Alapon

❝প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও আধুনিক মুসলিম বিশ্বের রূপায়ন❞



(দ্বিতীয় পর্ব)

দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টি হচ্ছে,

সাইকস পিকো চুক্তি!
একদিক দিয়ে ব্রিটিশরা আরবদের প্রতিশ্রুতি দিলো যে তোমরা অটোম্যানদের বিরুদ্ধে লেগে থাকো, তাহলে আরব রাষ্ট্র গঠন করে দেয়া হবে। অন্যদিকে সমানতালে তারা রাশিয়ান, ফ্রেঞ্চ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কয়েক দফা আলোচনায় বসছে যে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ভাগ বাটোয়ারা কেমন হবে! কে কোন অংশের মালিকানা পাবে তা এখন ই ঠিক করে ফেলা যাক- এমন ছিলো তাদের মনোভাব। রাশিয়া ইস্তাম্বুল, অর্থাৎ তুরস্কের প্রধান অংশটুকু দাবি করে বসলো। কেন? পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এ পথ ছিলো নৌপথে তাঁদের সাথে সরাসরি সংযুক্ত। তাই এ অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা তাদের জন্য অনেক জরুরি হয়ে পড়েছিলো। ফ্রান্স চাইলো লেবানন সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো করায়ত্ত করতে, যা এখন সিরিয়া নামে পরিচিত। ইংল্যান্ড আরব ভূমিগুলো নিজেদের অধিকারে রাখতে চেয়েছিলো, অর্থাৎ ইরাক, জর্ডান, হেজায এবং তার আশেপাশের এলাকা। অবশেষে তিন দেশের প্রতিনিধিগণ ভূমি বাটোয়ারার এ গোপন বৈঠকের সিদ্ধান্তে একমত হলো। প্রত্যেকে নিজেদের ভাগের অংশ পাবার প্রতিশ্রুতি পেয়ে সন্তুষ্ট হলো।

এ ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঠিক যেনো রাসূল(সাঃ) এর সেই হাদীসটি স্মরণ করিয়ে দেয়,

সাওবান (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
খাদ্য গ্রহণকারীরা যেভাবে একটি খাবারের পাত্রের চতুর্দিকে একত্র হয়, অচিরেই বিজাতিরা তোমাদের বিরুদ্ধে সেভাবেই একত্রিত হবে। এক ব্যক্তি বললো, সেদিন আমাদের সংখ্যা কম হওয়ার কারণ কি এরূপ হবে? তিনি বললেনঃ তোমরা বরং সেদিন সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে; কিন্তু তোমরা হবে প্লাবনের স্রোতে ভেসে যাওয়া আবর্জনার মতো। আর আল্লাহ তোমাদের শত্রুদের অন্তর থেকে তোমাদের পক্ষ থেকে আতঙ্ক দূর করে দিবেন, তিনি তোমাদের অন্তরে ভীরুতা ভরে দিবেন। এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! ‘আল-ওয়াহন’ কি? তিনি বললেনঃ দুনিয়ার মোহ এবং মৃত্যুকে অপছন্দ করা।”


(মুসনাদে আহমাদ)

অনেকের মনে এ প্রশ্নের উদয় ঘটতে পারে যে, সাইকস-পিকো চুক্তি যদি এতোটা ই গোপনীয় ভাবে সম্পাদিত হয়ে থাকে তাহলে এ মানচিত্রের কথা জনসম্মুখে এলো কেমন করে? ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় অভ্যন্তরীন বিপ্লব সংঘটিত হয়। জার রাজতন্ত্রের পতন হয় এবং বলশেভিক-রা ক্ষমতা লাভ করে। বলশেভিক-রা ক্ষমতায় আসার পর জাতির কাছে জার-দের অপকর্ম ফাঁস করবার অভিসার নিয়ে এ ডকুমেন্টগুলো প্রকাশ্যে নিয়ে আসে। আর যায় কোথায়! নিউইয়র্ক টাইমস, দ্যা টাইমস অফ লন্ডন সহ সব বড় বড় পত্রিকা গুলোর হেডলাইন হিসেবে এ নিউজ ছাপা হয়। ব্রিটিশদের জন্য এ নিউজ লীকের ঘটনা ছিলো চরম লজ্জাজকন। কারণ একদিকে তারা আরব রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে আবার একইসময়ে এ ভূমি নিয়েই অন্যত্র চুক্তি করেছে- এর চাইতে অপমানজনক আর কি ই বা হতে পারে। তাঁদের পরিকল্পনা হয়তো সব ভেস্তে যেতো। তবে মুসলিম-রা বড্ড বোকা কিনা! তাই তাঁদের আবার প্রবোধ দেয়ার অসম্ভব কাজকে ই ব্রিটিশরা সম্ভব করে ফেললো।

তৃতীয়ত,

জায়োনিস্টদের সাথেও ব্রিটিশেরা এক খন্ড নিজস্ব ভূমি দেবে বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলো। কি ডাবল স্ট্যান্ডার্ডবাজি! কিছু নির্দিষ্ট ভূমি, অথচ তা নিয়ে একেক পক্ষের সাথে একেকবার চুক্তি স্বাক্ষর করছে তারা। যাইহোক, জায়োনিজম ছিলো উনবিংশ শতাব্দীর একেবারে শেষের দিকে গঠিত একটি আন্দোলন যাদের মূল লক্ষ্য ছিলো ইহুদীদের জন্য একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গড়ে তোলা। থিওডর হার্জেল ছিলেন এ আন্দোলনের প্রবক্তা এবং শেম ওয়াইজম্যান ছিলেন প্রথম সারির একজন নেতা, যিনি পরবর্তীতে ইজরায়েল রাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইংল্যান্ড চেষ্টা করেছিলো এমন একটি ভূমি জায়োনিস্টদের গছিয়ে দিতে, যা দিলে সমস্যা সৃষ্টি হবে না। তাই তারা উগান্ডা সহ আরো কিছু দেশের অধিকার তাঁদের গছিয়ে দেবার চেষ্টা করে। কিন্তু জায়োনিস্টরা লক্ষ্যের ক্ষেত্রে ছিলো অনড়। কোনভাবেই জেরুসালেম ব্যতীত অন্য কোন ভূমি নিয়ে তারা সন্তুষ্ট হচ্ছিলো না। তাই ব্রিটিশদের একপ্রকার বাধ্য হয়ে ই এ সিদ্ধান্তে একমত হতে হয়। এখন কথা হচ্ছে, জায়োনিস্টদের স্বার্থ নিয়ে ইংল্যান্ডের কেনো এতো মাথাব্যাথা? এ নিয়ে নানা মত প্রচলিত। আমরা চারটি কারণ উল্লেখ করবো।

১। এটি সবচাইতে স্পষ্ট এবং কমন একটি কারণ। রাজনীতি করতে হলে এ কাজ করতে ই হবে। তা হলো- জায়োনিস্টদের সমর্থন পাবার জন্য। ইংল্যান্ডে অনেক অভিজাত, সম্পদশালী ইহূদীদের বসবাস ছিলো। তাঁদের সাপোর্ট পেতে হলে তাঁদের স্বার্থের দিক তো দেখতে ই হবে।

২। শেম ওয়াইজম্যান স্বয়ং ছিলেন ইংল্যান্ডের সর্বাধিক ধনী ব্যক্তিদের অন্যতম। তিনি কেবল এ ধনদৌলতের কারণে ইংরেজদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন না, বরং তা ছিলো এ কারণে যে তার ব্যবসা ছিলো এসিটোন এর উৎপাদন সংক্রান্ত যা বোমা ও বিস্ফোরক তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদান। যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে এসিটোন এর মূল্য, লভ্যতা দুই ই বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিলো৷ অন্যদিকে শেম ওয়াইজম্যান গবেষণা করে বিকল্প উপায়ে এসিটোন উৎপাদনের প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছিলেন। তাই সর্বদিক দিয়ে ই শেম ওয়াইজম্যান ব্রিটিশদের কাছে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বতে পরিণত হয়েছিলেন। একারণেই ওয়াইজম্যানের স্বার্থের দিকে খেয়াল রেখে তাদের দাবী পূরণ করে ব্রিটিশরা তাকে নিজেদের দলে রাখতে চেয়েছিলো। জানা যায় যে, যখন ব্যবসায়িক লেনদেন এর বিষয়টি সামনে আসে, ওয়াইজম্যান অর্থের বিনিময় প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, আমার অর্থের প্রয়োজন নেই। আমাকে প্যালেস্টাইন দাও। এটি খুবই স্বাভাবিক। একজন মাল্টিন্যাশনাল বিজনেসম্যান, যার অর্থের কোন অভাব নেই, সে এমনটা দাবী করা টা ই স্বাভাবিক! ব্রিটিশ কর্তৃক জায়োনিজম সমর্থনের এটি একটি অন্যতম যৌক্তিক কারণ।

৩। ইহূদীবাদের সাথে খ্রিষ্টবাদের সুদূর পরাহত সংযোগ। জেসাসের পুনরাগমনের ভবিষ্যদ্বাণী সংক্রান্ত বিষয়ে তারা উভয়েই একমত। কিছু উগ্র খ্রিষ্টান গ্রুপ এমনকি ইহূদীদের চাইতেও বেশি মাত্রায় জায়োনিস্ট। এটি এ কারণে যে তারা বিশ্বাস করে, যখন পবিত্র ভূমিকে প্রস্তুত করা হবে জেসাস ক্রাইস্ট পুনরায় এ ধরায় আগত হবেন। ইহূদীদের ও তারা পথভ্রষ্ট মনে করে, কারণ তারা ভাবে যে ইহূদীরা এখনো পুরোপুরি আপডেট হয়নি। তবে, আমাদের বিষয়ে তাদের ধারণা কি? তারা আমাদের কোন হিসেবের মধ্যেই গণ্য করে না। আমরা এমনকি সঠিক পথের ধারেকাছেও নেই বলেই তারা বিশ্বাস করে। ইংল্যান্ডের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লর্ড জর্জ মনেপ্রাণে একজন ধার্মিক খ্রিষ্টান ছিলেন। তার মাঝে প্রো জায়োনিস্ট মনোভাব প্রবল রূপে বিদ্যমান ছিলো, তাদের প্রতি তিনি ছিলেন চরম সহানুভূতিশীল। এবং স্বাভাবিকভাবেই আপনি যে বিশ্বাসে দীক্ষিত, তা প্রতিষ্ঠার জন্য আপনি কাজ করবেন ই। তাই এ কারণটিও খুবই যৌক্তিক বলে আমার মনে হয়৷

৪। এ কারণটি আমি কেবল উল্লেখ করতে হবে বলেই করছি। কিন্তু এটি ততোটা সন্তোষজনক মনে হয় না আমার কাছে। যাইহোক, অনেকেই বলে থাকেন জায়োনিস্টদের সাথে প্যালেস্টাইন সংক্রান্ত চুক্তি মূলত হোয়াইট হাউজের কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার জন্য ঘুষস্বরূপ ছিলো, যেনো তারা এর বিনিময়ে আমেরিকাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করেন।

এমন একটি তথ্য রয়েছে, যা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত, কিন্তু তা অনেকের ই অজানা এবং হয়তো তা অনেককে চমকে দিতেও পারে। তা হলো- জায়োনিজমের জন্ম হবার পর প্রথম চার দশক জুড়ে এর প্রধান বিরোধী ছিলো আমেরিকার মূলধারার ইহূদীরা ই! তারা কেউ ই এ মতবাদ, এর লক্ষ্য উদ্দেশ্যের সাথে একমত ছিলো না ততোদিন পর্যন্ত যতোদিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হলো এবং হিটলার তার ধ্বংসযজ্ঞ চালালো। হিটলারের এহেন কাজের পর তারা নিজেরাও একটি স্বতন্ত্র ভূমির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলো এবং জায়োনিজমের সাথে সম্পৃক্ত হলো৷ ব্রিটিশ ক্যাবিনেট সদস্যদের কাছে যখন ১৯১৭ সালে প্যালেস্টাইন জায়োনিস্টদের দেয়া সংক্রান্ত বিল পাশ করা নিয়ে কথা উঠেছিলো, ক্যাবিনেট সদস্যদের মাঝে থাকা একমাত্র ইহুদী সদস্য; যার নাম ছিলো এডউইন স্যামুয়েল মন্টিগো, তিনি ই এ বিল পাশ হবার ক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন। সেসময় তিনি বলেন যে,

ভূমি বন্টনের এ নীতি মুসলমানদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলবে এবং এ সিদ্ধান্ত মুসলমান ও ইহূদীদের মাঝে অনির্দিষ্টকালের জন্য বৈরী সম্পর্কের কারণ হবে। অথচ ইতিহাসে কখনোই আমরা একে অপরের ঘোষিত শত্রু ছিলাম না। নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি করার কোনোই প্রয়োজন নেই।

আমরা যারা মুসলিম তাদের জন্য এখানে একটি বিষয় জানার আছে। জায়োনিস্টদের সাথে আমাদের শত্রুতা রয়েছে, কিন্তু ইহূদীদের সাথে আমাদের কোন শত্রুতা নেই। আমরা প্রায়ই এ বিষয়ে ভুল করে বসি। কনফিউজড হয়ে যাই। জায়নবাদীদের সাথে ইহূদীদের এক করে ফেলি। কিন্তু ইতিহাসের পাতায় পাতায় লিপিবদ্ধ রয়েছে যে মুসলিমরা সর্বদাই ইহূদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলো। যখন খ্রিষ্টানরা ইহূদীদের উচ্ছেদ করছিলো, তারা মুসলিম ভূমিতে এসেই আশ্রয় নিয়েছে। ইহূদীদের বিকাশ ঘটেছে ইসলামী রাষ্ট্রগুলোতে। কিন্তু এখন আমরা জায়নবাদীদের প্রতি থাকা উষ্মার কারণে ইহূদীদের প্রতি বিদ্বেষ ভাব পোষণ করে থাকি।

মন্টিগোর প্রতিবাদ ধোপে টেকে নি। ব্রিটিশ ক্যাবিনেটে প্যালেস্টাইন সংক্রান্ত বিল পাশ হয়ে গেলো। ২ নভেম্বর, ১৯১৭তে ব্রিটিশ কর্মকর্তা স্যার আর্থার বেলফোর, ব্যারেন রথচাইল্ড এর নিকট তাৎক্ষণিক টেলিগ্রাফ প্রেরণ করলেন। যা ইতিহাসে “বেলফোর ঘোষণা” নামে খ্যাত। বেলফোর ঘোষণা কিন্তু গোপনীয় ছিলো না, বরং তা প্রকাশ্যে ই করা হয়। তবু, মধুর বাক্যালাপ দ্বারা আরবদের ভুলভাল বুঝ দিয়ে শান্ত করে ইংরেজরা!

ভূমি বন্টন সংক্রান্ত এ চুক্তিগুলো থেকে ব্রিটিশদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ডবাজির অভ্যাস, আরবদের পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার সহ তাদের হীন চরিত্রের রূপ প্রতীয়মান হয়।

যাইহোক, জার্মানি অবশেষে হার মানতে বাধ্য হয়।

১৯১৮ সালের ১১তম মাসের ১১তম দিনে, অর্থাৎ ১১ নভেম্বর ১৯১৮ তে সকাল এগারোটায় জার্মানের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে অফিশিয়ালি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটে।


এ যুদ্ধের বেশ কয়েকটি পরিণতি ছিলো। তন্মধ্যে প্রথমত ব্যাপক মানুষের প্রাণহানির বিষয়টি উল্লেখ করা যায়। ইউরোপীয় ভূমির অনেক দেশই প্রায় ২০% জনগণ হারিয়েছিলো। পুরো পরিসংখ্যান পালটে গিয়েছিলো।

দ্বিতীয়ত আসে দুর্ভিক্ষের বিষয়টি। যখন জনসংখ্যা হ্রাস পাবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই কাজ করবার ক্ষেত্রগুলোতে উৎপাদন হুট করে কমে যাবে। যুদ্ধে যতো না মানুষের মৃত্যু হয়েছিলো তার চাইতেও তিন-চারগুণ মানুষ দুর্ভিক্ষের কারণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

তৃতীয়ত, পর্যাপ্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারি দেখা দেয়। এর ভয়াবহতা এতোই বেশি ছিলো যে, এর প্রকোপ কালাজ্বরের মহামারীর কাছাকাছি ক্ষতি করে। ধারণা করা হয় যে, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৫% লোক স্প্যানিশ ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে মারা গিয়েছিলো। এর নামকরণ করা হয়েছিলো স্প্যানিশ ইনফ্লুয়েঞ্জা, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা সমগ্র বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিলো। সুস্থ সবল লোকেরা হঠাৎ রক্তবমি করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তো। বীভৎস এ ভাইরাস হলো আসল বার্ড ফ্লু ভাইরাস। এ কারণেই কিছু বছর পূর্বে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের বিস্তার ঘটায় সবার মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। কেননা এটার কোন প্রতিরোধী টিকা আবিষ্কার করা সম্ভব হয় নি।


মূলঃ ড ইয়াসির ক্বাদি
অনুবাদঃ সাবিহা সাবা

পঠিত : ৩৪৬ বার

মন্তব্য: ০