Alapon

ফাঁসীর দড়িকে ভয় পায় না মুজাহিদ



সাতক্ষীরার জনপ্রিয় নেতা আব্দুল খালেক মন্ডলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক(!) অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মাওলানা আবদুল খালেক মণ্ডল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে সাতক্ষীরা সদর আসন থেকে ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এছাড়াও তিনি ১৯৯০ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার আগে তিনি ১৯৮৭ সালে সাতক্ষীরা সদরের বৈকারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাতক্ষীরার মানুষ তাঁকে বার বার তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করেছে।

মাওলানা আবদুল খালেক মণ্ডল সাতক্ষীরার আগরদাড়ী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জামায়াতের সাতক্ষীরা জেলার আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ছিলেন।

তিনি দাখিল আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অধিকার করেন। ১৯৬৫ সালে কামিল পাশ করেন। এরপর রাবিতে ইসলামী স্টাডিজে অনার্স করেন। সেখানে ২য় শ্রেণিতে ৬ষ্ঠ স্থান লাভ করেন। সর্বশেষ ঢাবি থেকে মাস্টার্স করেন। সেখানে ১ম শ্রেণিতে ২য় স্থান লাভ করেন। মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল ১৯৯৫ সালে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে পদক লাভ করেন।

তাঁর বড় অপরাধ তিনি জনসাধারণের কাছে প্রিয় ছিলেন। একইসাথে জামায়াতের সাথে থেকে ইকামাতে দ্বীনের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন। এদেশে মুশরিকদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ছিলেন ও আছেন। মুশরিকবিরোধী অবস্থানের কারণে আজ তাঁর এই রায়।

অবশ্যই এই রায়ে তিনি অসম্মানিত হবেন না। বরং আল্লাহ তাঁকে আরো সম্মানিত করবেন ইনশাআল্লাহ। ফাঁসির দড়িকে ভয় পায় না মুজাহিদ। কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় তিনি পবিত্র কুরআন হিফয করেন। মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর হিফাযত করুন। তাঁকে সম্মানিত করুন। ফি আমানিল্লাহ।

পঠিত : ২৫৩ বার

মন্তব্য: ০