Alapon

আমার কুরআন ভাবনা...



কুরআনের সাহিত্যও বেশ চমকপ্রদ।সূরা ফাতিহার প্রথমে "সমস্ত প্রসংশা আল্লাহর" বলে উল্লেখের মাধ্যমে তাওহীদের পরিচয় এরপর তাওহীদ চিনলে বান্দা যেহেতু তাঁর রবের দিকে ফিরার তাড়ণা অনুভব করবে তাই দ্বিতীয় আয়াতে তাঁর করুণার উল্লেখ দেয়া হয়েছে "আর রাহমানির রাহীম" বলে; যাতে বান্দা যত বড় গুনাহগার হোক না কেন, আল্লাহকে চিনার পর তাঁর দিকে ফিরতে গড়িমসি না করে।

আর তৃতীয় আয়াতে বিচার দিবসের বাস্তবতা জানিয়ে দেয়া,যাতে বান্দা তাওহীদ ও আল্লাহর ক্ষমার বিষয় জেনেও অহংকারবশত সত্য থেকে বিমুখ না থাকে।কেননা বিমুখ হলেই রয়েছে বিচার দিবসের কঠিন শাস্তি; যেখানে কেউ কারো কোন উপকারে আসবে না,কারো সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হবে না।আয়াতের এই সিকুয়েন্স দেখলে বিস্ময়াবিভূত না হয়ে উপায় নেই।

"আমরা তোমারই ইবাদত করি এবং কেবলমাত্র তোমারই সাহায্য চাই"(সূরা ফাতিহা- ৪)

এখানে বলা হয়নি,আমরা তোমারই সাহায্য চাই, তোমারই ইবাদত করি।বরং ইবাদত শব্দটা আগে উল্লেখের পিছনেও রহস্য আছে।হতে পারে এখানে আল্লাহ বুঝিয়েছেন, আমরা সাহায্য চাই আর আল্লাহ সাহায্য করেন বলেই যে তাঁর ইবাদত করি বিষয়টা মোটেও এমন নয়।বরং তিঁনি সাহায্য করুন আর নাই করুন ইবাদত কেবল তাঁরই প্রাপ্য।তিঁনি ব্যতীত অন্যকারো ইবাদত করা হবে না।আর যেহেতু তাঁরই ইবাদত প্রাপ্য,তাঁরই ইবাদত করি সেখানে তিঁনি ব্যতীত অন্যকারো সাহায্য কামনা করার ত কোন প্রশ্নই উঠে না!

বান্দা হিসেবে আমরা দুর্বল বলেই আমাদের সাহায্য প্রয়োজন,নির্ভরতা প্রয়োজন।বান্দা মাত্রই এগুলোর মুখাপেক্ষী।আমরা যদি স্বয়ংসম্পূর্ণ হতাম তবে ত আমাদের সাহায্যের প্রয়োজন হত না।এখন সাহায্য যেহেতু প্রয়োজন তাহলে সাহায্য কার কাছে চাওয়া হবে? দুনিয়ায় আমার মতই অসহায় লোকদের কাছে নাকি এমন কারো কাছে যিঁনি স্বয়ংসম্পূর্ণ?যেহেতু আল্লাহ ব্যতীত বাকি সবকিছুই ধ্বংসশীল, এদের মাঝে দুর্বলতা ও ত্রুটি বিদ্যমান তাই বিবেকের দাবি হল ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্যই হওয়া উচিত,এবং সাহায্য চাওয়া উচিত কেবল তাঁর কাছেই।

পঠিত : ২১০ বার

মন্তব্য: ০