Alapon

আসেন সবাই দুই ভাগ হয়ে মারামারি করি!

সামান্য 'সরি' দিয়ে যেই সমস্যার সমাধান হতে পারে ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে অনেক সময় সেই ঘটনা পত্রিকার শিরোনাম এ পরিণত হয়। একজন 'মানুষ' একটা ঘটনা যেভাবে দেখেন একজন 'ক্ষমতাওয়ালা' কেন যেন সেভাবে দেখতে পারেন না। আসলে দেখতে চান না। কোন উনিশ বিশ হলেই সাথে সাথে মাথায় 'হেডম' দেখানোর ভূত চেপে বসে। ভাবটা এমন, "ব্যাপারটা এমনিতেই ছেড়ে দিতে পারি কিন্তু কেন দেবো! আমি কী ভাইসস্যা আইছিনি! আমার পিছনে কোন ভাই আছে ঐ হালার পুত জানে?"


আসল কথা হলো হেডম দেখানোর ঘটনা মাত্র একদিন দুইদিন না প্রায় প্রতিদিনই ঘটে সারাদেশে। তাও আবার একটা না দুইটা না সংখ্যায় হাজার হাজার। সাধারণ মানুষেরা কারণে অকারণে হেডমওয়ালাদের হেডম দেখে। দোষে নির্দোষে তাদের গালাগালি চড় থাপ্পড় খেয়ে মাথা নিচু করে মনে মনে গালি দিতে দিতে চলে যায়। একা একা বসে নিজে এতো অসহায় কেন এই দুঃখে জ্বলে পুড়ে ছাড়খার হয়। কখনও নিজেও পরে অন্যকারও সাথে যোগ দেয় প্রতিশোধ নিতে।


এখন কথা হলো মিডিয়াতে আসে কোনগুলো? যখন দুই পক্ষই বড় বড় হেডমওয়ালা হয়। এইসব ঘটনার পেছনে যতোটা না প্রাতিষ্ঠানিক বা দলীয় কিংবা আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদ কাজ করে অনেক তারচেয়ে বেশী কাজ করে রাজনৈতিক খুটির জোর এবং ব্যাক আপ দেয়া 'ভাই ব্রাদারদের' এটিচুড। একটু ক্ষমতার সন্ধান থাকলেই মনের ভেতর তৈরি হয় দেখায়া দিমু তুই কার লগে ঘাউড়ামি করছস টাইপ মানসিকতা। ফলাফল সামর্থ্যে মধ্যে যতোটুকু 'দেইখা নেওয়া'সম্ভব পুরোটুকুই করা হয়। কখনও কখনও ধার করেও হয়।


ঠিক এই কারণেই কোথাও দুইটি প্রতিষ্ঠানের মারামারি দেখলেই আমি হুট করে ভেবে বসি না যে তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে, প্রতিষ্ঠানের মান মর্যাদা রক্ষা করতে অন্য প্রতিষ্ঠান এর কাউকে হামলা করেছে। যদি সত্যিই পেশাগত বা স্পেসিফিক কারণ থাকে তখনই কেবল এটা বলা সম্ভব। তাই হুজুগে পরে দয়া করে উগ্র জাতীয়তাবাদী মানসিকতার প্রকাশ না করাই ভালো। সেক্ষেত্রে যারা এইসব ঘটনায় যেই 'পাওয়ার' কে বেজ ধরে ঘটনার শুরু করেছে সমাধানের দায়িত্ব সেই পাওয়ারের হাতেই ন্যাস্ত করা ভালো।

পঠিত : ৫০৬ বার

মন্তব্য: ০