কিশোরদের জীবন যেমন হওয়া উচিৎ ০১
তারিখঃ ৩ মার্চ, ২০২২, ১৪:৩০
★ইসলামিক সংস্কৃতি
সংস্কৃতি! অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয় বাংলায়। এর সাথে মিশে আছে আমাদের ঐতিহ্য। এটিকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
*বাঙ্গালী সংস্কৃতি
*মুসলিম সংস্কৃতি/ইসলামিক সংস্কৃতি
*পশ্চিমা সংস্কৃতি।
বিশ্বের প্রায় প্রতিটা ধর্ম বর্ণের মানুষের রয়েছে আলাদা আলাদা সংস্কৃতি। প্রত্যেকেই তাদেরকে আলাদা ভাবে উপস্থাপন করে। সংস্কৃতি যে এই তিনটিই তা কিন্তু নয়! সময়ের সাথে সাথে যেমন মানুষ, জনপদ বেড়েছে তেমনি বেড়েছি আলাদা সংস্কৃতি। যার যেটা ভালো লাগে সে সেটা পালন করে বা নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করে।
এটা দোষের না! কিন্তু যখন সেই সংস্কৃতি ইসলামের বিপক্ষে যায় সেটা দোষের। আমরা বাঙ্গালী হিসেবে নিজেদের সংস্কৃতি রয়েছে। আবার মুসলিম হিসেবেও আমাদের রয়েছে পুরাতুন ঐতিহ্য। আমরা আমাদের সেইসব ইতিহাস ঘাটি না! আমাদের যুবসমাজের মাথায় আর সেগুলো ঢুকিয়ে দেওয়া হয়না। আমাদের যুবসমাজের মধ্যে আমরা টিভি সিরিয়াল হোক বা স্মার্টফোন হোক,এর মাধ্যমে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ঢুকিয়ে দিয়েছি।
আমরা হারিয়ে ফেলেছি আমাদের ঐতিহ্য,আমাদের সংস্কৃতি। পাশ্চাত্য অপসংস্কৃতি গ্রাস করে নিয়েছে আমাদেরকে। সংস্কৃতির একটা বড় অংশ ঢুকে আছে আমাদের "গানে"। এই সংস্কৃতিতেও আমরা ঢুকিয়েছি পাশ্চাত্যের দাবানল। গানের মাধ্যমে আমাদের যুবকরা হারিয়েছে নিজস্ব কর্ম। এটাতেও অশ্লীলতায় পূর্ণ।
আমরা আমাদের ইতিহাস পড়ি না। আমাদের বীরদের কথা কিশোরদের আর জানানো হয়না। এজন্য তারাও পড়ে থাকে এই অপসংস্কৃতির মধ্যে।
ইসলামিক সংস্কৃতির মধ্যে আছে ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি! আমাদের পুরোনো মসজিদগুলো আর্ট। আরো অনেক কিছুই। কিন্তু এগুলোও হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের মাঝ থেকে।
আমাদের কিশোররা এগুলো প্রাক্টিস করে না। ওরা করে অশ্লীলতার চর্চা।
★বন্ধু নির্বাচন
মানুষ তার অর্ধেকের চেয়ে বেশি সময় পারি দেয় যাদের সাথে! যাদের সাথে তার আত্নার সম্পর্ক! পিতা মাতার পরেই যাকে অনেক ভালোবাসে মানুষ! তিনিই বন্ধু। যার সাথে থেকে ভালো,খারাপ,মন খারাপের কথা এবং আনন্দের কথা স্বাচ্ছন্দ্যে বলা যায় তিনিই হচ্ছেন বন্ধু।
আমরা বন্ধু নির্বাচনে ভুল করি। আমার কিশোর ভাইরা তাদের বন্ধু নির্বাচনে ভুল করে। এই বন্ধুদের সাথে চলে যায় তাদের উঠতি বয়সটা। কোনো বন্ধু এমন রয়েছে যে তাদেরকে জান্নাতের পথে নিয়ে যাবে! আবার কোনো বন্ধু এমন আছে যে তাদেরকে জাহান্নামে যাবে।
মানুষ ছোটবেলা থেকেই বন্ধুকেন্দ্রিক। যা কিছুই সে চিন্তা করে তার অধিকাংশটাই প্রথমে নিজের বন্ধুর কাছে বলে। তার বন্ধু যা পছন্দ করে সেও তাই পছন্দ করবে! এই যে ভালোবাসা। এটার জন্ম ছোটকাল থেকেই। ছোটতে যদিও তারা এটা বুঝে না,কিন্তু সময়ের সাথে একসময় বন্ধুরা তাদের প্রাণের মতো প্রিয় হয়ে উঠে।
ছোটকাল থেকে যাদের সাথে বড় হয়েছি তারাই আমার বন্ধু। যাদের সাথে খেলেছি তারাই আমার বন্ধু। এরই মধ্যে অনেকে আছে ভালো আবার কিছু পরিমাণ আছে খারাপ। আমার ভালো বন্ধুরা আমাকে তাদের পথে ডাকে। আর খারাপ বন্ধুরা আমাকে তাদের পথে(খারাপ) ডাকে। আমি যদিও মন থেকে কোনো খারাপ কাজ করতে চাইনা কিন্তু সময়ের সাথে তাদের পাল্লায় পড়ে আমাকে খারাপ কাজ করতে হয়। সেটা হোক ছোট বা হোক বড়।
যেহেতু তারা আমার খারাপ বন্ধু সুতরাং সবাই বলে আমাকে তাদের সাথে না চলতে। কিন্তু আমি তো আর তা পারি না। কেনো পারি না? তাদের সাথে থেকে আমি এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমি যদিও কোনো খারাপ কাজ করি না তবে আমি তাদের থেকে দূরে যেতেও পারি না।
রাসুল (সা.) বলেছেন, সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উপমা হলো কস্তুরী বহনকারী (আতর বিক্রেতা) ও কামারের হাপরের মতো। মৃগ কস্তুরী বহনকারী হয়তো তোমাকে কিছু দান করবে কিংবা তার কাছ থেকে তুমি কিছু খরিদ করবে কিংবা তার কাছ থেকে তুমি লাভ করবে সুবাস। আর কামারের হাপর হয়তো তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে কিংবা তুমি তার কাছ থেকে পাবে দুর্গন্ধ। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮২৯)
রসূল (সা
বন্ধু নির্বাচনেও অনেক নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা এগুলো মানি না। আবার অনেকে আমরা খারাপ বন্ধুকে নির্বাচন করে বসি। পরে বুঝলেও আর সরে আসতে পারি না। প্রবাদ বাক্য আমরা সবাই জানি!
সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস
অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ!
যাদের এমন অবস্থা! যেসব কিশোরের এই বেহাল দশা আমি তাদেরকে বলবো নিজেরা সময় থাকতে ফিরে আসুন। যা করেছেন তার জন্য তওবা করুন। অথবা নিজেকে তৈরি করুন! এমনভাবে তৈরি করুন যাতে আপনার প্রভাব আপনার বন্ধুর উপরে পরে।
আল কোরআনের আলোকে নিজেকে গড়ুন! একজন আলোকিত কিশোর হওয়ার প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে চলুন। যেন লোকে আপনাকে কখনো খারাপ পথে যেতে না দেখে। নম্র ভদ্র ভাবে বেড়ে উঠুন। এটাই একজন কিশোরের দায়িত্ব।
যদি আপনাকে দেখে কেউ প্রভাবিত না হয় তাহলে বুঝবেন আপনার মধ্যে ত্রুটি আছে। নিজেকে এমনভাবে গড়ে তুলুন যেন খারাপ বন্ধুরা আপনাকে দেখে ভালো হয়! অথবা নিজে থেকে সরে যায়।
প্রত্যয় প্রয়োজন,নিজেকে গড়ুন!
কোরআন প্রেমী হোক আমাদের মন।
★কিশোরের সকাল
ফজরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে কোরআন তেলাওয়াতের সুমধুর কন্ঠ। আল্লাহ যেন তাদের কন্ঠে নুর ঠেলে দিয়েছেন। আমি জানি প্রতিদিন মসজিদে একজন বৃদ্ধ মানুষ কোরআন তেলাওয়াত করেন। মসজিদের পাশে রাস্তা এবং বাড়ি হওয়ার সুবাদে শোনা যায়। কিন্তু আজকে তার ব্যতিক্রম। আজকে মসজিদ থেকে ভেসে আসছে দুজনের কোরআন তেলাওয়াত। একটা পরিচিত সেই বৃদ্ধের তেলাওয়াত। আরেকজন কে! সেটা দেখার জন্য আমি মসজিদে প্রবেশ করলাম। দেখে মোটামোটি অবাক হলাম। ১৫-১৭ বছর বয়সের একজন কিশোর ও সেই কোরআন তেলাওয়াতে যোগ দিয়েছেন।
প্রতিদিন নামাজের সময় সবার প্রথমে মসজিদে আসা ব্যক্তিটি হলো সেই কিশোর। কিন্তু আজকে সে কোরআন তেলাওয়াতেও যোগ দিয়েছে। এরপর কিছুদিন কেটে গেল এভাবে! এখন নিয়মিত মসজিদ থেকে ভেসে আসে দুজনের সুমধুর কন্ঠের তেলাওয়াত।
সকালটা তো এভাবেই শুরু হওয়ার কথা ছিলো প্রত্যেকটা কিশোরের। কোরআন তেলাওয়াত ও নামাজের মধ্য দিয়েই তো শুরু হতে পারতো প্রত্যেকের,কিন্তু আদৌ কি এটা আমাদের মধ্যে বিরাজমান? মনে হয় না। ইসলামি আন্দোলন যারা করেন! যারা ইসলামি আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত তাদের তো উচিৎ এটা করা। অনেকেই করেন। যারা করেন! উত্তম কাজ। (এখানে ইসলামি আন্দোলন দ্বারা ময়দানের কাজকে বুঝাইনি! একজন মুমিনের প্রত্যেকটা কাজই আন্দোলনের অন্তর্ভুক্ত)
যারা নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াতটা করেন না! তাদের কি হবে। এই কোরআন তো সাক্ষ্য দেবে! যদি আপনি পড়ে থাকেন তবে সে বলবে 'হে আমার রব! এই বান্দা প্রতিদিন আমাকে তেলাওয়াত করেছেন।'
কি উত্তম ব্যাপার। একটু অনুভব করুন তো।
কোরআন তেলাওয়াতের পর যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। তবে প্রত্যেকটা কাজে আল্লাহ থাকবেন। আমি নাস্তা খাবো! আমি হাটবো। আমার প্রত্যেকটা কাজে মুখে আল্লাহ শব্দটি থাকবে। এটি আদৌ আমাদের মাঝে নেই। আমরা শুধু বিপদে পড়েই আমাদের রবকে ডাকি! অথচ এমনটা হওয়ার কথা ছিলো না।
কিশোর বয়সটা সবকিছু শিক্ষার। সবকিছুকে অভ্যাসে পরিণত করার। এই সময়টাকে কাজে লাগানো একজন সফল মুমিনের কাজ।
★কিশোরের দুপুর
ঘটনা ১:
টুন টুন টুন!!!!
স্কুলের হাফ টাইমের সময় হলো। ক্লাসরুম থেকে বের হলো সবাই। হইহুল্লোড়ে মেতে উঠলো পুরো স্কুল কেন্দ্র।প্রাণবন্ত সেই দৃশ্য।
স্কুলের সামনে রোড! রোডের বিপরীত পাশেই রয়েছে মসজিদ। যেহেতু দুপুর ১টা বাজে সুতরাং স্বভাবতই আজানের ধ্বনি শোনা গেল। স্কুলের মাঠ থেকে বেশি দূরে নয় মসজিদ। আজান শুনে কিছু শিক্ষার্থী, আবার কিছু খেলায় মনোযোগ দিল। শিক্ষক কিছু মসজিদের দিকে গেলেন আর কিছু কমনরুমেই বসে রইলেন।
নামাজ আর আদায় করা হলো না।
অনেকে হয়তো মনে করেন যে এই সময়ে আর নামাজ পড়বো না! বাসায় গিয়ে একবারে পড়ে নিবো। কিন্তু বাসায় গিয়ে কি তা হয়? হয় না। মনেই থাকে না অনেকের।
ঘটনা ২:
স্কুল প্রাইভেট পড়ে, সব শেষ করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলো কিছু যুবক। পাশাপাশি তাদের বাসা। স্কুল বা মাদরাসা থেকে বাসায় যেতে সময় লাগে প্রায় ২০/৩০ মিনিট। বাসায় যাওয়ার পথিমধ্যে আজান দিয়ে দিলো মুয়াজ্জিন। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তারা মসজিদটা লক্ষ্য না করলেও তাদের কানে ভেসে আসছে আজান। প্রত্যেকেই তা শুনেছে। একজন মসজিদে যেতে চাইলে বাকিগুলো যেতে রাজি হলো না। তাদেরই একজন বললো 'বাসায় গিয়ে পড়ে নিবো।'
আর কেউ মসজিদে গেলো না। ঠিক সময়েই বাসায় পৌঁছে গেল সবাই। কিন্তু সবাই কি নামাজ পড়লো? হয়তো না।
এটা কিন্তু একটা শয়তানের ধোকা! নামাজ থেকে বিরত রাখার জন্য শয়তানের নিঞ্জা টেকনিক। যাতে পা দিচ্ছে আমার মতো কত যুবক।
শুধু যে এভাবেই আমরা নিজেদের সময়টাকে নষ্ট করছি তা কিন্তু নয়। আমরা আমাদের আমলও কমিয়ে ফেলছি।
এই বন্ধুদের সাথেই যখন চলাফেরা করি, কাউকে যখন সাহায্য করতে যাই তখন তারা নিষেধ করে। অনেকে অনেক কথা বলে।
দুপুরের সবচেয়ে বড় যেই আমলটা নিয়মিত হয়! সেটা হলো নামাজ। আমাদের কিশোররা সেটাকে বাদ দিচ্ছে নানান বাহানায়। সাথে আমাদের ছোট ছোট ভালো কাজ গুলোকেও বাদ দিচ্ছি।
আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন।(আমিন)
★কিশোরের রাত
দোয়া কবুলের উত্তম সময় হলো রাতের শেষাংশ। যখন আল্লাহ রব্বুল আলামিন তখন তার রহমের দরজা খুলে দিয়ে বলেন 'কে আছে যে আমার কাছে ক্ষমা চাও? কে আছো যে আমার কাছে রিযিক চাও?' তখন যেই বান্দাগুলো দোয়া করেন তাদের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। হোক উনি পাপী হয়তো তার পাপও মাফ হয়ে যায়। দোয়া কবুল হোক সঙ্গে সঙ্গে অথবা দেরিতে। তবে দোয়া বিফলে যায় না।
আবার একজন মুমিন যখন রাতে ঘুমায় তখনও তার সওয়াব লেখা হয়। তার জন্য সকলেই দোয়া করতে থাকে। সে নিজের অজান্তেই আরেকজন মুমিন ভাইয়ের দোয়া পান।
আমরা সারাদিন অনেক কাজ করি। অনেক পরিশ্রম করি। রাতের বেলা বিছানার সাথে শরীর টাকে এলিয়ে দেয়। কিশোর যারা আছেন উনারাও প্রায় একই কাজ করেন। আমাদের উচিৎ সেইসময়টা একটু চিন্তা করা!
সারাদিনের কাজের ফাকে কতগুলো পাপ করলাম! আল্লাহর কোন হুকুমটা অমান্য করলাম। কোন হুকুমটা পালন করলাম! কতগুলো ভালো কাজ করলাম! কত গুলো খারাপ কাজ করলাম। কাকে খারাপ কাজে উৎসাহ করলাম! এগুলো চিন্তা করা উচিৎ। কিন্তু আমরা কি আদৌ তা করি?
আমাদের উচিৎ সারাদিনের ভুলগুলোর জন্য রবের নিকট ক্ষমা চাওয়া। তওবা করা! যাতে দ্বিতীয়বার আর না করি সেই প্রতিজ্ঞা করা উচিৎ। কিন্তু আমরা তা পারি না।
ঘুমানোর সময়ে দোয়া ইস্তেগফার পড়া। একটু চিন্তা করা যে আজকে রাতই হয়তো নিজের শেষ রাত হতে পারে।
শুধু চিন্তা করা না! মন দিয়ে অনুভব করা। এটা আমাদের জন্য খুবই জরুরী। এবং রাতের শেষাংশে আল্লাহর দরবারে দাড়িয়ে যাওয়া।
এভাবেই কেটে যাবে কিশোরের রাত।
★কিশোরের পুরো জীবন
কোরআনে কারিমের নিদের্শনা হচ্ছে, ‘আনুগত্য করো আল্লাহর এবং অনুসরণ করো আল্লাহর রাসূলকে। ’ -সূরা আলে ইমরান: ৩২
কিশোর জীবন শিক্ষার জীবন! জীবনের যত অভিজ্ঞতা তৈরি হবে তার বেশির ভাগই কিশোর থেকে শুরু হয়। সময়ের সাথে সাথে আমরা অনেক কিছু হারিয়ে ফেলি আবার আমাদের জীবনের সাথে যোগ হয় অনেক নিয়ম। অনেকে ভালো থেকে খারাপ হয়ে যায়! আবার সময় বাড়ার সাথে সাথে অনেকে খারাপ থেকে ভালো হয়ে যায়।
অনেকে কোরআনের দিকে আসে! কোরআনকে বুঝে,কোরআনকে নিয়ে গবেষণা করে। অনেকে হিন্দি ইংলিশ মুভি নিয়ে ব্যস্ত। বলিউড আর হলিউডের চিপায় পড়ে আছে অনেকে। কিন্তু মুসলিম হিসেবে তার যে চোখের হেফাজত করতে হবে তার কোনো ভ্রুক্ষেপ নাই।
অনেক কিশোর গান বাজনা নিয়ে ব্যস্ত। নায়ক নায়িকা গায়ক গায়িকাকে ভাড়া করে আনে। নিজেরা তো গুনাহ করছে আবার অন্যকেও গুনাহতে লিপ্ত করছে।
ছোট থেকে শুরু করে বড় হওয়া পর্যন্ত একজন কিশোরের জীবনে থাকবে আল কোরআনের হুকুম। কোরআন পড়বে! সমাজে ভালো কাজ করবে এটাই হবে তার কাজ।
ইসলামি আন্দোলনের সাথে জড়িত থাকবে। সমাজকে পাল্টানোর চেষ্টা করবে। এই সমাজে কত ধরণের মানুষ বাস করে! যারা ভালো কাজ করতে চায় তাদেরকে সাহায্য করবে। এটা হবে একজন কিশোরের কাজ।
একটা সংগঠনের অধীনে সমস্ত কিশোররা নিজেদের সমাজকে নিয়ে ভাববে। ইসলামকে প্রতিষ্ঠার জন্য! মানুষের ভুল ধারণাকে দূর করবে। রাষ্ট্রের কল্যাণে কিছু একটা করে যাবে এটা হবে কয়েকজন কিশোরের দলীয় কাজ।
আমাদের কিশোররা হলো এই সমাজের ভবিষ্যৎ। সুতরাং তাদের পেছনে একটু হলেও নজর দেওয়া বড়দের দায়িত্ব।
আমরা চাই এমনি একটি সোনালী সমাজ,
যার পেছনে থাকবে বড়দের বাস!
সামনে থাকবে কিশোরদের নেতৃত্ব,
সকলের মনে থাকবে কিশোরদের প্রতি বিশ্বাস।
মন্তব্য: ২