Alapon

ইজতেহাদি মাস'আলা




.
আমাদের একটা মুলনীতি ভালোভাবে বোঝা উচিত, তাহলে আমাদের মাঝে বিতর্ক অনেকটাই কমে আসবে ইনশাআল্লাহ।
.
কোর'আন সুন্নাহতে সুস্পষ্ট দলিল নাই বা একই বিষয়ের একাধিক দলিলে ভিন্ন ভিন্ন বিধানের কথা উল্লেখ আছে এমন বিষয়গুলো মুজতাহিদ উলামায় কেরাম তাদের ইলমের আলোকে গবেষনা করে যেসব মাস'আলার সমাধান করে থাকেন এগুলোই ইজতেহাদি মাস'আলা। অর্থাৎ একই বিষয় একাধিক ভিন্ন ভিন্ন বিধান বর্নিত হাদিস আছে অথবা এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলো সম্পর্কে কোর'আন সুন্নতে স্পষ্ট কোনো দলিল পাওয়া যায় না এমন ব্যাপার নিয়াই গবেষনার দরকার হয়। এক্ষেত্রে উলামায় কেরাম নিজ নিজ ফিকহের উসুলের ভিক্তিতে গবেষনা করে মাসয়ালা বের করেন। ফিকহের উসুলের ভিন্নতা থাকলে মতভিন্ন হওয়া তো একদমই স্বাভাবিক আবার একই মাজহাবের অনুসারি মুফতিদের মাঝেও মতপার্থক্য হতে পারে।
.
এমন অনেক ইজতেহাদি মাসয়ালা আছে যা স্ব স্ব স্থানে সঠিক। আবার অনেক মাসয়ালা আছে যেখানে কোনো মুজতাহিদ ভুল করেছেন আবার অপরজনেরটা সঠিক হয়েছে। মুজতাহিদ ইমামের ইজতেহাদে ভুল করাটাও স্বাভাবিক। যেহেতু এটা তার গবেষনা করে বের করা মাসয়ালা। অনেক সময় সমস্যার ব্যাপারে পরিপুর্ন ধারনা নাও থাকতে পারে, ভুল তথ্য থাকতে পারে বা তার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন থাকতে পারে। বিভিন্ন কারনেই ইজতেহাদে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে মুজতাহিদ ভুল করলেও নেকি পাবেন।যে মুজতাহিদ ভুল করবে তিনি এক নেকি পাবেন আর যার ইজতেহাদ সঠিক হবে তিনি ডাবল নেকি পাবেন।
.
মুজতাহিদের ইজতেহাদের ভুল বা ভিন্ন মতের কারনে তাকে গালিগালাজ করা বা তার বিরুদ্ধে আক্রামনাত্মক কথা বলা কোনো ভাবেই জায়েজ হতে পারে না। বা কোনো মুজতাহিদের কিছু ইজতেহাদি মাসয়ালা ভুল হলেও তার গ্রহনযোগ্যতা কমে যায় না। আবার কারো মত ভিন্নতার কারনে কেউ কারো বিরুদ্ধে কুফুরির ফতওয়াও দেয় না।
.
ইজতেহাদি মাস'আলার ক্ষেত্রে সাধারন মানুষের কর্তব্য হলো- যে আলেমের ইজতেহাদ কোর'আন সুন্নাহর বেশি নিকটবর্তী, যার ফতওয়া বেশি যুক্তিযুক্ত তাকেই অনুসরন করা।
.
তবে ইজতেহাদি মাস'আলা নিয়ে আমজনতার উচিত না ঝগড়াঝাঁটি করা।

পঠিত : ৪৮৮ বার

মন্তব্য: ০