Alapon

নিফাকের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ


❏ নিফাকের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ
.
◘ নিফাকের সংজ্ঞা:
আভিধানিকভাবে নিফাক শব্দটি نافق ক্রিয়ার মাসদার বা মূলধাতু। বলা হয়- نَافَقَ، يُنَافِقُ، نِفَاقًا وَمُنَافَقَةً শব্দটি النَافِقَاء থেকে গৃহীত যার অর্থ ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর গর্তের অনেকগুলো মুখের একটি মুখ। তাকে কোনো এক মুখ দিয়ে খোঁজা হলে অন্য মুখ দিয়ে সে বের হয়ে যায়।
এও বলা হয়ে থাকে যে, নিফাক শব্দটি نفقٌ থেকে গৃহীত যার অর্থ- সেই সুড়ঙ্গ পথ যাতে লুকিয়ে থাকা যায়।
শরী‘আতের পরিভাষায় নিফাকীর অর্থ হলো- ভেতরে কুফুরী ও খারাবী লুকিয়ে রেখে বাহিরে ইসলাম যাহির করা। একে নিফাক নামকরণের কারণ হলো সে এক দরজা দিয়ে শরী‘আতে প্রবেশ করে অন্য দরজা দিয়ে বের হয়ে যায়। এ জন্যই এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন,
﴿إِنَّ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ هُمُ ٱلۡفَٰسِقُونَ ٦٧﴾ [التوبة: ٦٧]
“নিশ্চয় মুনাফিকরাই ফাসিক-পাপচারী।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৬৮]
এখানে ফাসিক মানে হলো- শরী‘আতের সীমানা থেকে যারা বের হয়ে যায়। আল্লাহ মুনাফিকদেরকে কাফিরদের চেয়েও নিকৃষ্ট বলে গণ্য করেছেন।
﴿إِنَّ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ فِي ٱلدَّرۡكِ ٱلۡأَسۡفَلِ مِنَ ٱلنَّارِ وَلَن تَجِدَ لَهُمۡ نَصِيرًا ١٤٥﴾ [النساء: ١٤٥]
“নিঃসন্দেহে মুনাফিকরা থাকবে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে। তাদের জন্য তুমি কোনো সাহায্যকারী পাবে না।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৪৫]
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يُخَٰدِعُونَ ٱللَّهَ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَمَا يَخۡدَعُونَ إِلَّآ أَنفُسَهُمۡ وَمَا يَشۡعُرُونَ ٩ فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٞ فَزَادَهُمُ ٱللَّهُ مَرَضٗاۖ وَلَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمُۢ بِمَا كَانُواْ يَكۡذِبُونَ ١٠﴾ [البقرة: ٩، ١٠]
“তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে প্রতারিত করতে চায়। অথচ তারা যে নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে প্রতারিত করে না, তা তারা বুঝতে পারে না। তাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে। আর আল্লাহ তাদের ব্যাধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি কারণ তারা মিথ্যাচার করে বেড়াত।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ৯-১০]
.
◘ নিফাকীর প্রকারভেদ:
নিফাকী দুই প্রকার:
প্রথম প্রকার: ইতেক্বাদ বা বিশ্বাসের ক্ষেত্রে নিফাকী:
একে বড় নিফাকী বলা হয়। এতে মুনাফিক ব্যক্তি বাহ্যিকভাবে ইসলামকে যাহির করে এবং কুফুরীকে গোপন রাখে। এ প্রকারের নিফাকী ব্যক্তিকে পুরোপুরিভাবে দীন থেকে বের করে দেয়। উপরন্তু সে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছে যায়। আল্লাহ তা‘আলা এ প্রকারের মুনাফিকদেরকে যাবতীয় নিকৃষ্ট গুণাবলীতে অভিহিত করেছেন। কখনো কাফির বলেছেন, কখনো বেঈমান বলেছেন, কখনো দীন ও দীনদার লোকদের প্রতি ঠাট্রা-বিদ্রুপকারী হিসেবে তাদেরকে বর্ণনা করেছেন এবং এও বলেছেন যে, তারা দীন-ইসলামের শত্রুদের প্রতি পুরোপুরিভাবে আসক্ত, কেননা তারা ইসলামের শত্রুতায় কাফিরদের সাথে অংশগ্রহণ করে থাকে। এরা সব যুগেই বিদ্যমান, বিশেষ করে যখন ইসলামের শক্তি প্রবলভাবে প্রকাশ পায়।
যেহেতু এ অবস্থায় তারা প্রকাশ্যে ইসলামের মোকাবেলা করতে সক্ষম নয়, তাই তারা যাহির করে যে, তারা ইসলামের মধ্যে আছে, যেন ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ভিতরে ভিতরে ষড়যন্ত্র পাকাতে পারে এবং মুসলিমদের সাথে মিলেমিশে থেকে নিজেদের জান-মালের হিফাযত করতে পারে। অতএব, মুনাফিক বাহ্যিকভাবে আল্লাহ, তাঁর ফিরিশতাগণ, কিতাবসমূহ, রাসূলগণ ও আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান আনার ঘোষণা দিলেও অন্তরে এসব কিছু থেকেই সে মুক্ত, বরং এগুলোকে সে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। আল্লাহর প্রতি তার ঈমান নেই এবং এ বিশ্বাসও নেই যে, তিনি তাঁর এক বান্দার ওপর পবিত্র কালাম নাযিল করেছেন, তাকে মানুষের প্রতি রাসূল করে পাঠিয়েছেন, আল্লাহর হুকুমে তিনি তাদেরকে হিদায়াত করবেন, তাঁর প্রতাপ সম্পর্কে তাদেরকে সতর্ক করবেন এবং তাঁর শাস্তির ভয় প্রদর্শন করবেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা এসব মুনাফিকদের স্বরূপ উম্মোচন করেছেন, তাদের রহস্য উদঘাটন করে দিয়েছেন এবং বান্দাদের সামনে তাদের মু‘আমেলা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যাতে তারা এসব মুনাফিকদের ব্যাপারে সতর্ক থাকে।

আল্লাহ তা‘আলা সূরা বাকারাহ’র শুরুতে তিন শ্রেণির লোকদের কথা বর্ণনা করেছেন: মুমিন, কাফির এবং মুনাফিক। মুমিনদের সম্পর্কে চারটি আয়াত, কাফিরদের সম্পর্কে দু‘টি আয়াত এবং মুনাফিকদের সম্পর্ক তেরোটি আয়াত উল্লেখ করেছেন। সংখ্যায় মুনাফিকদের আধিক্য, মানুষের মধ্যে তাদের নিফাকীর ব্যাপক সম্প্রসারণ এবং ইসলাম ও মুসলিমদের ওপর তাদের ভীষণ ফিতনা সৃষ্টির কারণেই তাদের ব্যাপারে এত বেশি আলোচনা করা হয়েছে। মুনাফিকদের কারণে ইসলামের ওপর অনেক বেশি বালা-মুসীবত নেমে আসে। কেননা ইসলামের প্রকৃত শত্রু হওয়া সত্ত্বেও তারা মুসলিম হিসেবে পরিচিত এবং তাদেরকে ইসলামের সাহায্যকারী ও বন্ধু ভাবা হয়। তারা নানা উপায়ে ইসলামের শত্রুতা করে থাকে। ফলে অজ্ঞ লোকেরা ভাবে যে, এ হলো তাদের দীনী ইলম ও সংস্কার কাজের বহিঃপ্রকাশ। অথচ প্রকারান্তরে তা তাদের মূর্খতা এবং ফাসাদ সৃষ্টিরই নামান্তর।

.
◘ এ প্রকারের নিফাকী আবার ছয় ভাগে বিভক্ত:
১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মিথ্যা সাব্যস্ত করা।
২. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনীত শরী‘আতের কোনো অংশকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা।
৩. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়াসাল্লারেম প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা।
৪. তাঁর আনীত দীনের কিয়দংশের প্রতি বিদ্বেষ রাখা।
৫. তাঁর আনীত দীনের পতনে খুশী হওয়া।
৬. তাঁর আনীত দীনের বিজয়ে অখুশী হওয়া এবং কষ্ট অনুভব করা।
.
◘ দ্বিতীয় প্রকার:
আমলের নিফাকী, এ প্রকারের নিফাকী হলো- অন্তরে ঈমান রাখার পাশাপাশি মুনাফিকদের কোনো কাজে লিপ্ত হওয়া। এ নিফাকীর ফলে ব্যক্তি ইসলামী মিল্লাতের গণ্ডী থেকে বের হয় না, তবে বের হওয়ার রাস্তা সুগম হয়ে যায়। এ ধরনের লোকদের মধ্যে ঈমান ও নিফাকী উভয়ের অস্তিত্বই রয়েছে। নিফাকীর পাল্লা ভারী হলে সে পূর্ণ মুনাফিকে পরিণত হয়। এ কথার দলীল হলো নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী,
«أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ كَانَ مُنَافِقًا خَالِصًا، وَمَنْ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْهُنَّ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنَ النِّفَاقِ حَتَّى يَدَعَهَا: إِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ، وَإِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ، وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ»
“চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকবে সে খাঁটি মুনাফিক। আর যার মধ্যে এ চারটি স্বভাবের কোনো একটি থাকবে তার মধ্যে নিফাকের একটি স্বভাব থাকবে যে পর্যন্ত না সে তা পরিহার করে। যখন তাকে আমানতদার করা হয়, সে খিয়ানত করে। যখন সে কথা বলে, মিথ্যা বলে। যখন চুক্তি করে, বিশ্বাস ঘাতকতা করে, আর যখন ঝগড়া-বিবাদ করে, অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করে”।
অতএব, যার মধ্যে এ চারটি স্বভাব একত্রিত হয় তার মধ্যে সকল প্রকার অসততার সম্মিলন ঘটে এবং মুনাফিকদের সব গুণাবলিই তার মধ্যে প্রকৃষ্টভাবে পাওয়া যায়। আর যার মধ্যে সেগুলোর যে কোনো একটি পাওয়া যায় তার মধ্যে নিফাকীর একটি স্বভাব বিদ্যমান। কেননা বান্দার মধ্যে কখনো একাধারে উত্তম ও মন্দ স্বভাবসমূহ এবং ঈমান ও কুফুরী-নিফাকীর স্বভাবসমূহের সমাহার ঘটে থাকে। এর ফলশ্রুতিতে তার ভালো ও মন্দ কাজ অনুযায়ী সে সাওয়াব ও শাস্তির উপযুক্ত হয়।
.
আমলী নিফাকের মধ্যে রয়েছে- মসজিদে জামা‘আতের সাথে সালাত আদায়ে অলসতা করা। কেননা এটি মুনাফিকদেরই একটি গুণ।
মোটকথা নিফাকী অতীব খারাপ ও বিপজ্জনক একটি স্বভাব। সাহাবীগণ এতে লিপ্ত হওয়ার ভয়ে শঙ্কিত থাকতেন। ইবন আবি মুলাইকা বলেন,
«أَدْرَكْتُ ثَلَاثِينَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلُّهُمْ يَخَافُ النِّفَاقَ عَلَى نَفْسِهِ»
“আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ত্রিশজন সাহাবীর দেখা পেয়েছি যারা প্রত্যেকেই নিজের ব্যাপারে নিফাকে পতিত হওয়ার ভয় করতেন।”
.
◘ বড় নিফাকী ও ছোট নিফাকীর মধ্যে পার্থক্য:
১. বড় নিফাকী বান্দাকে ইসলামী মিল্লাতের গণ্ডী থেকে বের করে দেয়। পক্ষান্তরে ছোট নিফাকী (আমলী নিফাকী) মিল্লাত থেকে বের করে না।
২. বড় নিফাকীর মধ্যে আকীদার ক্ষেত্রে ভেতরে ও বাহিরে (বাতেন ও যাহের) দু‘রকম থাকে। আর ছোট নিফাকীর মধ্যে আকীদাহ নয়; বরং শুধু আমলের ক্ষেত্রে অন্তরথ-বাহির দু‘রকম থাকে।
৩. বড় নিফাকী কোনো মুমিন থেকে প্রকাশ পায় না; কিন্তু ছোট নিফাকী কখনো মুমিন থেকে প্রকাশ পেতে পারে।
৪. বড় নিফাকীতে লিপ্ত ব্যক্তি সাধারণতঃ তওবা করে না। আর তাওবা করলেও তার গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে। অথচ ছোট নিফাকীতে লিপ্ত ব্যক্তি অনেক সময়ই তাওবা করে থাকে এবং আল্লাহ তার তাওবা কবুল করেন।
.
শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন, ‘অনেক সময় মুমিন বান্দা নিফাকীর কোনো কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তার তাওবা কবুল করে নেন। কখনো তার অন্তরে এমন বিষয়ের উদয় হয় যা নিফাকীর কারণ হয়ে দাঁড়ায়; কিন্তু আল্লাহ ঐ বিষয়কে তার অন্তর থেকে দূর করে দেন। মুমিন বান্দা কখনো শয়তানের প্ররোচনায় এবং কখনো কুফুরীর কুমন্ত্রনায় পড়ে যায়। এতে তার হৃদয় সংকীর্ণতার সৃষ্টি হয়। যেমন, সাহাবীগণ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম বলেছিলেন,
«يَا رَسُولَ اللهِ، إِنِّي أُحَدِّثُ نَفْسِي بِالْحَدِيثِ، لَأَنْ أَخِرَّ مِنَ السَّمَاءِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَتَكَلَّمَ بِهِ، قَالَ: ذَلِكَ صَرِيحُ الْإِيمَان»
“হে রাসূলুল্লাহ! আমাদের মধ্যে কেউ কেউ তার অন্তরে এমন কিছু অনুভর করে, যা ব্যক্ত করার চেয়ে আসমান থেকে জমীনের উপর পড়ে যাওয়াই সে অধিক ভাল মনে করে। একথা শুনে তিনি বললেন: এটা ঈমানেরই স্পষ্ট আলামত”।

অন্য বর্ণনায় এসেছে: ‘‘অন্তরের কথাটি মুখে ব্যক্ত করাকে সে খুবই গুরুতর ও বিপজ্জনক মনে করে।” তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
«الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي رَدَّ كَيْدَهُ إِلَى الْوَسْوَسَةِ»
“সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি এক ষড়যন্ত্রকে কুমন্ত্রণায় পরিণত করেছেন।’’
একথার অর্থ হলো প্রবল অপছন্দ হওয়া সত্ত্বেও এ ধরনের কু-মন্ত্রণা সৃষ্টি হওয়া এবং হৃদয় থেকে তা দূরীভূত হওয়া ঈমানের স্পষ্ট নিদর্শন। আর বড় নিফাকীতে লিপ্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿صُمُّۢ بُكۡمٌ عُمۡيٞ فَهُمۡ لَا يَرۡجِعُونَ ١٨﴾ [البقرة: ١٨]
“তারা বধির, মূর্খ, অন্ধ, সুতরাং তারা ফিরে আসবে না।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৮]
অর্থাৎ তারা অন্তরের দিক দিয়ে ইসলামে ফিরে আসবে না।
এদের সম্পর্কে আল্লাহ আরো বলেন:
﴿أَوَلَا يَرَوۡنَ أَنَّهُمۡ يُفۡتَنُونَ فِي كُلِّ عَامٖ مَّرَّةً أَوۡ مَرَّتَيۡنِ ثُمَّ لَا يَتُوبُونَ وَلَا هُمۡ يَذَّكَّرُونَ ١٢٦﴾ [التوبة: ١٢٦]
“তারা কি দেখে না যে, প্রতি বছর তারা একবার কি দুইবার বিপর্যস্ত হচ্ছে? এর পরও তারা তাওবা করে না এবং উপদেশ গ্রহণ করে না।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ১২৬]
শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন, প্রকাশ্যেভাবে তাদের তাওবা কবুল হওয়ার ব্যাপারে আলেমদের মতানৈক্য রয়েছে। কেননা তাদের অন্তরের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হওয়া সম্ভব হয় না। কারণ, তারা তো সব সময়ই ইসলাম যাহির করে থাকে।
.
সালেহ ইবন ফাওযান আল-ফাওযান।
অনুবাদক: ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী।
সম্পাদনা: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া।

পঠিত : ৩৮৩ বার

মন্তব্য: ০