বিয়ে কোন কোচিং সেন্টার নয়
তারিখঃ ৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:৫৩
বিয়ে কোন কোচিং সেন্টার না যে সারাদিন মাষ্টারি করে শেখাবেন।
.
অনেকে পরামর্শ দেন যে, আপনি তো দ্বীনদার তাই এমন একজন বিয়ে করুন যিনি আপনার সান্নিধ্যে এসে পরিবর্তন হয়ে দ্বীনদার হবার সুযোগ পাবে।
কথাটা সুন্দর। কিন্তু এটা খুবই দুরূহ।কারণ, যিনি দ্বীন মানবেন তিনি এ বিষয়ে আগ থেকে সিরিয়াস হবেন। দ্বীনি বিষয়ে আপোষ করবেন না।
বিয়ের আগে সেক্যুলার লাইফ প্রাকটিস করে এসে বিয়ের পর আপনার সান্নিধ্যে এসে রাতারাতি পরিবর্তন হবে - এটা খুব কঠিন, তবে হতেও পারে,সেটা ভিন্ন কথা। কারণ হিদায়াত চাইলে পাবে , না চাইলে?
.
তার ২০-৩০ বছরের জীবনে পাপের প্র্যাকটিস কি? তার প্রভাব কি? এটা স্মরণ রাখতে হবে। রসূল ﷺ এমনটা বলেছেন, যে ব্যক্তি ধারাবাহিক গোনাহে লিপ্ত হয়, তাওবাহও করে না তার অন্তরে কালো দাগ পড়ে যায় ।
এক সময় তার অন্তর কলসির মত উল্টে যায়, ভাল কোন কাজ আর তার অন্তরে প্রবেশ করে না যেমন উল্টে যাওয়া কলসিতে পানি প্রবেশ করে না।
.
আর বিয়েটা বুঝে চলার জীবন, এটা কোচিং সেন্টার না যে বিয়ে করে এনে মাষ্টারের মত করে বুঝালে তিনি বুঝে যাবেন আর তিনি রাবেয়া বসরী অথবা মাওলানা তারিক জামিল হয়ে যাবেন।
এরা ভারতীয় নায়ক / নায়িকাদের দেখে দেখে স্বপ্নটা ওরকম বুনেছে, এসে যখন দেখে এ তো মোল্লা টাইপ তখন নাইনটি ডিগ্রি পল্টি নেয়।
আর খুব সঙ্গত যে , স্বামী / স্ত্রী একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনে মনে সেটআপ করে নেয়, পরিপূরক হিসেবে না, তাই কোন কথা নিজের জন্য ওতটা পজিটিভ মনে করে না।
.
বিয়ে করতে হয় সংসার গঠন করতে। যেমন সংসার গঠন করতে চান তেমন কর্মী বাছাই করে নিন।
আপনি করবেন ফুল বাগান,নিয়ে আসলেন কাঠমিস্ত্রি, তা কি হবে?
দ্বীনদার পরিবার গঠন করতে চাইলে আপনি দ্বীনদার মানুষ বাছাই করুন। সন্তানের বাবা অথবা সন্তানের মা কেমন হবে,এটা বিবেচনা করুন;এরপর ভাবুন আপনার স্ত্রী বা স্বামী আপনার কতটা সুখের উপাদান হবে।
রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
মানুষ চারটি বিষয় দেখে বিয়ে করে থাকেঃ-
১) সৌন্দর্য্য,
২) সম্পদ,
৩) বংশ এবং
৪) দ্বীনদারী।
.
রসূল ﷺ বলেন,
তুমি দ্বীনদারী দেখে বিয়ে করলে সফল হবে।
বুঝলেন এবার?
রসূল ﷺ যদি আপনার জীবনের পরামর্শক হয়,তবে আর কি লাগে?
যতো পরিবারে আগুন জ্বলছে,খোজ নিয়ে দেখা যাবে,উপরের বিষয়গুলো অনেকটা মিলে যায়।
অতএব,নবীনরা ভুল করবেন না আশা করি إن شاء الله
- মুফতি জোবায়ের হোসেন
মন্তব্য: ০