তারিখঃ ৯ অক্টোবর, ২০২২, ১৪:৪০
প্রচলিত এই মীলাদ অনুষ্ঠান, যা সালফে সালিহীনের যুগে ছিল না। যদি এ কাজে কোন ফযিলত ও বরকত থাকত , তবে পূর্বসূরীরা আমাদের চাইতে বেশী হকদার ছিলেন ,কারণ তারা নবী প্রেমের ক্ষেত্রে আমাদের চাইতে অনেক অগ্রগামী এবং ভাল কাজে অধিক আগ্রহী ছিলেন। (ইকতিজা উসসিরাতিল মুস্তাকিমঃ-২৬৫)
“প্রচলিত মীলাদ না কুরআন সুন্নাহর কোথাও আছে, না পূর্ববর্তী উম্মতের আদর্শ কোন ব্যক্তি থেকে প্রমাণিত। বরং তা সুস্পষ্ট বিদ‘আত, যার আবিষ্কারক হলো একদল পেটপূজারী।” (আল-হাবী লিল ফাতওয়া: ১/২২২-২২৩)
“এজাতীয় মীলাদ সর্বোত্তম তিন যুগের সালফে সালিহীনের কারো থেকে সাব্যস্ত নেই। বরং এর পরবর্তী যুগে সূচনা হয়েছে।” (সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ: ১/৩৬২)
মীলাদ অনুষ্ঠান মূলত বিদ‘আত । শরীয়তে এর কোনো ভিত্তি নেই। তিন পবিত্র যুগ বা সালফে সালিহীনের আমলে এর অস্তিত্ব ছিল না। (হিওয়ার মাআল মালিকী : ১৭৭)
“চার মাযহাবের উলামায়ে কিরাম এজাতীয় প্রচলিত মীলাদ নিন্দনীয় হওয়ার ক্ষেত্রে ঐক্যমত পোষণ করেন।” (আল ক্বওলুল মু’তামাদ, পৃষ্ঠা: ১৬২)
★ “মীলাদ মাহফিলের অনুষ্ঠান সর্বাবস্থায় নাজায়িয। মনদুব কাজের জন্য ডাকাডাকি করা শরী‘আতে নিষিদ্ধ”।
★ “বর্তমান যুগের মাহফিলগুলো যথা মীলাদ, ওরশ, তিন দিনা, চল্লিশা, সবই বর্জন করা দরকার। কেননা, এগুলোর অধিকাংশ গুনাহ ও বিদ‘আত থেকে মুক্ত নয়”। (ফাতওয়া রশীদিয়া : ১৩১)
“যুক্তি ও শরী‘আত উভয় দিক দিয়ে প্রমাণিত হল যে, এই নবোদ্ভাবিত ঈদে মীলাদুন্নবী নাজায়িয, বিদ‘আত এবং পরিত্যাজ্য”। (আশরাফুল জওয়াব : ১৩৮)
এটা ( মিলাদ পালন ) যদি রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামকে ভালোবাসার কারণে হয়, তাহলে সাহাবায়ে কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহুম এটা করেননি কেন? আমরা কি সাহাবিদের চাইতে রাসুলুল্লাহকে বেশি ভালোবাসতে পারবো ? এটা রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের সময় ছিলো না। সাহাবিদের সময় ছিলো না। তাবেয়ীদের সময় ছিলো না। তাবে-তাবেয়ীদের যুগে ছিলো না । এটা রাসুলুল্লাহর ( স.) ইন্তেকালে ছয়শত বছর পরে আবিস্কার হয়েছে। সেজন্যে এমন একটা সুস্পষ্ট বিদ'আত মুসলমানদের পালন করা উচিৎ নয়।
পঠিত : ৯৩৫ বার
মন্তব্য: ০