Alapon

আবু ত্বহা আদনানের মায়ের ব্যাকুলতা আপনাকে স্পর্শ করে কি...?



কয়েকদিন আগের কথা। সকালবেলা অফিস যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে বের হলাম। অফিসে যাওয়ার পর দেখি পকেটে মোবাইল নেই! হয়তো ভুল করে বাসায় রেখে আসছি। আমার এমন ভুলে যাওয়ার বাতিক রয়েছে। তাই বিষয়টাকে খুব একটা গুরুত্ব দিলাম না।
বেলা বারোটার দিকে মনে হলো বাড়িতে আম্মাকে একটা কল দেই। যদিও আম্মা সাধারণত দিনের বেলা তেমন একটা ফোন করেন না। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে, আজ আম্মা দিনের বেলাতেই কল দিবেন! আর কল দিয়ে আমাকে পাবেন না। আর কল দিয়ে না পেলে যে আম্মা কেমন ব্যাকুল হয়ে যাবেন, ভাবতেই ভয় হচ্ছিলো!

অফিসের একজনের মোবালই থেকে আম্মাকে কল দিলাম। আমি সালাম দেওয়ার সাথে সাথে আম্মা উদ্বিগ্ন হয়ে বললেন, ‘তোমার মোবাইল কোথায়? টেনশনে রাখতে খুব ভালো লাগে?’

এই যে কল দিয়ে না পাওয়াতেই আম্মার কত উদ্বিগ্নতা, আর আবু ত্বহা আদনান ভাইয়ের আম্মা আজ ৬ দিন ধরে তাঁর সন্তানের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না! আদনান ভাইয়ের আম্মার কী অবস্থা, কল্পনা করা যায়? তিনি কতটা ব্যাকুল হয়ে তাঁর বুকের ধনের ফিরে আসার প্রতিক্ষায় রয়েছেন, অনুভব করা যায়? তিনি কতটা কাতর হয়ে একটা ভালো সংবাদ শোনার জন্য প্রহর গুনছেন, উপলব্ধি করা যায়?

আবু ত্বহা আদনান ভাইয়ের স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন দেখলাম। একটা মানুষ কতোটা অসহায় হয়ে পড়লে এভাবে বলতে পারে, ‘হয় আমাকে তার কাছে নিয়ে যান, না হলে তাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিন।’

আবু ত্বহা আদনান ভাইয়ের স্ত্রীর এই ব্যাকুলতা আর আর্তনাদ শুধু সাধারণ মানুষেরই না, যেকোনো পাষাণ হৃদয় গলিয়ে সেখানে ঝরনা প্রবাহিত করবে। আর আমি তো অতি সাধারণ মানুষ। তাই কান্না ধরে রাখতে পারিনি। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র পাষাণের থেকেও বড়ো পাষাণ! এই ব্যাকুলতা আর কান্না হয়তো তাদের স্পর্শ করতে পারে না। কিন্তু সবকিছুরই শেষ আছে। এই প্রতিটি ফোঁটা কান্নার হিসাব মহান আল্লাহ একদিন অবশ্যই অবশ্যই নিবেন। ইনশাআল্লাহ।

পঠিত : ৮৮১ বার

মন্তব্য: ০