Alapon

আওয়ামী মন্ত্রীসভা এখন গরু গাধা দিয়ে পূর্ণ...



দেখলাম এক ভাই বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘ডা. মুরাদের মতো গরু-গাধা একটা দেশের প্রতিমন্ত্রী হয় কীভাবে!’

আমি তার এই স্ট্যাটাস দেখেই বিস্মিত হয়েছি। কারণ, তিনি মন্ত্রীসভায় কেবল একটা গরু-গাধা দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু আমি তো দেখতে পাচ্ছি গোটা মন্ত্রীসভাই গরু গাধা দিয়ে পূর্ণ; কেবল দু’একজন ছাড়া।

আপনাদের একটা প্রশ্ন করি। আচ্ছা বলুন তো, আপনি বর্তমান মন্ত্রীসভার কতজন মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীর নাম জানেন? আমার ধারণা, আপনারা মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মিলিয়ে দশজনের নামও বলতে পারবেন না। আমিও পারব না। কারণ, মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তাদের অধিকাংশেরই কোনো ভূমিকা নেই।

মন্ত্রীদের মধ্যে আমরা কেবল চিনি সেতুমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী আর অল্পস্বল্প রেলমন্ত্রীকে। উপরেল্লিখিত মন্ত্রীগণ তাদের অল্পস্বল্প কর্মের কারণে পরিচিতি পেয়েছেন। আর ভাড়ামোর জন্য পরিচিতি পেয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার সাহেব এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন সাহেব। এসব মন্ত্রনালয় ছাড়াও দেশে আরও মন্ত্রনালয় রয়েছে। সেসব মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীদের নাম খুব একটা শোনা যায় না। কারণ, দেশের গুরুত্বপূর্ণ কাজে তাদের তেমন কোনো অংশগ্রহণ নেই।

প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে টিভি-পত্রিকায় দেখা যায় জুনায়েদ আহমেদ পলক সাহেবকে। কিন্তু প্রতিটা মন্ত্রনালয়ের একজন করে প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। কিন্তু পলক সাহেবকে ছাড়া আপাতত আর কোনো প্রতিমন্ত্রীর নাম আমার জানা নেই। খুব সম্ভবত, জাতিও প্রতিমন্ত্রীদের নাম খুব একটা জানে না। কারণ, যেখানে মন্ত্রীরাই কুমড়ো পটাস, সেখানে প্রতিমন্ত্রীরা তো পঁচা আলু!

বর্তমান মন্ত্রীসভায় ডা. মুরাদের মতো কুমড়ো পটাস আরও আছে। কিন্তু তারা কথা বলে না বা মিডিয়া ফেইস করে না বলেই, তাদের পাগলামো জনসম্মুখে প্রকাশ পাচ্ছে না। ডা. মুরাদ তথ্য প্রতিমন্ত্রী সেই ২০১৯ সাল থেকে! অথচ চলতি বছরের অক্টোবরে ধর্ম নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার পূর্বে তার নাম খুব একটা শোনা যায়নি। যখন থেকে মুরাদ মিডিয়া ফেইস করতে শুরু করেছে, তখন থেকে তার পাগলামো প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। এমন পাগল মন্ত্রীসভায় আরও আছে।

এমন পাগল মন্ত্রীসভায় আরও থাকার কারণে হচ্ছে, মন্ত্রীসভায় যারা জায়গা পেয়েছে, তাদের অধিকাংশই ‍উত্তরাধিকার সূত্রে রাজনীতিতে জায়গা করে নিয়েছে। যার কারণে তারা ঠিক রাজনৈতিক নেতা হয়ে উঠতে পারেনি। তারা রাজনৈতিক ব্যবহারটাও জানে না। তারা কেবল জানে কীভাবে পিএমের গুনগান গাইতে হয়! তারা শুধু জানে কীভাবে চাটতে হয়। আর যে যতোবেশি চাটতে পারঙ্গম, সে ততোবেশি সফল!

আর প্রকৃত রাজনৈতিক নেতারা হয় আত্মমর্যাদা সম্পন্ন। তারা কখনো তেলবাজি করে দলে বা মন্ত্রীসভায় জায়গা করে নিতে চায় না। তারা আপন যোগ্যতায় মন্ত্রীসভায় জায়গা পেতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন যোগ্যতার কোনো ভাত নেই। এখন রাজনীতি আটকে গেছে তেলবাজির মাঝে! তেলবাজির এই রাজনীতি আওয়ামী লীগের জন্য কখনোই সুফল বয়ে আনবে না। শেখ হাসিনা তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র রাজনৈতিক নেতাদের অঘোষিতভাবে একঘরে করে ফেলেছে। আর তাদের জায়গায় স্থান দিয়েছে তেলবাজদের। যাদের কোনো রাজনৈতিক শিকড় নেই। তাদের কোনো আদর্শ নেই। আর এই আদর্শহীণ নেতারাই একদিন আওয়ামী লীগের ধ্বংসের কারণ হয়ে ‍উঠবে!

পঠিত : ৮৫৯ বার

মন্তব্য: ০