কিশোরদের জীবন যেমন হওয়া উচিৎ
তারিখঃ ২ মার্চ, ২০২২, ২০:৩০
★কিশোরে নামাজ!
আমি মুসলিম! বয়সটা বেশি না। কৈশোর জীবন পার করছি। উঠতি বয়সে বর্তমান যুবসমাজ কেমন ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে সেটা সকলের মাথায় আছে। সকলেই দেখে! কেমনে কয়েকজন কিশোর মিলে ধ্বংসের পথে যাচ্ছে। আবার একজন যে যাচ্ছে তা না,সে তো যাচ্ছে সাথে আরো দু একজনকে সঙ্গী করে নিচ্ছে। তাদের ভেতরে কোনো ভয় নেই। কিসের-ই বা ভয় থাকবে? আল্লাহর? সেটা তো শিক্ষায় দেওয়া হয়নি তাকে! পিতা মাতার? উনারা তো ব্যস্ত,সন্তানকে দেখে রাখার সুযোগ নেই। কিশোর জীবনটা যেন বিষের মতো কাজ করতেছে এখন। কেউ কেউ কোরআনকে মেনে চলে কিন্তু এই সমাজ তাকে সেভাবে চলতে বাধা দেয়।
"নামাজ ফরজ"। এটা জানে না এমন মানুষ খুব কম। এমনকি ১২ বছর থেকে শুরু করে মোটামোটি সব বয়সের মানুষ-ই এটা জানে(আমার ধারণা)। কিন্তু মানে ক'জন? হয়তো অনেকেই মানে! কিন্তু সেটা কি সঠিকভাবে হচ্ছে?
সাধারণত আমরা লক্ষ করি অনেক ছোট ছোট বাচ্চারা মসজিদে যায়। যদিও তাদেরকে অনেক কথা শুনানো হয়। মসজিদে যদি বড় মানুষকে কম ও দেখেন তবুও মোটামোটি ছোট বাচ্চারা থাকে। কেনো থাকে! তাদেরকে তাগিদ দেওয়া হয় নামাজের। তারাও নামাজ শিখে এবং পড়ে। কিন্তু এই বাচ্চারা বড় হয়ে কি রেগুলার নামাজি হয়? কিশোর জীবনে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে নামাজ নষ্ট করে।
আমরা ছোট থেকেই নামাজ পড়ি ঠিকই। কিন্তু আমরা নামাজটা কিভাবে পড়বো এটা অজানা। হয়তো নিয়মগুলোও সঠিভাবে জানি। কিন্তু অবহেলায় কাটিয়ে দেয়। আমার ধারণা,
"ফজরের পর থেকে যোহরের পূর্ব পর্যন্ত আমি কোন কোন খারাপ কাজ গুলো করেছি,সেগুলো আমার চিহ্নিত করে রাখতে হবে! আমার মনের মধ্যে ভয় থাকতে হবে। এইসব কাজের জন্য আমাকে জবাবদিহি করতে হবে,শাস্তিও পেতে হতে পারে। আমি যখন যোহরের নামের জন্য দাঁড়াবো! আমার পূর্বের সকল গুনাহ যেন মাফ করে দেয় আল্লাহ,সেরকম করে করে দাঁড়াবো। আমি নামাজের মধ্যে ক্ষমা নিবো! এককথায় নামাজকে মনে করতে হবে আমার আত্নসমর্পনের জায়গা। আমি যদি আত্নসমর্পন না করি! তবে আমার গুনাহ আরো বাড়তেছে। শেষ বিচারে যখন আমাকে ধরা হবে তখন পূর্ণ শাস্তি পেতে হবে। আর যদি এখন আমি ক্ষমা চাই,হয়তো পেয়ে যাবো। কারণ আমার রবের রহমতের সীমানা নাই। অসীম।"
হাদিসে জিবরাইলে উল্লেখ রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,"এভাবে ইবাদত করো যে যেন তুমি তাঁকে (আল্লাহকে) দেখতে পাচ্ছ; যদি তুমি তাঁকে দেখতে না-ও পাও, তবে নিশ্চয় তিনি তোমাকে দেখছেন।"(মুত্তাফাকুন আলাইহি; বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, ইমান অধ্যায়, পৃষ্ঠা: ৩৮, হাদিস: ৪৮)
একজন কিশোরের এভাবে চিন্তা করা উচিৎ বলে মনে করি। তার ভিতরে রবের কাছে ধরা দেবার পূর্ণাঙ্গ ভয় থাকতে হবে। মুসলমান হিসেবে পরিচয় দেই আমরা,কিন্তু মুসলমানের প্রতীক "নামাজ" আদায় করি না। আমার কিশোর ভাইয়েরা যেকোনো কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মসজিদের পাশকাটিয়ে চলে যায় কিন্তু তাকে যে ডাকা হচ্ছে তার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এটা শিক্ষা দেওয়া বাবা মার দায়িত্ব।
তবেই তো কিশোরের জীবনটা আলোকিত হবে।
★পিতা মাতার অবহেলা
সময়ের সাথে পারি দিয়ে নিজের জীবনটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এদেশের কত কিশোর/কিশোরী। শৈশব থেকে কৈশোর। যৌবন পার করছেন কত সন্তান। আমরা যখন ছোট থাকি! তখন পিতা মাতাকে ভয় করি। যদি কেউ ভয় না-ই করে,অন্তত শ্রদ্ধা,সম্মান করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের মধ্য থেকে এই বিষয়টি লোপ পাচ্ছে।
আমরা নিজের জীবনকে স্টাবলিশ করতেছি ঠিকই। কিন্তু আমরা নিজের পিতা মাতাকে মান্য করতেছিনা। একজন বিসিএস ক্যাডার হচ্ছি কিন্তু পিতা মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসতেছি। আমরা বড় বড় জব করতেছি কিন্তু আমাদের পিতা মাতা ভাঙ্গা কুঁড়েঘরে জীবনের শেষ সময়টা একান্তে কাটাচ্ছে। উনারা যে কত কষ্ট করে আপনার জন্য এতো কিছু করলো সেটার একপয়সারও মূল্য নেই আপনার/আমার মধ্যে।
আমাদের মধ্যে এখন বেড়ে উঠতেছে পশ্চিমা মূল্যবোধ। ইসলামি মুল্যবোধ উঠে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। পিতা মাতারা ভুলে যাচ্ছেন যে তাদের সন্তানরাও তাদের মতো মুসলমান। সন্তানকে যে কিছু সুশিক্ষা দিতে হবে একথা উনারা ভুলে যান। নিজের পিতা-মাতাকে উনারা কিভাবে রাখছেন? নিজের সাথে যে এরকমটা হবে না! তার কি কোনো গ্যারান্টি উনাদের কাছে আছে? নাই।
অধিকাংশ পিতা-মাতা সন্তানের খোঁজ নিতে পারে না। উনাদের সন্তান কোথায় কোন ধরণের নেশা করে নাকি কোথায় যায় এসব সম্পর্কে উনি জানেন না। আবার অনেকে এটা জানেন যে কিশোর বয়সে এসে উনার সন্তান নেশা দ্রব্যে অভ্যস্ত,কিন্তু কিছু করতে পারেন না।
এটা তো এখন এসে বললে হবে না। এটা দেখার দায়িত্ব ছিল অনেক আগেই। কিন্তু তখন দেখেননি।
আপনি নিজের পিতামাতার সাথে কিরূপ ব্যবহার করছেন এটা আপনার সন্তান দেখছে। এই বিষয়টা মাথায় রাখা উচিৎ।
আল্লাহ তাআলা বলেন, 'তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, তাঁর সঙ্গে শরিক করো না এবং পিতা–মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো।'
"সদ্ব্যবহার" করাটা পিতামাতার অধিকার। বরং আমরা দেখছি তার উল্টা।
এখানে কিশোরদের উচিৎ! তারা যেমন ছোটতে নিজ পিতা-মাতাকে সম্মান শ্রদ্ধা করতো এটা অব্যাহত রাখা। বয়স বাড়তে পারে কিন্তু পিতামাতার কথার অমান্য না হওয়া। আজকে এই যুবসমাজ এখন কলঙ্কিত। এমনও অনেক ঘটনা রয়েছে 'সন্তানকে টাকা না দেওয়ায় আত্নহত্যা'। পেপার পত্রিকার হেডলাইন এখন এটা। কেনো হবে এমনটা? প্রথমত আত্নহত্যা যে গুনাহের এটা কি উনারা জানতেন না? জানতেন! তবুও।
পিতা মাতাকে ধমক দিয়ে কথা বলাটা অহরহ। আমাদের সমাজটা এখন ঘুণেধরা। এটাই চলছে এই সমাজে।
কিন্তু এই সমাজে থেকেই আমাদের পরিবর্তন হতে হবে। পরিবর্তন করতে হবে সমাজ,রাষ্ট্রকে।
★ইসলামিক মুল্যবোধ/নৈতিক গুণাবলী
শিশু থেকে বড় বড় হতে আমরা আজকে এই পর্যায়ে পৌঁছালাম। তবুও এখনও আমাদের মাঝে নৈতিকতার অভাব। ইসলামিক মূল্যবোধ বলতে কি বুঝায় বা এটা কেনো প্রয়োজন সেটা বুঝি না। আমি আপডেটেড যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলছি ভালো কথা! কিন্তু এই চলার সাথে আমরা আমাদের জীবন থেকে ইসলামকে হারিয়ে ফেলেছি।
আমরা একটুতেই নিজেদেরকে নিয়ে গর্ব অহংকারে ভরে থাকি। হিংসা বিদ্বেষ তো এখনকার সাধারণ বিষয়। আমরা মনে রাখিনা আমাদের মৃত্যুর পর একটা জীবন আছে! সেখানে আমাদের প্রত্যেকটা কাজের হিসাব দিতে হবে। আমরা আমাদের এই সময়টাতে নিজেদেরকে ডুবিয়ে রেখেছি পশ্চিতাদের ভেতরে।
এমনকি আমাদের অনেকের ভেতরে এই স্যাকুলারিজমের ভাবটাও ঢুকেছে। আমরা এমনি অন্ধ হয়ে গেছি।
সাধারণত আমাদের মাঝ থেকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি "সালাম" কে। আমরা আর ছোটরা বড়দেরকে সম্মান করিনা বড়রাও ছোটদেরকে স্নেহ করে না। কোথায় যেন একটা গড়মিল। ছোটরা নিজেদেরকে বড় ভাবতে শুরু করেছে,এজন্য তারা আর সালাম দেয়না। ছোটরা যতটুকু দেয় এটা আবার বড়দের মাঝে তো আরো দেখা যায় না। উদাহরণ দেই! বুঝবেন
ঘটনা ১:
আমি একদিন এশার সালাত পড়ে মসজিদ থেকে বের হলাম। সাথে ছিল একজন বন্ধু। আমার সাথে অনেকে মুসল্লিরা বের হলেন। আমি একটু এগিয়ে আসতেই লক্ষ্য করলাম একজন বয়স্ক মুরব্বি মসজিদের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন। হয়তো উনি নামাজের জন্য যাচ্ছেন। আমি সালাম দিলাম। কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো জবাব এলো না।
আমরা হারিয়ে ফেলেছি আমাদের ঐতিহ্যকে। সবাই নিজেকে বড় মনে করতে শুরু করেছি। কিন্তু ইসলাম তো এটা শেখায় না। আমরা জানি না। নবী করিম সা: বলেছেন:
ইসলামের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম কাজ হলো অপরকে খাদ্য খাওয়ানো এবং পরিচিত,অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়া।(বুখারী ও মুসলিম)
কিন্তু আমরা তো নিজেদেরকে নিয়ে গর্ব করতে এই হাদিসের বিপরীতে চলে যাচ্ছি। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন।
ইসলামি মূল্যবোধের আরেকটা বড় অংশকে ঘিড়ে আছে "গীবত"। আমরা খুব সহজেই এটা করছি এখন। একজনের কথা আরেকজনের কাছে লাগানোটা আমাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে।
একজন কিশোর এইসব বিষয়ে জ্ঞান রাখবে। সে নিজেকে এইসব ফিতনা থেকে হেফাজত রাখবে,মানুষকে উদ্ধত করবে। কখনো গীবতে লিপ্ত হবে না। নিজে ছোটদেরকে সালাম দিবে! কখনো সালাম পাওয়ার আশায় বসে থাকবে না। বরং দেখা হয়েছে মুসলমান! সালাম। আমাদের মাঝে ইসলামিক মুল্যবোধের বড়ই অভাব।
আলোকিত কিশোর হবে,আলোকিত সমাজ গড়বে। ইনশাআল্লাহ
★অশ্লীলতায় ধ্বংস
'কিশোর' শব্দটার মধ্যেই এখন অশ্লীলতা বিরাজ করছে। এই বয়সটা যে কেনো বিষের মতো তার মূল কারণই হলো অশ্লীলতা। আমাদের মধ্য থেকে লোপ পাচ্ছে নৈতিক ও চারিত্রিক শক্তি। অরুচিকর,নোংরা মানসিকতা,বিকৃত চিন্তা ভাবনা এগুলোর সমষ্টিই হলো অশ্লীলতা। যা ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিটা জনপদে,প্রতিটা বাড়িতে,এমনকি অধিকাংশ মানুষের অন্তরে।
আমরা কথায় কথায় অশ্লীলতাকে প্রায়োরিটি দিচ্ছি। এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রকাশ পায় বন্ধুদের কাছে থাকলে। একজন খারাপ বন্ধু ১০ টি ভালো বন্ধুকে নষ্ট করে দিতে পারে নিমিষেই। আমরা ভালো মনে করি চলি, কিন্তু আমরা কখন যে হারিয়ে যাই বিকৃত মস্তিষ্কের অতল গহ্বরে তা বুঝে উঠতে পারি না।
আল্লাহ তায়ালা বলেন!
"আল্লাহ অশ্লীলতা, অসঙ্গত কাজ এবং অবাধ্যতা করতে বারণ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন যাতে তোমরা স্মরণ রাখো।" (সূরা আন-নাহল, আয়াত নং-৯০)।
আমরা ভুলে যাই অশ্লীলতা সম্পর্তে সতর্কবাণীগুলো। ভুলে যাই এটার শাস্তি পরকালে কি হতে পারে? যারা এই সম্পর্কে জানে তারা এটা ভুলে যায় আবার যারা জানেই না তাদের অবস্থা কি হতে পারে চিন্তা করুন। যারা জানে যে মুসলিম জীবনে অশ্লীলতা হারাম, তারা এই হারাম কাজটা করে অনুতপ্ত হয় অন্তত। কিন্তু যারা জানে-ই না তাদের মধ্যে কোনো চিন্তাই নেই।
যাদেরকে মসজিদে পর্যন্ত দেখা যায় না শুক্রবার ব্যাতীত। তারা আবার এই সম্পর্কে কেমনে জানবে। আফসোস!
এই অশ্লীলতায় কি শুধু গুনাহ করছে এতোটুকু। না! গুনাহ হচ্ছে সাথে নিজের শরীর, চোখ এগুলোও ক্ষতি করছে। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রকাশ পাচ্ছে "যিনা"। যিনা তো শুধু একটাই না! "চোখের যিনা,মুখের যিনা,হাতের যিনা,পায়ের যিনা" এগুলো আমাদের সাথে প্রতিনিয়ত হচ্ছে। এজন্য নিরাপদে রাস্তায় কোনো মা বোন চলতে পারে না। ভয় পান উনারা।
তৃতীয় বৃহত্তর মুসলিম জনপদ বাংলাদেশ! যার বেশির ভাগ মানুষই মুসলিম। সেই মুসলিম কান্ট্রিতে এরকমটা হতে পারে? আমাদের উচিৎ ছিল মা বোন যেন নিরাপদে রাস্তায় চলতে পারে সেই কাজ করার! কিন্তু আমরা করি তার উল্টো।
অশ্লীলতার ভাবনাটা শুরু হয় কিশোর থেকেই। যার উৎস হয়তো কোনো বন্ধু,রাস্তার মানুষ অথবা পিতামাতা। যেকোনো ভাবে নিজের মস্তিষ্কে বিকৃত চিন্তাভাবনার প্রকাশ পায়। আমাদের কিশোররা এতে বেশি এডিক্টেড। ইন্টারনেটের অপকল্যাণে এটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। অধিকাংশ মুসলিম কিশোরের হাতে এখন স্মার্টফোন। কিন্তু এই স্মার্টফোন দিয়ে তারা যে কি কি করতে পারে তা সব পিতা-মাতা জানে না। হয়তো কেউ কেউ খোঁজ নেয় আবার অনেকেই পারে না।
রাস্তার পাশ দিয়ে কোনো নারী গেলে আমাদের কিশোররা উনার দিকে ঝুকে পড়ে। যদি কোনো বন্ধু নাও তাকাতে চায় তাহলেও তাকে জোর করে তাকানো হয়। নাহলে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করা হয়।
একজন কিশোর এইসব অশ্লীলতা থেকে দূরে থাকবে। সে কিশোর জীবনটা পার করবে রসূল সা: এর মতো। যাতে সমাজের লোকেরা তাকেও আল আমীন উপাধিতে ভূষিত করে। নিজের চরিত্রকে হেফাজত করবে। রসূল সা: বলেন!
‘যে ব্যক্তি নিজের দুই চোয়ালের মধ্যস্থ অঙ্গ এবং দুই রানের মধ্যস্থ অঙ্গ হেফাজত করবে আমি তার জান্নাতের জিম্মাদার।'(–সহিহ বোখারি: ৬৪৭৪)
এই হাদিসটা আমাদের অনেক কিশোরই জানে না। হয়তো অনেকে জেনেও আমল করতে পারে না। এরজন্য প্রয়োজন কোরআনের নিকটবর্তী থাকা।
এমন একটি সমাজ হবে,
কিশোররা থাকবে তার নেত্বতে।
কোরআনের হুকুমত মানবে সদা
দূর হবে যত অশ্লীলতা।
মন্তব্য: ২