছিল আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার বিশেষ অনুগ্রহ, ইসলামের প্রতি, কুরআনের প্রতি আমার প্রচন্ড রকমের দূর্বলতা ছিল। তো এভাবেই চলতে থাকে জীবন। গ্রাম থেকে এইচএসসি পাশ করে, ২০১৪ তে ঢাকায় আসি, সেখানে ইন্টার পাশ করি ২০১৬ তে। হয়তো নামায পড়তাম আবার গানও শুনতাম, নাটক মুভি সিনেমা দেখতাম, হারাম সম্পর্ক ছিল। নামেমাত্র মুসলিম ছিলাম, কিন্তু আপাদমস্তক সবই ছিল অমুসলিমদের মতো। আস্তাগফিরুল্লাহ!

সেকুলার সমাজের দ্বীন পালন বলতে কোনোরকম - কালিমার বাক্য তোতাপাখির মত মুখে বলা , নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত, শবে বরাত, ক্বদর এসবের মতো কিছু আনুষ্ঠানিকতা।
কিন্তু বাস্তবিক অর্থে ইসলাম তো আত্মসমর্পণ এর নাম। নিজের সমস্ত কিছু দিয়ে কুরআন সুন্নাহ এর বিধান এর কাছে পরিপূর্ণ ভাবে আত্মসমর্পণ এর নামই ইসলাম, আর এভাবেই ইসলামের মধ্যে পরিপূর্ণ ভাবে প্রবেশের মাধ্যমে মুসলিম হতে হয়।

যাইহোক, ২০১৭ এর দিকে পাপের মাত্রা বেড়ে যায়, নিজের আত্মাকে কলুষিত করে ফেলি, এতই জাহেল ছিলাম সে সময়, ভাবতাম যে একদিন তো জান্নাতে যাবোই, গুনাহ করে নেই। আবার জাহান্নামেই তো যাব, এছাড়া আর কি হবে? নাউজুবিল্লাহ! রমাদান মাসেও অনবরত গুনাহ করতে থাকি! আল্লাহর অবাধ্যতার সীমালঙ্ঘন করে ফেলি। তো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের জ্ঞান, হেদায়েত দান করে ধন্য করেন। সুবহানাল্লাহ!

তো এরই ধারাবাহিকতায় একটা মিথ্যা মামলায় (অবশ্য এটাই আল্লাহর পরিকল্পনা) নবী ইউসুফ আঃ এর পাঠশালায় যাই, ২২শে আগস্ট - ২০১৭।
সেখানে থাকি ১৩ মাস ৮ দিন।

ফেরত আসি ৩০-ই সেপ্টেম্বর ২০১৮। আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা মূহুর্ত ছিল এই দিনগুলো। আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ আ'লা কুল্লি হাল। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকি, ১ মাস ১৪ দিন। এরপর চলে যাই কাশিমপুর-এ। বাকি সময় সেখানেই কাটাই আল্লাহর হুকুমে। সেখানে এক বিডিআর ভাইয়ের (আব্দুল্লাহ আল মামুন, বগুড়া) হাতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাকে ছেড়ে দেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা প্রিয় ভাইকে দুনিয়ায় ও আখিরাতে কল্যাণ দান করুন এবং জান্নাতে মিলিত করুন আবার। আমিন।

তিনি আমাকে ছোট ভাই এর মত সাপোর্ট দিতে থাকেন। এরপর তারই কাছে ২০১৮ এর শুরুর দিকে কুরআন তিলাওয়াত শিখি। তারই একান্ত অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে কুরআন এর অনুবাদ, তাফসির পড়ি, এরপর হাদিসের কিতাবগুলো পড়ি। ইসলামি সাহিত্য পড়ি। আলহামদুলিল্লাহ, অধিকাংশ সময় ইলম অর্জন এ ব্যয় করি। এভাবেই আস্তে আস্তে জাহিলিয়াত থেকে একের পর এক হেদায়েতের পথে প্রত্যাবর্তন। সেই কারাগারেই আমার মতো পাপী বান্দাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ইমাম, মুয়াজ্জিন হবার মত সম্মানের সুযোগ দেন। প্রতি শুক্রবার খুতবা দেয়ার সুযোগ হয়। মানুষকে দ্বীনের দাওয়াহ দেয়ার সুযোগ হয়। কুরআন শিক্ষা দিতে থাকি। আলহামদুলিল্লাহ! অন্যরকম এক জীবন। প্রতিটি মুহুর্তেই ইসলামের পথে। আল্লাহর এই অপার নিয়ামত এর শুকরিয়া আদায় করে শেষ হবে না, যেদিন ছাড়া পাই সেদিন খুবই কান্না করেছিলাম।

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুনিয়া (পার্থিব জীবন) মু’মিনদের জন্য কারাগারস্বরূপ এবং কাফিরদের জন্য জান্নাতস্বরূপ।
সহীহ্‌ , মুসলিম (৮/২১০)।
ফুটনোটঃ
আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩২৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

আর আমি কারাগার এর মত নিরিবিলি, শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ, আমার হেদায়েত প্রাপ্তির জায়গা ছেড়ে আবার ধোকার দুনিয়ায় আসতেছিলাম, তাই ভয়ে কান্না পাচ্ছিল, আবার যেন পথ ভুলে না যাই।

প্রকৃতপক্ষে মহিমান্বিত এই কুরআন এর মহব্বত, শিক্ষাই আমার অন্তরে হেদায়েতের নূর ঢেলে দিয়েছে, আর নিশ্চয়ই আল্লাহর বানী সত্য।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেনঃ
এই সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য হিদায়াত। (সূরা বাক্বারা- ২)
রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। (সূরা বাক্বারা- ১৮৫ এর প্রথমাংশ)

আর আমি তো কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য। অতএব কোন উপদেশ গ্রহণকারী আছে কি? (সূরা ক্বমার ১৭, ২২, ৩২,৪০)
হাদীসঃ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ ঘোষণা করেন, আমি সে রকমই, যে রকম বান্দা আমার প্রতি ধারণা রাখে। আমি বান্দার সঙ্গে থাকি যখন সে আমাকে স্মরণ করে। যদি সে মনে মনে আমাকে স্মরণ করে; আমিও তাকে নিজে স্মরণ করি। আর যদি সে জন-সমাবেশে আমাকে স্মরণ করে, তবে আমিও তাদের চেয়ে উত্তম সমাবেশে তাকে স্মরণ করি। যদি সে আমার দিকে এক বিঘত এগিয়ে আসে, তবে আমি তার দিকে এক হাত এগিয়ে যাই, যদি সে আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয়; আমি তার দিকে দু' হাত এগিয়ে যাই। আর সে যদি আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তার দিকে দৌড়ে যাই। [৭৫০৫, ৭৫৩৭; মুসলিম ৪৮/১, হাঃ ১৬৭৫, আহমাদ ৭৪২৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০১)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭৪০৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

প্রতিনিয়ত রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সীরাত পড়ি, আর শ্রেষ্ঠ বান্দাদের জীবনি পড়ে ভাবি তাদের মতো মানুষ হতে পারলে মনে হয় সবসময় হাসিখুশি থাকা যায়। আমিও আমার বিষাদময় জীবনটাকে আনন্দঘন করতে চাই। আমার মাঝে এ অনুভূতি আসার কারণ আমার আজও জানা নেই। হয়তো রব চেয়েছিলেন আমি তার নিকটে যাই, হয়তো তিনি আমার মত পাপী বান্দাকে শেষ একটা সুযোগ দিয়েছিলেন তার রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নেয়ার।

তারপর থেকে শুরু হলো আস্তে আস্তে নিজেকে পরিবর্তন করা কুরআন সুন্নাহ এর আলোকে। এ পরিবর্তনে ভরসা দেয়ার মতো অনেককেই পেয়েছিলাম কারাগারে , আলহামদুলিল্লাহ। তবে কিছু মানুষের কিছু কথা আমার অন্তরকে ক্ষতবিক্ষত ও করে দিতো মাঝেমাঝে। কিন্তু তাতে কি! আমি তো অন্তর জোড়া লাগানোর স্থায়ী সমাধান পেয়ে গিয়েছি। তিনি তো কখনো কখনো আমাকে একা ছেড়ে দিবেন না৷ এসব তো কেবল একটি ক্ষুদ্র পরীক্ষা মাত্র যা কিনা আমার মতো গুনাহতে পরিপূর্ণ বান্দার ঈমানী হালত দেখার জন্য রবের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছিল।

মাঝেমাঝে খুব আক্ষেপ হয় নিজের পূর্ববর্তী জীবনের জন্য। কতই না পাপ করেছিলাম তখন! মনের ভেতর মাঝেমাঝেই ওয়াসওয়াসা আসে- রব আমার তওবা কবুল করবেন তো? আমার মতো গুনাহগার বান্দাকে আগলে রাখবেন তো?
ঠিক তখনি আমার সেই আশা জাগানিয়া + ভয়ের আয়াত এবং প্রিয় হাদিস এর কথা মনে পড়ে যায়৷

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেনঃ
বল, ‘হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।

আর তোমরা তোমাদের রবের অভিমুখী হও এবং তোমাদের উপর আযাব আসার পূর্বেই তার কাছে আত্মসমর্পণ কর। তার (আযাব আসার) পরে তোমাদেরকে সাহায্য করা হবে না। (সূরা আয যুমার- ৫৩-৫৪)

হাদীসঃ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা বান্দার তাওবাহ্‌র কারণে সেই লোকটির চেয়েও অধিক খুশি হন, যে লোকটি মরুভূমিতে তাঁর উট হারিয়ে পরে তা পেয়ে যায়। [মুসলিম ৪৯/১, হাঃ ২৭৪৭]আধুনিক প্রকাশনী- ৫৮৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৫৭)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৩০৯
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

এই আয়াত এবং হাদিস কখনো আমাকে হতাশ হতে দেয় না, আলহামদুলিল্লাহ। আমার চোখে অনবরত অশ্রু ঝরাতে বাধ্য করে৷ রবের প্রতি কৃতজ্ঞতায় শির ঝুঁকিয়ে দিতে অনুপ্রেরণা জোগায়।

এখনও পরিপূর্ণ ঈমানদার বান্দা হতে পারি নি। এখনও গুনাহ করি, এখনও মাঝেমাঝে রবের অবাধ্যতা করি। জানি না ঈমানের সহিত দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে পারবো কিনা, রবের প্রিয় বান্দাদের তালিকায় একদম শেষে হলেও নিজের নামটা লেখাতে পারবো কিনা!
তবে এখন আমার একটাই ইচ্ছে। আমি যাতে আল্লাহর রাস্তায় জান ও মাল দিয়ে জি হা দ করে শহিদ হয়ে এই রঙের দুনিয়া ছেড়ে আমার অন্তিম গন্তব্যস্থলের পানে যাত্রা শুরু করতে পারি।

-
মুহাম্মাদ রবিন ইবনে আব্দুল হালিম... (প্রকৃত নাম)

পঠিত : ১০৪২ বার

মন্তব্য: ০