আল্লামা সাঈদী ও জেএমবির ঠগী-সন্ত্রাসী গোষ্ঠী
তারিখঃ ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১৭:৫৮
স্বাভাবিকভাবে আমি অন্য ইসলামি ঘরণা সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলার পক্ষে না, (তবে আমাদের যেগুলা আমাদের মধ্যে আন্দোলনের মধ্যে মডারেশুন চালায়, সেগুলার বিরুদ্ধেই আমি স্বোচ্চার) কিন্তু একটা বিষয় সশস্ত্র মোজা/হেদ ভাইদের ব্যাপারে না বলেই পারছি না, সেইটা হইলো এই লোকগুলা অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্বশীলদের সম্পর্কে বেয়াদবি করার সীমা-অতিক্রম করে ফেলে। গণতন্ত্রী বইলা কথায় কথায় গালি তো দেয়ই, বরং অনেকক্ষেত্রে তাগুত ও তাগুতের দোসর ঠাওরাতেও কসুর করে না।
এই যেমন, ২০০৪/০৫ সালের কথা, জেএমবি (বাংলার দায়ে/শ) সারা বাংলাদেশে কী করছে মনে আছে? দেয়ালে দেয়ালে গণন্ত্র হারাম, কুফুরি ইত্যাদি লেইখা পোস্টার সাঁটাই করতো ঠিক আছে, কিন্তু এরা আমাদের দায়িত্বশীলদেরকেও খুন করার টার্গেটে রাখছে, এইটা স্বয়ং শায়খ নামধারী আব্দুর রহমান এবং বাংলা ভাইদেরও স্বীকৃতি।
তো এই মাথামোটা বেকুবদের অযথা জজবা দেখিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার কারণে সারাদেশের সব মিডিয়া আজকের চাইতেও ভয়ংকরভাবে তোলপাড় করা শুরু করছে যে, এরা জামায়াতের সৃষ্টি। জামায়াতে ইসলামী এদের পেট্টোনাইজ করে, এদের সাথে জামায়াতের কানেকশন আছে ইত্যাদি। এমনকি রাম-বামদের সাথে তাল দিয়া এইদেশের একজন পীরও এই কথা বলা শুরু করছে যে, এদের সাথে জামায়াতের কানেকশন আছে। অথচ জামায়াত এমন চরমপন্থার বিপক্ষে, কোনো কারণ ছাড়াই এইসব উস্কানীর বিরুদ্ধে সব সময়ই জামায়াতের অবস্থান। তখন জামায়াত যদি ক্ষমতার অংশীদার না হতো, তাহলে সেদিনও আমীরে জামায়াত মাওলানা নিজামী নায়েবে আমীর আল্লামা সাঈদীকে হয়তো গ্রেফতার করা হতো, সেটা না পারার কারণেই অবশেষে যুদ্ধপরাধের নামে ফাঁসি দেওয়া হইলো আমাদের দায়িত্বশীলদেরকে।
যেমন আজকে আমীরে জামায়াত ডাক্তার শফিকুর রহমানকে তথাকথিত যুদ্ধপরাধ মামলা ফাঁসাতে না পারার কারণে, হাসিনা তার বৈশ্বিক আব্বাদের সুনজর পেতে, নিজের অপশাসনকে দীর্ঘায়িত করতে আমীরে জামায়াতকে সেই ২০০৪/৫ সালের মত সেই কথিত জ/ঙ্গীদের পৃষ্ঠপোষকতার দায়ে গ্রেফতার করলো।
আজকের মত সে সময় যখন এসব খারেজিদের অযথা উস্কানীমূলক কর্মকাণ্ডের দায়ভার জামায়াতের চাপানো হইলো, তখন জামায়াত কি বইসা থাকবে? অবশ্যই না। জামায়াত সেটার বিরোধীতা করে। আল্লামা সাঈদী ওয়াজ-মাহফিলে সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। যার কারণে ওই ঠগিদের লিডার বাংলা ভাই বললো সাঈদী ছিলো আমাদের প্রধান টার্গেট, সে জে এম/বির বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়ে আমাদের দারুণ ক্ষতি করেছে ।
আল্লামা সাঈদীও বহিঃশত্রুকে মুসলিম ভূখণ্ডে সহজে আগ্রাসান চালানোর সুযোগ সৃষ্টি কইরা দেওয়া এইসব ঠগিদের বিরুদ্ধে এক প্রোগ্রামে বলছে যে, এদেরকে ধইরা বাইধা পুলিশে দিতে ।
দেখুন, বলছে আইএসের উস্বেকানীদাতা খারেজি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, কিন্তু এই খারেজিদের বিরুদ্ধে বলার কারণে, এই খারেজিরা আল্লামা সাঈদীর মত মানুষের শানেও বেয়াদবি করে। দেখুন আমি এদের বিরুদ্ধে কিছু না বলার পরেও এই সমস্ত ঠগীরা কেউ কেউ আমার ইনবক্সে আইসা গালিগালাজ ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য কইরা যায়, এদের হাতে যদি ক্ষমতা বা শক্তি কোনোটা যায়, এরা ধইরা ধইরা আমাদেরকেও জবাই করবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হইলো বাংলাদেশে যারা তালে/বান ফ্যান্টাসিতে ভোগে, এরাও সেই খারেজিদে ভাষায় আমাদেরকে আঘাত করে, আল্লামা সাঈদীর মত লোকের বিরুদ্ধে নোংরামি করে। অথচ এই বেকুবেরা বুঝে না যে, আফ/গানে দা/য়েশের সন্ত্রাসীগুলা ধইরা ধইরা তালে/বান নেতাদের জবাই করে। তালে/বানকে মুরতাদ ঠাওরে খুন করে।
আল্লামা সাঈদী হইলো সত্যের পক্ষে জ্বালাময়ী এক সৈনিক, তিনি যেটা হক বলে জানতেন, সেটার বিষয়ে বুক টান করে কথা বলতেন, এমনকি আপনারা অনেকেই দেখেছেনও যে, আল্লামা সাঈদী শহীদ উসা/মা বিন লা/দেনের বিষয়েও বিশ্ব মোড়লদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বলছেন যে,
লা/দেন কোনো সন্ত্রাসী নয়, আর তিনি ফকিন্নির বেটাও নন। তাকে মিডিয়া সন্ত্রাসী বানিয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর অবদান নিয়ে বাংলার নন্দিত আলেমে দ্বীন আল্লামা সাঈদী ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন।
দেখুন ভিডিওটি
অথচ এই দেশে উসা/মা বিন লা/দেনের কথিত সৈনিক দাবিদাররাও আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ চর্চা করে। এরা যদি জানতো, সিরিয়ায়ও দায়ে/শের কুখ্যাত খারেজিগুলা, স্বয়ং একি/উর মোজাহেদদেরও ধইরা ধইরা জবাই করে। আপনি কত প্রমাণ চান আমি দিতে পারবো। এবং তালে/বানকে খুন আর জবাই কইরা এরা ভিডিয়োও ছাড়ে অনলাইনে।
আর বঙ্গু তালেব দাবিদাররা কীভাবে যেন এককাঠি বেশি সরেস, এরা দায়েশের বিরুদ্ধে বলা, তালেব নাম দিয়ে এদেশে হুদাই অস্থিতিশীল সৃষ্টি করা বেকুবদের বিরুদ্ধে বলার কারণে আল্লামা সাঈদীর সাথে বেয়াদবি করে। এবং এমন ছেলেপেলেগুলাই করে, যেগুলার ইলম-আমল-বয়স সাঈদীর একটা পশমের সমানও হয়নি !
- রোহান আব্দুল্লাহ
মন্তব্য: ০