Alapon

ডিপ স্টেট : ডিএস উইল চেইঞ্জ দ্যা সিনারিও'



নেত্র নিউজের ডকুমেন্টারি রিলেটেড একটা পোস্টে ডিপ স্টেট নিয়ে বলেছিলাম 'ডিএস উইল চেইঞ্জ দ্যা সিনারিও'। এরপর বেশ কয়েকজন ইনবক্সে ডিএস কি এবং এর ক্যাপাবিলিটি নিয়ে জানতে চেয়েছিল। সত্যি কথা বলতে আমার আসলেই সম্যক ধারণা নেই ডিএস সম্পর্কে ; তবে আমি আপনাদের ডিএস নিয়ে কিছু ডিস-ইনফোর কারেকশন, কিছু নতুন ইনফো এবং কিছু ইক্যুয়েশন দিব। আশা করি এতে করে আগ্রহীরা উপকৃত হতে পারবেন। ডিএস নিয়ে সবচেয়ে প্রচলিত ডিস-ইনফরমেশন হলো 'একমাত্র সামরিক ব্যক্তিবর্গরাই ডিএস এর সদস্য হয়'। টোটালি ভুলেভরা একটা কনসেপ্ট।

কারেকশন : আসলে ডিপ স্টেটের তিনটি ক্লাসিফিকেশন আছে।
(১) ন্যাশনাল
(২) রেজিওনাল
(৩) গ্লোবাল।

এরা প্রত্যেকেই 'ওয়ান গর্ভনেন্স সিস্টেম'কে নিজেদের প্রিন্সিপাল ধরে কাজ করে যায়। আর এই কাজটা করে বিভিন্ন নামিদামি প্রতিষ্ঠানের অলিগার্করা এবং তাদের হায়ার করা পিআর ফার্ম। ডিএস'এর এত বেশি লেয়ার আছে যে ইউনাইটেড নেশন'স (ইউএন) এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)-কে আন্ডার কন্ট্রোল্ড অর্থাৎ ডিপ স্টেটের স্ট্রাটেজিক পার্টনার বলা হয়, যা একপ্রকার ওপেন সিক্রেট। এরপরের লেয়ার গুলিতে রয়েছে - আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ব্ল্যাকরক, ডব্লিউএইচও, ইউনিসেফ, লকহিড মার্টিন, গাভি দ্যা ভ্যাক্সিন এলায়েন্স, সিএনএন, বিবিসি ইত্যাদি।

UN এর একটি ভিশন আছে, যা 'এজেন্ডা ২০৩০' নামে পরিচিত। এই এজেন্ডার আবার ১৭টি গোল আছে। সিগনিফিকেন্ট প্রিন্সিপ্যাল গুলো হলো- 'সাস্টেইনেবল এগ্রিকালচার, এনার্জি, এজাম্পশন, প্রোডাকশন, ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন ইত্যাদি'।

গত মাসে নেদারল্যান্ডে ফারমার্সরা বিক্ষোভ করেছিল। কারণ ছিলো ডাচ সরকার এমন এক নীতি অনুসরণ করেছে যা কৃষকদের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। সেটা হলো 'কৃষিক্ষেত্রে কেমিক্যাল ফার্টিলাইজার ব্যবহার করা যাবেনা'। এই বিধিনিষেধ আরোপের পরই ডাচ কৃষক সহ অনেক রাজনীতিবীদ গ্লোবাল ডিপ স্টেটকে ব্লেইম করে। তাদের দাবি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডিপ স্টেটের স্ট্রাটেজিক পার্টনার হিসেবে কাজ করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে 'ক্লাইমেট চেইঞ্জ' নিয়ে বিভিন্ন বাণী শোনায় তা মূলত একটা ট্র‍্যাপ। ভুলে গেলে চলবেনা, শ্রীলঙ্কার কৃষি ক্ষেত্রে কেমিক্যাল প্রডাক্ট ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপের পরই তারা একচেটিয়া খাদ্য সংকটে ভুগতে শুরু করে। অতঃপর ৭ জুলাই নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। এখানে অনেকে প্রশ্ন করতে পারে, শ্রীলঙ্কান গভমেন্ট কি কিছু করতে পারতোনা? এই উত্তর শেষদিকে দিব।

তো এই যে ডিপ স্টেট, এরা কিন্তু কোনো স্পেসিফিক আইডিওলজি থেকে বিলং করেনা। তাদের মাঝে সো-কল্ড ক্যাপিটালিস্ট, ডেমোক্রেট, কমিউনিস্ট, সোশ্যালিস্ট সবাই আছে। এবং সবার লক্ষ্য হলো "ওয়ান গভর্নেন্স সিস্টেম"। ইতিমধ্যে এই গভর্নেন্স সিস্টেমের একটি বাই প্রোডাক্ট এসেছে। যার নাম 'ইউনিভারসাল ব্যাসিক ইনকাম'। এটার সহজ মিনিং, আপনার কিছুই থাকবেনা তবুও আপনি হ্যাপি থাকবেন। আপনি কোনোপ্রকার কাজকর্ম করবেননা, শ্রম দিবেননা তবুও আপনি মাসিক রেশন পাবেন, ভাতা পাবেন, হাতখরচের টাকা পাবেন। যাকগে, ওই আলোচনা আরেকদিন করা যাবে।

ডিপ স্টেটের লক্ষ্য হলো, পৃথিবীতে ক্রাইসিস তৈরী করা। সেটা বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। যেমন- পলিটিক্যাল, ইকোনোমিক্যাল, ট্রাডিশনাল ইত্যাদি। উক্ত ক্রাইসিস তৈরীর মাধ্যমে তারা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। গ্লোবালিস্ট তথা ডিএস এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য থাকে ডেভলপিং কান্ট্রির ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতি। তারা ওই সমস্ত ফ্যাসিস্ট গভমেন্টকে লোভনীয় অফার দেয় যাতে করে ওই সমস্ত দেশের জনগন দুর্ভোগ পোহালেও ফ্যাসিস্ট সরকারের গদি দিনদিন শক্তপোক্ত হয়।

২০১৭ সালে প্রকাশিত WEF এর প্রতিষ্ঠাতা Klaus Schwab এর 'Covid-19, The great reset' বইতে তিনি লিখেছিলেন, গ্রেট রিসেটের জন্য একটি প্যানডেমিক অত্যন্ত প্রয়োজন এমনকি একটি নিউক্লিয়ার যুদ্ধও তাহলে বোঝাই যাচ্ছে উক্ত ব্ল্যাকরক, আইএমএফ, ডব্লিউইএফ সবই এক সূত্রে গাঁথা। সবাই একটি এজেন্ডাকে সামনে রেখে কাজ করছে। যার ইফেক্ট মাহাথির মোহাম্মদ, ইমরান খান, রাজাপাকশের উপর পড়েছে। বর্তমানে ইতালি, নেদারল্যান্ড, এবং ব্রিটেন খুব বাজেভাবে প্রভাবিত।

জো-বাইডেন এবং জাস্টিন ট্রূডো WEF এর ফাইনেস্ট লীডার। কিছুদিন আগে বাইডেনের 'ইনফ্লেশন রেডাক্সন পেপারে সাইন' করার সময় তার চোখ মুখের কনফিউজিং এক্সপ্রেশন নিয়ে বেশ কন্ট্রোভার্সি হয়েছিল। তখন ওয়াল স্ট্রিটেও বাইডেনের উপর ডিপ স্টেটের প্রভাব নিয়েও লেখালেখি হয়েছে।

আপনার যদি হিউজ পপুলেশন থাকে, কেবলমাত্র তবেই আপনি গ্লোবালিস্ট ডিপ স্টেটের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করতে পারবেন। যেমনটা ভারত পেরেছে তার ম্যানপাওয়ারের জন্য আমেরিকাকে দিয়ে ক্যাটসা স্যাঙ্কশনের কন্ডিসন্সই চেঞ্জ করিয়ে নিতে।

এতোক্ষণ বলেছিলাম ডিপ স্টেটের স্ট্রাটেজিক পার্টনার UN এবং WEF এর 'এজেণ্ডা ২০৩০' ও 'গ্রেট রিসেট' সম্পর্কে। ডিএস এর কাছে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে হিউজ পপুলেশন যে একটা পথের কাঁটা সেটা আগের লেখায় আপনারা একটু হলেও আঁচ করতে পেরেছিলেন। আজকে অল্পকিছু তথ্য দিব, কিভাবে গ্লোবালিস্ট ডিপ স্টেট ডি-হিউম্যানাইজেশন কন্সেপ্ট শুরু করেছিল এবং কিভাবে তা বাস্তবায়ন করছে!

প্রথমেই একটা টুইস্ট দেই। মার্কিন জিও স্ট্রাটেজিস্ট হেনরি কিসিঞ্জারকে চিনেনা এমন মানুষ খুবই কম। তার খুব বিখ্যাত একটি উক্তি হলো " “Who controls the food supply, controls the people; who controls the energy, can control whole continents; who controls money, can control the world.”
চমকে দেওয়ার মত তথ্য হলো, ডিপ স্টেটের অন্যতম শক্তিশালী স্ট্রাটেজিক পার্টনার 'ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম' এর প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউজ শোয়েব ছিলেন হেনরি কিসিঞ্জারের অন্যতম প্রিয় ছাত্র। ( নট অনলি আইডিওলজিক্যালি, বাট অলসো একাডেমক্যালি)। খুব সম্ভবত কিসিঞ্জার সাহেব ছিলেন ক্লাউসের ইকোনোমিকসের শিক্ষক।

খেয়াল করুন, শিক্ষক কিসিঞ্জার বলে গিয়েছিলেন 'অর্থনীতি যার হাতের মুঠোয় থাকবে, পুরো দুনিয়া তার পদতলে থাকবে, ফুড সাপ্লাই চেইন যার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সমগ্র বিশ্বের মানুষ তার মুখাপেক্ষী থাকবে'।

অতঃপর দুনিয়াটাকে খুব সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর, ছাত্র ক্লাউজ শোয়েব তার 'কোভিড-১৯, দ্যা গ্রেট রিসেট' বইতে লিখলেন 'নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে হলে অবশ্যই একটি প্যানডেমিক অত্যাবশ্যক'। যার ফলশ্রুতিতে ওয়ার্ল্ডওয়াইড ছড়িয়ে পড়লো মানবসৃষ্ট (স্পেসিফিক্যালি গ্লোবালিস্ট) মরণব্যাধি।

এবার আরেকটা নতুন ইনফো দেই। কোভিড যখন প্রাথমিক স্টেজে ছিল, তখনই কোভিডের উত্থান নিয়ে ইনভেস্টিগেশন করার জন্য তৈরী হয় 'DRASTIC' (ড্রাস্টিক) নামের একটি টিম। এটি ছিল ইউএস-ইন্ডিয়ার কম্বাইন্ড নিউক্লিয়ার-কেমিক্যাল-বায়োলজিক্যাল স্পেশালিস্ট টিম। তাদের প্রায় ৩০ জন কোর মেম্বার ছিল এবং সময়ের সাথে সাথে প্রচুর পরিমাণে ফিল্ড এজেন্টও বৃদ্ধি পায়। এমনকি এদের সাথে ছিল বেশকিছু সাইবার স্পেশালিস্ট। এই পুরো টিমটাই ছিল প্রাইভেট, কোনোপ্রকার এডমিন্সট্রেশনের আওতাধীন নয়। এই টিমের ফাউন্ডার ছিলেন 'বোস্টিকসন' নামক এক ব্যক্তি। ড্রাস্টিকের সাইবার স্পেশালিস্ট টিম Dr Fauci এর ইমেইল হ্যাক করে বেশ ক্লাসিফাইড ইনফরমেশন হাতিয়ে নেয়। সেখান থেকে জানা যায়, '২০৩০ এজেন্ডা'র অংশ হিসেবেই এই প্যানডেমিক ইচ্ছাকৃতভাবে উহানের বায়োলজিক্যাল ইন্সটিউট থেকে ছড়ানো হয়েছে। (ড্রাস্টিকের ইনভেস্টিশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সন্ধ্যার আগেই একটি পিডিএফ ফাইল পাওয়ার কথা আছে। কারো প্রয়োজন হলে সন্ধ্যার পর নক দিলে পাবেন ইনশাআল্লাহ)। তো উপরিউক্ত ইনফো থেকে খুব সহজেই অনুমেয় যে, এই পুরো সিস্টেমটাই একটা 'ব্লকচেইন'। ডিপ স্টেটের একটি লেয়ার অন্য একটি লেয়ারের কন্ট্রোলে।

এখন অব্দি কোভিডে সারা বিশ্বে প্রায় ৬৭ লক্ষ মানুষ মারা গেছেন। কি ভাবছেন, যারা ভ্যাক্সিন নিয়েছেন তারা পুরো সেফ? জ্বি না। কিছুদিন আগে, ফাইজার ভ্যাক্সিনের সেকেন্ড বুস্টার ডোজ নেওয়ায় কানাডার চারজন ডাক্তার মারা গেছেন। ভ্যাক্সিন নিতে না চাওয়ার কারণে এখন অব্দি সহস্রাধিক ইউএস নেভী সিলের এজেন্ট, অফিসারকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

ভ্যাক্সিন সম্পর্কে একজন বিশেষজ্ঞের মতামত সরাসরি কোটেশন দিয়ে দিচ্ছি 'mRNA turns into DNA into human body which means a complete genomic change. This mRNA created lot of myocardial issues across the world as well'
আগামী ২০৫০ এর ভেতর তাদের ডি-হিউম্যানাইজেশন প্ল্যান অনেকাংশেই সাক্সেসফুল হবে। তবে ব্যাপারটা এমন নয় যে, যারা ভ্যাক্সিন নিয়েছেন সবাই সাফার করবেন কিন্তু অনেকেই করবেন।

শুধুমাত্র এসবই না, এমনকি নাসার CERN সেন্টারও ডিপ স্টেটের আওতাধীন। CERN হলো ইউরোপীয় অরগানাইজেশানের একটা রিসার্চ সেন্টার। রিসেন্টালি তারা সেখানে একটি নতুন এক্সপেরিমেন্ট করছে। তারা লাইট স্পিডের চেয়েও দ্রুতগামী কিছু একটা তৈরী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। CERN এর LHC (large hardron collider) নিয়ে পড়াশোনা করলেই আপনারা জানতে পারবেন। তারা যে প্রজেক্টলি নিয়ে কাজ করছে, সফল হলে এটার মাধ্যমে কৃত্রিম গ্যালাক্সি তৈরী করা সম্ভব। আপনার আমার ধারণারও বাইরে ডিপ স্টেটের এজেন্ডাসমূহ। তারা কি চায়, কেনো চায়, কিভাবে চায়, কার মাধ্যমে- তা সঠিকভাবে জানা সত্যিই দুঃস্বপ্নের মত।

পঠিত : ৩৩৬ বার

মন্তব্য: ০