Alapon

|| কষ্টে আমার করণীয় ||



এই পৃথিবী এবং এই পৃথিবীর মানুষগুলো কষ্ট দিয়ে দিয়ে হৃদয়টাতে সীমাহীন দাগ ফেলে দিয়েছে আমার হৃদয়ে। কলিজাটাকে একেবারে জখম করে ফেলেছে। আমার কিচ্ছু করতে মন চায় না আর। কেউ কেউ তো অযথা অপবাদ আর অভিযোগ দিয়ে মনটা মিসমার করে দিয়েছে, দিচ্ছেও অনবরত । আর ভালোই লাগে না এই বিবাদপূর্ণ পৃথিবী। আমি এতো সুন্দর করে চলতে চাই, চলিও কতো সুন্দর করে। তবুও টুকটাক ভুল হলেই আমার ওপর চেপে আসে ভীষণ ভয়ানক কথার আঘাত। সেসব আঘাতের কারণেই আজ আমার কোমল কলিজাটা ক্ষতবিক্ষত। আর এ কারণেই মাঝেমধ্যেই নিজ হাতে নিজের প্রাণ নিয়ে নিতে ইচ্ছে হয়। কখনো-বা খারাপ থেকে খারাপ হয়ে, খারাপের চূড়ান্ত সীমা-পরিসীমা মানুষগুলোকে বুঝিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। কেনো যেনো কাছের মানুষগুলোও ক্রমশই দূরের জগতে পাড়ি জমাচ্ছে। যারা আছে তারা-ও নিয়ম করে দূরত্বের দেয়ালটা বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। কাছ থেকে সরে যাচ্ছে ও সরিয়ে দিচ্ছে। সৃষ্টি করছে যোজন যোজন দূরত্ব। এসব কারণেই কী সুন্দর করে সাজানো-গোছানা আমার এই মনটা আজ ভেঙে খান খান হয়ে গেছে।

.

আসোলে এমন নানাবিধ কারণেই দুর্দান্ত পরিপাটি ও সুন্দর করে সাজানো-গোছানা আমাদের মনটা কখনো না কখনো ভেঙে যায়। কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে ভেঙে দেয়-ই। কিন্তু আমি তো চাই না আমার এই এমনটা ভেঙে পড়ুক। উত্তপ্ত উনুনে জ্বলে ওঠা অনলের মতো দাঊদাঊ করে অনল জ্বলে উঠুক। কিন্তু আমি না চাইলেও আমার এই মনটা ভেঙে পড়ে। ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। খানখান হয়ে যায়। দুমড়েমুচড়ে থেতলে যায়। দুঃখের দাবানল সৃষ্টি হয়ে যায়। সেই দাবানল সবকিছুকেই জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভস্ম করে দেয়। ছারখার করে দেয়। এভাবেই ধীরে ধীরে বিষণ্ণতার কালো মেঘে ছেয়ে যায় মন-আকাশ। তখন আর কিছুই ভালো লাগে না। কিছুতেই মন বসে না। খাওয়া দাওয়া, পড়াশোনা, কাজকর্ম — কিছুতেই মনটা আর আগের মতো যায় না। বসে না। কিছুই যেনো আর ভালো লাগে না! কারো দিকেই আর মায়াভরা দৃষ্টিতে মুগ্ধ হয়ে তাকাতে ইচ্ছে হয় না। চাঁদনী পশর রাত্রিতে স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার মায়াবী আলোর ফোয়ারাতে স্নান করাটা ছিলো আমার আজন্ম লালিত এক শখ। সেই শখটাও যেনো উবে গেছে! কোথায় আর কোন সুদূরে যেনো হারিয়ে গেছে...

চোখে মুখে এখন শুধু অন্ধকার-ই দেখি । শুধুই অন্ধকার! এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাও হঠাৎ হঠাৎ-ই হারিয়ে যায় আমার। কারো ভালো কথাও ভালো লাগে না। তেতো তেতো লাগে। অসহ্য লাগে পুরো দুনিয়ার সব কাজকর্ম। সব মানুষগুলো। দিনকে দিন ধৈর্যের দেয়ালটা খসে খসে মাটিতে পড়ে যায়। চুরচুর হয়ে যায়। দুঃখের দাবানলে ধৈর্যের দেয়ালটা পুড়ে পুড়ে কয়লা হয়ে যায়। ভস্ম হয়ে যায়।

কিন্তু নিজেকেই হুট করে প্রশ্ন করি— এত্তো এত্তো অধৈর্য হয়ে লাভটা কী? সহ্যের সীমাটা ডিঙিয়ে অসহ্যের বাঁকাচোরা পথে উঁকিঝুঁকি মেরে এই ক্ষুদ্র জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলে ফায়দাটা কী? দুঃখের দহনে এভাবে পুড়ে পুড়ে ক্ষয় হওয়ার মাঝে কল্যাণটা কী?

নিজেকে এসব-ই বলি। এভাবেই বলি। এসবই বুঝাই। এভাবেই বুঝাই। একপর্যায়ে আমি ধৈর্যের দেয়ালটা আরো উঁচু করতে, আরো শক্তপোক্ত করে গড়ে তুলতে এক অপরিসীম অনুপ্রেরণার সন্ধান নেমে পড়ি। ছুটে চলি দিগ্বিদিক। কতো কতো কাছের মানুষ আর আপন মানুষের কাছে যাই। কতোভাবেই না আমার করণীয় , আমার অনুপ্রেরণা খুঁজে বেড়িয়েছি। আমার হৃদয়ের শীতলতা হাতড়ে বেড়িয়েছি। যাদের কাছে গিয়েছি, তাদের প্রত্যেককেই হৃদয়ের ঝাপিটা খুলে দিয়েছি। সকলকেই জিজ্ঞেস করেছি কী করবো আমি? আমার করণীয় কী? কিন্তু কারো সাজেশনই আমার জন্য উপকার বয়ে আনে নি। আমার দিলের দরোজায় কারো পরামর্শই সান্ত্বনার শীতল সমীরণ এনে দেয় নি। দিতে পারে নি। তাদের কেউ কেউ আমাকে এবং আমার জীবনকে যেনো আরো কণ্টকাকীর্ণ করে দিচ্ছে। তাদের জবান থেকে নির্গত কথাগুলো আমার জান-জীবনকে আরো দুর্বিষহ করে তুলেছে। তাদের কথার তীরে, আমার ভুল-বিচ্যুতিগুলো নিয়ে তাদের তরফ থেকে প্রাপ্ত খোঁটায় এবং খোঁচায় আমার কোমল কলিজাটা যেনো ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবার যোগাড় !


এক পর্যায়ে আমি আর মানুষের কাছে কষ্ট নিয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। যাওয়া শুরু বকরেছি কুরআনের কাছে। রাসুলের কাছে। রাসুলে কারিম স্বল্লল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের সীরাতের কাছে। তখনই আমি এক পর্যায়ে এক অপরিসীম অনুপ্রেরণার সন্ধান পেয়ে যাই। কোথায় পাই? পবিত্র কুরআনুল কারিমে। আল্লাহ যেনো আমাকেই বলেন—ধৈর্য ধরে এগিয়ে যাও। দাঁতে দাঁত খিঁচিয়ে সহ্য করে যাও সব। একেবারে স-অ-ব! স্বলাত আদায় করে আমার কাছে এই যে অসহ্য বেদনা; এই বেদনা থেকে নিস্তার চাও। ভাঙা মনটাকে শক্ত করার শক্তি-ক্ষমতা চাও। তুমি আমার সৃষ্ট এক শ্রেষ্ঠ জীব। যদি তুমি ধৈর্যশীল হতে পারো, যদি সবরের সরোবরে ভিজিয়ে নিতে পারো নিজের অন্তরাত্মাকে। মনকে। কলিজাকে। হৃদয়কে। তা হলে আমি তোমার সাথেই আছি। পবিত্র কুরআন মাজিদে বিষয়টি এভাবেই এসেছে—

“হে ঈমানদারগণ ! তোমরা আমার কাছে সাহায্য চাও সবর ও স্বলাতের মাধ্যমে। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সবরকারীদের সাথে আছেন”। [ ০১ ]

আমি আমার এতো কষ্ট আর হতাশার এতোসব হিমালয়কে দূরে সরিয়ে রাখতে কুরআন আমাকে আরো একটা করণীয় আমার কাছে উপস্থাপন করেছে। মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আমার আল্লাহ তা জানিয়ে দিয়ে বলেন,

“আর আমি তো জানি, তারা যা বলে তাতে তোমার অন্তর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় । সুতরাং, তুমি তোমার রবের প্রশংসাসহ তাসবিহ পাঠ করো। আর সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও”। [ ০২]


কুরআনুল কারিমে আল্লাহ সুবহানাহু ওতা’আলা আমাকে আরো বলেন, “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর এবং ধৈর্য ধারণে প্রতিযোগিতা করো।”

মহাগ্রন্থের মহান নির্দেশনাসমূহ পড়ে আমার কাছে যা উপলব্ধি হয়েছে, তা হলো; আমার স্রষ্টা, আমার রব আল্লাহ-ই আমার অবস্থা বুঝেন। আমাকে দেখেন, আমার সাথে আছেন। যেহেতু আল্লাহ সুবহানাহু ওতা’আলা আমার সাথে আছেন সেখানে আমি এভাবে আর এরকম করে ভেঙে পড়ার কোনো মানে হয়? যেখানে আমার বেদনার বালুচর বিদূরিত করার দুর্দান্ত সাজেশনসমূহ দিয়েছেন তিনি; সেখানে আমি সেই সাজেশন ফলো না করে কেনো এতো হা-হুতোশ করি? কোন কারণে? কী জন্য? কী উদ্দেশ্যে? কোন মতলবে?


যাইহোক, এভাবে এক পর্যায়ে যখন আমি রাসুলে কারিম স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের জীবনী পাঠ করতে যাই তখন দেখি তিনি মানুষের পীড়াদায়ক কথাবার্তায় স্তব্ধ হয়ে যেতেন না। তিনি কষ্টের সময় ধৈর্য ধারণ করতেন। স্বলাতে আর রব্বের জিকিরে নিমগ্ন হয়ে যেতেন।

যখন আমি হাদিসের পাতায় গিয়ে আমার করণীয় খুঁজি, সেখানেও একই তালকীন পাই, তথা সবরের প্রণোদনা পাই। আল্লাহর রাসুল স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলেন,
সবর বা ধৈর্য হল আলো। আর কুরআন তোমার স্বপক্ষে অথবা বিপক্ষে দলীল। [০৩]


হুট করেই আমার মগজের ভাজে চিন্তের ঊন্মেষ ঘটলো যে সবাই কি এই আলোয় আলোকিত হতে পারে? এই আলোর আলয় আশ্রয় গ্রহণ করতে পারে? কিন্তু আল্লাহর রাসুলের বাণী-ই আমার অন্তরে উদিত প্রশ্নটার জবাব দিয়ে বলেন, যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করার চেষ্টা করবে আল্লাহ তাকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা প্রদান করবেন। এই হাদিসটাতেই তিনি ধৈর্যকে আল্লাহর পক্ষ থেকে অধিক উত্তম দান বলেছেন। যেমন রাসুলুল্লাহ স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলেন ,
কোনো ব্যক্তিকে এমন কোনো দান দেওয়া হয়নি, যা ধৈর্য অপেক্ষা উত্তম ও অধিক হতে পারে। [০৪]

আল্লাহর রাসুলের প্রিয় সাহাবি আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে তিনি বলেছেন যে, নবী স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি মহিলার পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। সে মহিলাটি একটি কবরের পাশে বসে কাঁদছিলো। তার মৃত শিশু সন্তানের জন্য। তখন তিনি মহিলাটিকে বললেন, ‘‘তুমি আল্লাহকে ভয় করো এবং ধৈর্য ধারণ করো।’’


কিন্তু মহিলাটি নবীজির সাথে রুক্ষ আচরণ করে বসলো। সে বলল, ‘আপনি আমার নিকট হতে দূরে সরে যান। কারণ, আমি যে বিপদে পড়েছি আপনি তাতে পড়েননি।’ আসোলে মহিলাটি এভাবে বলার কারণ হলো মহিলাটি মহানবী স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামকে চিনতে পারেন নি। যার প্রেক্ষিতে চরম শোকের মূহুর্তে তাঁকে অসঙ্গত কথা বলে ফেলেছে। এরপর যখন সে জানতে পারলো যে, ‘তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন, তখন সে রাসুল স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গিয়ে বললো, ‘হে আল্লাহর রাসুল ! আমি আপনাকে চিনতে পারিনি।’ তখন আল্লাহর রাসুল স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
‘‘আঘাতের শুরুতে সবর করাটাই হল প্রকৃত সবর।’’ [ ০৫]


কুরআন-হাদিস-সীরাহ পড়ে যখন বর্তমান দুনিয়ার শীর্ষ কিছু লেখক-সাহিত্যিকদের বই-পত্র পড়া শুরু করেছি, তখন তাদের অনেকের লেখার মাঝেও এই ধৈর্য বা সবরের আলোকপাত পাই। হাল আমলের বিশ্ববিখ্যাত জনপ্রিয় ব্রাজিলিয়ান লেখক পাওলো কোয়েলহো বলেন ,
“আমার জীবনে আমি অনেক ঝড় দেখেছি। আর আমি শিখেছি ঝড়কে নিয়ন্ত্রণের শক্তি আমার নেই। কিন্তু আমার আছে ধৈর্য, যার মাধ্যমে আমি ঝড়ের সময় পার করে আগামীর দিকে তাকাতে পারি”

রাশিয়ান লেখক লিও টলস্টয় বলেন
“ধৈর্য হলো জগতের সবচেয়ে শক্তিমান যোদ্ধা”


ফ্রেঞ্চ কবি ও লেখক ভিক্টর হুগোর একটা কথাও আমার প্রচণ্ড ভালো লেগেছে। তিনি বলেছেন,
“জীবনের দু:খকে জয় করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সাহস আর ধৈর্য”


এদের কথাগুলো খুব বিরাট অনুপ্রেরণা যোগালেও এখন আমার কাছে মনে হয় আসলে আমি মুসলিম হিসেবে আমার সবচেয়ে বড়ো অনুপ্রেরণা-ই বটে। কারণ এসব লেখা কিংবা উক্তি আল্লাহর কুরআন আর তাঁর রাসুলের হাদিসের-ই প্রতিনিধিত্ব করে।

এই যেমন এখন যদি পুনরায় কুরআনের কাছে যাই, আর কুরআনুল কারিমকে জিজ্ঞেস করি যে, ধৈর্য ধারণ করলে কী হবে আমার? এর ফলাফল কী এবং পরিণাম কী? সেটাও আল্লাহ তাঁর কুরআনে আমাকে অল্পকথায় জানিয়ে দিয়ে বলেন,
“ধৈর্যশীলদেরকে তো অপরিমিত পুরস্কার দেওয়া হবে”। [০৬]



আজকে আমি এখন বুঝতে শিখেছি যে, কষ্টে আমার করণীয় হচ্ছে সবর করা। রব্বে কারিমের প্রশংসা করা। তাঁর তাসবীহ ঝপা। সিজদাহতে তাঁর সামনে মগজকে লুটিয়ে দেওয়া। সফল হতে হলে, নিজেকে ভালো আর মানসিকভাবে প্রশান্তিতে রাখতে হলে প্রয়োজন হচ্ছে মানুষের থেকে পাওয়া কষ্টগুলোকে স্রেফ এড়িয়ে যাওয়া। দুনিয়ার কারো কাছে নয়, মহান প্রভুর কাছ থেকেই অনুপ্রেরণার অনুসন্ধান করা। দুনিয়া এবং আখেরাতে যদি ভালো আর সুখে থাকতে চাই, তা হলে আমাকে কষ্টের সময় এসবগুলোকেই করণীয় হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। আমার আল্লাহ যদি আমাকে তাওফিক প্রদান করেন, তাহলে আমি ইন শা আল্লাহ কষ্টগুলোকে দ্রুতই কাটিয়ে উঠতে পারবো। ইন শা আল্লাহ !


|| কষ্টে আমার করণীয় ||

~রেদওয়ান রাওয়াহা

[আল্লাহর ওয়াস্তে লেখাটি কপি করবেন না]


তথ্যসূত্র

-----------------

০১। আল-কুরআন : ০২/১৫৩

০২। আলকুরআন : ১৫/ ৯৭-৯৮

০৩। সহীহুল বুখারী-২২৩, মুসলিম-৩৫১৭, ইবনু মাজাহ-২৮০, আহমাদ- ২২৩৯৫, ২২৪০১, দারেমী-৬৫৩

০৪। সহীহুল বুখারী-১৪৬৯, ৬৪৭০, মুসলিম-১০৫৩, তিরমিযী-২০২৪, নাসায়ী-২৫৮৮, ১৬৪৪, আহমাদ- ১০৬০৬, ১০৬২২, ১০৬৬০, মুওয়াত্তা মালিক-১৮৮০, দারেমী-১৬৪৬
০৫। সহীহুল বুখারী- ১২৫২, ১২৮৩, ১৩০২, ৭১৫৪, মুসলিম-৯২৬, তিরমিযী- ৯৮৮, নাসায়ী-১৮৬৯, আবূ দাউদ-৩১২৪, ইবনু মাজাহ-১৫৯৬, আহমাদ-১১৯০৮, ১২০৪৯, ১২৮৬০।
০৬। আলকুরআন : ৩৯ /১০

পঠিত : ৩৫৯ বার

মন্তব্য: ০