Alapon

সিইসি হুদার রাশিয়া সফর



গত কাল ছিল রাশিয়ায় নির্বাচন। পুতিন ভাইয়ের টেনশনের শেষ নাই। নাভালনিরে বিষ পর্যন্ত খাওয়াইছে। জান এত শক্ত! কোমায় গেছে, তারপরও মরে নাই।

গত সপ্তাহে পুতিন ভাই হাসিনার সাফল্যে ইর্ষান্বিত হয়ে ফোন দেন ও নির্বাচনের জন্য বুদ্ধি-পরামর্শ চান।

হাসিনা বলেন, এখন ডিজিটাল যুগ। এত কথা ফোনে কইতে পারতাম না। আপনার জন্য গিফট পাঠিয়ে দিচ্ছি। এই বলে তিনি ফোন রেখে দেন।

তারপর হাসিনা বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার হুদাকে বললেন, নির্বাচন তো সে কবেই শেষ। তুমি তো হুদাই কেবল বেতন খাও। যাও একটু বেতন হালাল করো। রাশিয়া যাও, পুতিন ভাইরে জিতায়া দাও।

হুদা দাসানুদাস রাশিয়া গিয়ে পুতিন ভাইরে কইলো, আফা আমনেরে সালাম কইছে। এই আমিই সেই উপহার যার কতা আফায় কইছে।

পুতিন ভাই তার চেহারার দিকে তাকিয়ে ভরসা পাচ্ছিলেন না। তখন হুদা ভাই কইলো, কীভাবে খেলবেন? সফট না হার্ড?

পুতিন ভাই কয়, বহুত হার্ড খেলসি। নাভালনিরে তো কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না।

হুদা অর্থপূর্ণ হাসি দিয়া কয়, আছে তো আপনার এফএসবি। কালা র‍্যাব নাই। যাই হোক চিন্তা করিয়েন না, আফারে কইলে আফায় সামনের বার বেঞ্জিররে পাঠায় দিবে। আফারে আম্নের হইয়া আমি কয়ে দিব। যদিও আফা ওরে ছাড়তে চায় না। ওর হালকা আলুর দোষ আছে।

এই বলে ঠোঁটে বাঁকা হাসি দিয়ে হুদা পুতিন ভাইরে কিছু একটা ইঙ্গিতে বুঝাতে চায়। পুতিন বুঝেছে কিনা সেটা স্পষ্ট হয়নি। বললো, আলুর দোষে সমস্যা নাই। ও আর কত আলু খাবে?

এরপর হুদা কয়, পুতিন ভাই কানটা একটু নিচে নামান। পুতিন ভাই একটু নিচু হলে হুদায় কানের কাছে বিড় বিড় করে কিছু একটা বলে। এরপর দুজনেই হো হো করে হেসে ওঠে।

এরপর হুদা বলে, যাউজ্ঞা, হার্ড খেলনের লোক যেহেতু নাই সফটই খেলি। আফনে নির্বাচন কমিশনের সবগুলা কমিশনাররে আমার লগে দেখা করতে কইয়েন।

ওদের সাথে মিটিং করে হুদা খালি ঘুরে আর সেলফি তুলে। এদিকে পুতিনের চিন্তা শেষ হয়না। কী একটা পাগলা কিসিমের লোক আসছে। এতো বড় ঘটনা সামলাবে অথচ সিরিয়াসনেস নাই এক বিন্দু।

এদিকে নাভালনিও বুঝতে পারতাছে না, পুতিনের হইলোটা কী? পুতিন এবার পুলিশ, গোয়েন্দা, মামলা, হামলা কিছুই করতাছে না। সবই স্বাভাবিক!

নাভালনি দাসানুদাস হুদার ব্যাপারে অবগত ছিল। সে তার লোক লাগালো হুদার পেছনে। দেখা গেল সে খালি সেলফি তুলে আর গামলা ভরে ভাত খায় কাঁচামরিচ দিয়া। ষড়যন্ত্র ধরতে পারতাছে না নাভালনি। এদিকে পুতিনও বুঝতে পারছে না পরিকল্পনা কী?

অবশেষে সব জল্পনা কল্পনা শেষে গতকাল ভোটের দিন দেখা গেল রাতেই ভোট দিয়ে গেছে গায়েবি ভোটাররা। ব্যালট বাক্স আগেই পূর্ণ। কোনো সহিংসতা ছাড়াই সফটভাবে জিতে গেল পুতিন ভাইয়ার দল।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হুদা ভাই এখনো ভাত খেয়েই যাচ্ছেন। উনি উপলব্ধি করেছেন রাশিয়ার চালে বিশেষ কিছু আছে। তিনি নির্বাচন কমিশনার কবিতাকে ফোন করে জানিয়েছেন রাশিয়ার চাল বাংলাদেশে আমদানির ব্যবস্থা করতে। এই আমদানি নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানেই হবে।

কবিতা মাহবুব তালুকদারকে সাথে নিয়ে কপট বিরোধীতা করবেন বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পিয়ন বলেছে স্যার-ম্যাডাম বিরোধীতা করে সম্বাদিক মিটিং করার ফরই তারা দুজনেই যাবেন এলসি খুলতে।

হুদা কবিতাকে আরো জানিয়ে দিয়েছে সম্বাদিকরা প্রশ্ন করলে বইলবা, পুলিশ, সেনাবাহিনী আর বিজিবি যদি চাল ডাল আটা ময়দার ব্যবসা করতে পারে তবে নির্বাচন কমিশনের অপরাধ কি? তারা কি চালের ব্যবসা করে দেশ গড়ায় ভূমিকা রাখতে পারবে না?

পঠিত : ৩৫১ বার

মন্তব্য: ০