Alapon

আজ লিও মেসির জন্মদিন...



লিও মেসি ক্যারিয়ারে অন্তত ৪ বার ক্যারিয়ার শেষ করে দেয়ার মত ইঞ্জুরিতে পড়েছিলেন।
ইঞ্জুরি থেকে ফিরে এসে নিজের ফিটনেস ফিরে পেতে এবং আবারও আগের মত পারফর্ম করতে মেসি ডাক্তারদের পাশাপাশি কয়েকজন নিউট্রিশনিস্টের পরামর্শ নেন।

এই নিউট্রিশনিস্টদের মধ্যে আছেন মেসির ব্যক্তিগত নিউট্রিশনিস্ট ড. গিউলিয়ানো পোজার, এছাড়াও আছেন বার্সেলোনার চীফ নিউট্রিশনিস্ট মারিয়া এন্টোনিয়া লিজারাগা।
তবে মেসির জীবনে সবচেয়ে বড় কামব্যাক ছিল ২০১৩-১৪ সালের লম্বা ইঞ্জুরি থেকে ফিরে এসে তিনি যে টানা অফ ফর্মে ছিলেন সেটা কাটিয়ে উঠে আগের চেয়েও ধারালো পারফর্ম করে ২০১৫ সালে ব্যালন ডি অর জেতা। আর এই কামব্যাকের পেছনে মূল ভুমিকা পালন করেছিলেন আরেকজন ক্লিনিক্যাল স্পোর্টস নিউট্রিশনিস্ট, নাম সিলভিয়া ট্রেমোলাডা।
সিলভিয়া ট্রেমোলাডা মূলত মেসির মাসল ফাইবার এবং এবডোমিনাল ফ্যাট নিয়ে কাজ করে মেসির পায়ের হ্যামস্ট্রিং ও কাফ মাসলের টানগুলোকে সারিয়ে তোলেন, পাশাপাশি মেসির তলপেটে জমা হওয়া কিছুটা চর্বি দূর করে তার ওজন প্রায় চার কেজি কমান। এই চার কেজি ওজন কমানোর পথে মেসি আবার প্রায় ৩.৫ কেজি লিন মাসল তৈরিও করেন।
এই পরিবর্তনগুলো ঘটে ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে জানুয়ারী এই সময়ের ভেতর।
এই পরিবর্তন নিয়ে আসার ফলে সিলভিয়া ট্রেমোলাডাকে পরে ম্যানচেস্টার সিটি তাদের ফার্স্ট টিম নিউট্রিশনিস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়, এবং গুজব আছে, বার্সেলোনা আগামী সিজনের জন্য সিলভিয়া ট্রেমোলাডাকে ম্যানসিটি থেকে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করছে।
মেসির প্রিয় ডিশটার রেসিপিও আজকে শেয়ার করি।

অলিভ অয়েল, রোস্টেড পাস্টুর্ড চিকেন, অলিভ অয়েল, পেয়াজ, রসুন, আলু, গাজর আর টক দই থাকে মেসির প্রিয় ডিশে। আমাদের দেশি রান্নার কাছাকাছি।

তো বাংলাদেশে আসলে নিউট্রিশনিস্টদের মানুষ চেনে ওজন কমানো আর ওজন বাড়ানোর কনসাল্ট্যান্ট হিসেবে। কিন্তু একজন দক্ষ নিউট্রিশনিস্টের পদচারনা থাকে বহু জায়গায়।

১)ওজন বাড়ানো
২)ওজন কমানো
৩)ডায়বেটিস নিরাময় বা নিয়ন্ত্রন,
৪)মাসল এন্ড বোন্স বিল্ডাপ,
৫)ফ্যাটি লিভার-ক্রনিক কিডনি ডিজিজ
৬) হার্ট ডিজিজ
৭)স্ট্রোক
৮)অস্টিওপরোসিস
৯)গলস্টোন
১০)থাইরয়েডিজম
১১)পিসিওএস
১২)ইনফার্টিলিটি-সেক্সুয়াল ডিজফাংশন
১৩)প্রেগন্যান্সি এন্ড ম্যাটার্নিটি
১৪)ইমিউনিটি

এগুলিও নিউট্রিশনিস্টদেরই কাজের ক্ষেত্র। তবে এই ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করার সক্ষমতা সম্পন্ন নিউট্রিশনিস্ট বাংলাদেশে খুবই কম।

যাই হোক, মেসির জন্মদিনে মেসির জীবনের একটা অজানা দিক নিয়ে লিখলাম। আশা করি সবার ভাল লাগবে।

পঠিত : ২৫৩ বার

মন্তব্য: ০