Alapon

শাস্তি হলে কি দলীয় প্রধান থাকবেন খালেদা?

বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠ আবারও গরম হয়ে উঠেছে। রাজনীতির মাঠে ইস্যু এখন একটাই খালেদা জিয়ার বিরোদ্ধে আনীত জিয়া অরফানেজ মামলার রায় কি হবে?
বিষয়টি বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিষ্পন্ন হতে যাচ্ছে। অথচ ৮ ফেব্রুয়ারি (২০১৮) রায় ঘোষণা নিয়ে চলছে নানান পর্যালোচনা। যেহেতু খালেদা জিয়া এই মামলার প্রধান আসামি সে জন্য রায়কে কেন্দ্র করে ২৮ জানুয়ারি (২০১৮) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে হাজির হয়ে বিএনপি নেতারা তাদের সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছেন। নতুন এই গঠনতন্ত্রে বাদ পড়েছে ‘৭’-এর সব উপধারা। এর ফলে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত নেতাদের জন্যেও বিএনপির দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে বলেই আওয়ামীপন্থী বিশ্লেষকরা মনে করেন। রাজনীতি বিশ্লেষকরা প্রশ্ন রেখেই বলেন- বিএনপি নেতারা কি বুঝে নিয়েছেন মামলায় খালেদা জিয়া দণ্ডিত হতে পারেন?
অর্থাৎ চেয়ারপারসনকে রক্ষা করার বিষয়টি সবার কাছে পরিষ্কার বলে মন্তব্য করেন আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবী ড. মিল্টন দাস।


উল্লেখ্য, বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর ধারায় কমিটির সদস্য পদের অযোগ্যতা শিরোনামে বলা আছে, নিম্নোক্ত ব্যক্তিরা জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বা যেকোনো পর্যায়ের যেকোনো নির্বাহী কমিটির সদস্য পদের কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী পদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তারা হলেন : (ক) ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ৮-এর বলে দণ্ডিত ব্যক্তি, (খ) দেউলিয়া, (গ) উন্মাদ বলে প্রমাণিত ব্যক্তি, (ঘ) সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি। প্রকৃতপক্ষে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের দিন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতেই গঠতন্ত্রের ‘৭’ ধারা বাদ দেয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, মামলার রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা হলে দলের গঠনতন্ত্রের ধারা ৭-এর ‘ঘ’ সামনে আনা হতে পারে। এ ছাড়া এই ধারা ব্যবহার করে দলের ভাঙন সৃষ্টির পাঁয়তারা হতে পারে। অর্থাৎ গঠনতন্ত্রের পরিবর্তনের কারণে দুর্নীতি প্রমাণ হয়ে দণ্ডিত হলেও দলে বহাল তবিয়তে পদ নিয়ে থাকতে পারবেন খালেদা জিয়া।


যদিও কয়েকটি নিউজ সাইটে অসত্য খবর প্রচার করা হচ্ছে তারেক নাকি জুবায়দা, কে হচ্ছেন দলের কর্ণধার?
দলের কর্ণধার বেগম খালেদা জিয়াই থাকবেন। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা করেন- বেগম জিয়া আমাদের মা, সন্তানরা বেঁচে থাকতে মা কে জেলে যেতে দিবো না। আমাদের নেত্রী একজনই।


একটি প্রশ্ন স্বাভাবিকতই উঠে- ২০০৮ সালে ১/১১ আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা উধাও হয়ে গেল আর একই আমলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোতে তাকে বারবার হাজিরা দিতে হচ্ছে। বিচারের মুখোমুখি হয়ে রায়ের অপেক্ষায় দিন গুনতে হচ্ছে।
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী বলে সাতখুন মাফ?
সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করার জন্য এখন
বিএনপির প্রয়োজন সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ভূমিকা রাখা।

পঠিত : ৫১৪ বার

মন্তব্য: ০