Alapon

বাংলাদেশে আমেরিকার উলঙ্গ হস্তক্ষেপের মূল কারণ কি?

আমেরিকা বাংলাদেশে উলঙ্গ প্রবেশের মূল কারণ আওয়ামীলীগের পতন অথবা বিএনপি কে ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য নয়।

বাম গবেষকরা কখনোই মূল বিষয়ে ফোকাস করবে না। তারা বিভিন্ন বিষয়ে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিবে এটাই স্বাভাবিক। আবার পিনাকী দাদার মত বিবেকবান বাম গবেষকরা আমেরিকার প্রভাবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ লাভ/ ক্ষতির হিসাব কষে দেখালেও মূল বিষয়টা ঠিকই এড়িয়ে যাবেন নতুবা ধরতে পারবেন না।

এখন অন্য গবেষকরা অর্থনৈতিক সুবিধা, ভূমি ব্যবহারের মত বিভিন্ন কারণ জনগণকে দেখাচ্ছে। যেহেতু এগুলোও কারণ তাই আপনাদের ফোকাস এখানেই আটকে যাবে। ভিতরে যে আরো কিছু থাকতে পারে সেদিকে নজর যাবে না।

ধরুন, আপনার বাসায় ডাকাতি হলো লক্ষাধিক টাকা সাথে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্টস। সাংবাদিকরা যদি বেশিবেশি টাকা ডাকাতিকে ফোকাস করে তাহলে জনগণের দৃষ্টিতে ঘটনাটিকে টাকা ডাকাতিই মনে হবে যেহেতু নিউজ তো সঠিক কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টসকে যেহেতু ফোকাসে আনা হয়নি সেই বিষয়টি কেউই জানতে পারবে না বা সেদিকে খেয়াল করবে না।

ঠিক, আমাদেরকে যারা বিভিন্ন গবেষণায় বন্দি করেছে তারা আমাদেরকে আসল কারণ টি বুঝতে দিচ্ছে না।
আর আমরাও যেহেতু নিজেরা গবেষণা করি না সেহেতু নিজেদের ক্ষতির আসল কারণ গুলো বুঝতে পারি না। যদি বুঝতে পারতাম তাহলে হয়তো আগাম পরিকল্পনা গ্রহণ করে কিছুটা ক্ষতি কমানো বা রেহাই পেতাম।

প্রথমত, কেউ কেউ বলতেছে আমেরিকা গনতন্ত্র, মানবাধিকার, মত প্রকাশের জন্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে।

যারা বলতেছে আমেরিকা গনতন্ত্র, মানবাধিকারের জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে লীগের বিরোধিতা ও বিএনপি কে সুযোগ দিচ্ছে।

তারা ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক ১০০% মিথ্যা এবং ভুয়া কথা বলছে।

পৃথিবীতে আমেরিকার মত অ মা ন বি ক, স ন্ত্রা সী,অ স ভ্য, ব র্ব র, খু নি জাতি আর একটাও নেই।
কোটি কোটি মানুষকে তারা হত্যা করেছে সারাবিশ্বে। খোদ আমেরিকার আদিবাসীদের তারা রেন্ড ইন্ডিয়ান নাম দিয়ে ধ্বংস করেই আমেরিকার জন্ম দিয়েছে।
তাদের মুখে গনতন্ত্র, স্বাধীনতা,মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকারের কথা কোনভাবেই মানায় না।
তাদের সহযোগিতায় মাত্র দুদিন আগে গাজায় হসপিটালে বো*ম্বিং করে শত শত শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
ফেরাউন তো শুধুমাত্র বনি- ইসরায়েলের ছেলে সন্তানদের হ*ত্যা করতো আর যুগের এই নব্য ফেরাউনেরা ছেলে-মেয়ে উভয় শিশুকে হত্যা করছে।

এটা মানুষ কেন? পশু পাখিও কথা বলতে পারলে বলতো আমেরিকা কখনো মানবাধিকার, গনতন্ত্র, বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর নূন্যতম কল্যাণে কাজ করবে না।

তাহলে এগুলো যারা বলতেছে তারা নিজস্ব দল-মত ও সুবিধার জন্য বলতেছে। কারণ তারাও জানে আমেরিকান পশুরা কখনো মানুষের বন্ধু হবে না।

দ্বিতীয়,
যারা বলতেছে আমেরিকা অর্থনৈতিক লাভ, ভূমি ব্যবহার ইত্যাদি লাভের জন্য লীগের বদলে বি এন
পিকে আনতে চাচ্ছে। এটাও ভুয়া একটা গবেষণা।
ঠান্ডা মাথায় ভাবুন যতদিন এই পুজিবাদি ব্যবস্থা দুনিয়াতে কায়েম আছে ততদিন আমেরিকা সকল সুবিধা ভোগ সহজেই সিস্টেমেটিকভাবে পাবে। অর্থনৈতিক লাভ সহ যেকোনো লাভ আমেরিকা আওয়ামিলীগ থেকে পেতে এক বিন্দুও বেগ পেতে হবে না। শুধুমাত্র সেন্ট মার্টিন কেন? পুরো দেশটাই আওয়ামিলীগ ব্যবহার করতে দিবে টাকা ও ক্ষমতার লোভে। অলরেডি দিয়েও এসেছে।
আগেই বলেছি যেহেতু এগুলো ও কারণ সেহেতু এই গবেষণাগুলো ভুল নয় তবে এগুলো মৌলিক কারণ নয়। এই সুবিধা গুলো তারা কোন না কোনভাবেই পেয়েই থাকে।

★★★তাহলে আসল কারণ কি?

একেবারে পরিপূর্ণভাবে বুঝানোর জন্য আমাকে অনেকগুলো বিষয় টানতে হচ্ছে। আশাকরি ধৈর্য্য হারা হবেন না।

এখন বি এন পিকে তারা কেন ক্ষমতায় দেখতে চাচ্ছে এটা ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে হলে আওয়ামিলীগকে কেন ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিলো সেটা আগে বুঝতে হবে।
কারণ দুইটার একই কারণ শুধুমাত্র কর্মকৌশলে ভিন্নতা।

পশ্চিমারা আমাদের মত ছোট্ট একটি ভূখণ্ডের ৫ বছরের ক্ষমতা নিয়ে ভাবে না। তারা ভাবে, চিন্তা-গবেষণা করে যুগ যুগ ধরে পুরো দুনিয়ার মোড়লগীরি নিয়ে।
সেজন্য শত শত গবেষণা তারা প্রতিনিয়ত করে আসছে। বাংলাদেশের ক্ষমতা নিয়ে লীগ,বি এন পি,জামায়াতের যত গবেষণা আছে তার চেয়েও দূর থেকে পশ্চিমারা বেশি গবেষণা করে থাকে।
যতক্ষণ কোন দেশ ভবিষ্যতে তাদের জন্য হুমকি না হয়ে দাড়াই ততক্ষণ সেসব দেশকে তারা বুদ্ধিবৃত্তিক শাসন করে।
যখনই তারা বুঝতে পারে তাদের মোড়লপনার জন্য কোন দেশ বা দল ক্ষতিকর হতে পারে তখনই আগেভাগে তারা পরিকল্পনা ও সেই অনুযায়ী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে থাকে।
সারা দুনিয়াতে তারা এক সময় পরাজিত ছিলো। বংশ পরম্পরায় শত শত বছরের প্রচেষ্টায় আজকে তারা বিশ্বের মোড়ল। আমাদের মত ৫ বছরের ক্ষমতা নিয়ে তারা ভাবেও না কাজও করে না।

তাহলে আমেরিকা বাংলাদেশে নিজেদের জন্য কোন ক্ষতি ও হুমকি দেখে আওয়ামিলীগকে ক্ষমতায় এনেছিলো?

তার আগে আরেকটা পয়েন্ট ছোট্ট করে বুঝে নেওয়া যাক। তাদের গবেষণার কারণে তারা জানে তাদের রাজনীতি, ক্ষমতা যে ভোগবাদি চিন্তা-দর্শনের উপরে দাঁড়িয়ে আছে তা ধ্বংস হতে পারে একমাত্র ইসলামি দর্শনের কাছে।
শুধুমাত্র রাজনীতির জন্য ক্ষতি হলে তারা এত আতংকিত হয় না। কারণ রাজনীতিতে লাভ-ক্ষতি থাকেই। কিন্তু যে ন্যারেটিভস,চিন্তা,দর্শনের উপরে তাদের রাজনীতি, ক্ষমতা দাড়িয়ে তার উপরে বিন্দু পরিমাণ আঘাত করার কোন চিন্তা-দর্শন দেখলে সেসব চিন্তা-দর্শনের উপরে তারা ঝাপিয়ে পড়ে সমূলে মুলৎপাটন করে দিতে।

বাংলাদেশে যদি ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম হয় তাহলে আমেরিকার সুদ ভিত্তিক অর্থব্যবস্থায় যে লাভ সেটা লোকসানে পরিনত হবে, বিভিন্ন অসাধু উপায়ে যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সুবিধা পায় সেটাও হারাবে।

সবচেয়ে বড় যে আতংক সেটা হলো, ভোগবাদী,পুজিবাদি, জাতীয়তাবাদের মোড়কে তারা যে ধোকাবাজি করে দুনিয়ার মোড়লপনা করে সেই চিন্তা- দর্শন গুলোর মুখোশ উন্মোচন হয়ে যাবে ইসলামি খেলাফত ব্যবস্থার সামনে।
পৃথিবীর কয়েকটি দেশে ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হওয়া মানে পুরো মুসলিম উম্মাহের মাঝে জাগরণ সৃষ্টি হবে,সাহস ফিরে পাবে,আশাবাদী হয়ে উঠবে।
বিশ্ব মানবতার সামনে ইসলামের কল্যাণকর জীবনদর্শন ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিফলিত হবে যার সামনে নিকট ভবিষ্যতে তাদের পুজিবাদ ও ভোগবাদী ব্যবস্থা ধ্বসে পড়বে।
তাহলে তাদের ক্ষমতা, অর্থনীতি যে চিন্তা-বয়ানের উপরে দাঁড়িয়ে তারা মূলত সেগুলোর লাভ- ক্ষতি নিয়ে বেশি কাজ করে, কোন দেশের নিছক অর্থনৈতিক লাভ সহ অনন্য লাভ তাদের মূখ্য বিষয় নয়।

মনে রাখতে হবে, যেকোনো বিপ্লবের শুরু হয় জাগরণ দিয়ে। এরপর আন্দোলন, তারপর বিপ্লব।

তারা বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের জাগরণ দেখেই এদেশের উপরে পুরোপুরি ফোকাস করেছিলো কারণ এদেশে ইসলামের জাগরণ শুরু হয়ে আন্দোলনে রুপ নিয়েছে বাকী আছে মাত্র একটি ধাপ সেটি বিপ্লব। এগুলো এদেশের রাজনৈতিক দলগুলো না বুঝলেও আমেরিকা বুঝেছিলো।
এটা তারা পরিষ্কারভাবে দেখতে পেয়েছিলো ৯০ দশকে। জামায়াতের রেকর্ড সংখ্যক সংসদ সদস্য,মন্ত্রী, কয়েক শত থানা,ইউনিয়ন পর্যায়ের চেয়ারম্যান ইত্যাদি দেখে, সেই সাথে ভিন্নমতের প্রধান আলেমদের জামায়াতের সাথে মোটামুটি সহবস্থান, আল্লামা সাইদীর তাফসির মাহফিলের বিপ্লব ইত্যাদি । এখানে আরো অনেকগুলো কারণও ছিলো তবে বিস্তারিত আলাপের সুযোগ নেই এখন।

আওয়ামিলীগ কে তারা ক্ষমতায় এনেছিলো ইসলামপন্থীদের এই জাগরণ ও আন্দোলন কে ধ্বংস করার জন্য। জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দেওয়া, সকল ইসলামপন্থীদের ভিতরে দূরত্ব বৃদ্ধি করা, সকল মতের জাগরণ সৃষ্টিকারী আলেমদের হত্যা, কারাগারে বন্দি রাখা,ইসলামপন্থী নেতৃত্বকে দুর্বল, ধ্বংস ও ভবিষ্যত নেতা হতে পারে তাদেরকে শেষ করা ইত্যাদি।
সবচেয়ে বেশি যেটা করেছে ইসলামের বিপরীত যে-সব দর্শন ও কর্মকাণ্ড আছে সেগুলোকে প্রতিষ্ঠিত করা।

মুসলিমদের ভোগবাদী,পুজিবাদী,আরামপ্রিয়তা, সুদকে জনপ্রিয় করা, গান-বাজনা অশ্লীলতার সয়লাব, নারীদের উলঙ্গপনা, নারী ক্ষমতায়নের নামে মুসলিম সমাজের ভারসাম্য নষ্ট করা, কালচারের নামে শিরককে প্রতিষ্ঠিত করে দেওয়া,ইসলামোফোবিয়া বৃদ্ধি করা ইত্যাদি।

এবং সেই কাজে তারা আওয়ামীলীগকে ব্যবহার করে সফল হয়েছে।

এখন প্রশ্ন আসবে? তাহলে এই কাজে লীগ তো পরিক্ষিত শক্তি তাহলে তাদেরকে রেখে বি এন পি কেন? বি এন পির শাসনে তো ইসলামপন্থীরা নানা স্পেস পেয়ে যায় যেটার সিকিভাগ লীগ দেয় না।

খুবই ভ্যালিড প্রশ্ন এটি?
প্রথমেই বলেছি লীগ ও বি এন পিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার প্রধান কারণ ইসলামি জাগরণ,আন্দোলন, বিপ্লবকে ঠেকানো।

আমেরিকা মনে করে নির্যাতন ষড়যন্ত্র করেই সমাজতন্ত্র ও অন্যন্য মতবাদের মত ইসলামকেও শেষ করে দেওয়া যাবে।
তারা বুঝতেই চাই না, সমাজতন্ত্রের আল্লাহ ছিলো না ইসলামের আল্লাহ আছেন। আল্লাহ আছেন বলতে ইসলামের আধ্যাত্মিক, ঐশ্বরিক শক্তি আছে।
ইসলামকে যত নির্যাতন করা হয় দিনশেষে সে ততই বৃদ্ধি পায়।
যা হোক লীগের দীর্ঘ নির্যাতনের ফলে এদেশের ৯০% মানুষ লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। যার ফলে লীগ এখন যতদিন ক্ষমতায় স্থায়ী হবে মানুষ ততই লীগকে ঘৃণা করতে যেয়ে ইসলামপন্থীদের দিকেই যুকে পড়ছে, পড়বে।
আওয়ামীলীগ এখন পেট্রোলে পরিনত হয়েছে সাধারণ মানুষ হয়েছে আগুন। এ দুটিকে যতই কাছে আনা হবে সেখানে আগুন ততই বৃদ্ধি পাবে। আর মানুষ ফায়ার সার্ভিসের প্রয়োজনীয়তা তথা ইসলামপন্থীদের কাছে আশ্রয় নিবে। যা ভবিষ্যতে ইসলামি আন্দোলনকে বেগবান করে বিপ্লবের পথকে সুগম করবে।

তাহলে ইসলামের এই জাগরণকে থামাতে এখন আগুনের পরিবর্তে পানির প্রয়োজন।
আগুন দিয়ে যেমন কাগজ পুড়িয়ে শেষ করা যায় তেমনি পানিতে ভিজিয়েও নষ্ট করা যায়। বাংলাদেশে সেই পানি হলো বি এন পি।
বি এন পিকে সামনে এনে ইসলামপন্থীদের জাগরণ কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব। সাধারণ জনগণের কাছে বি এন পিকে আস্থা বানাতে পারলে সাধারণ জনগণ যেমন বি এন পির দিকে ডাইভার্ট হবে তেমনি নির্যাতনের মাত্রা কমিয়ে ইসলামপন্থীদেরকে একটু রেস্ট দেওয়া তথা তাদের আন্দোলনের গতি মন্থর করানো যেতে পারে। সেই সাথে তারা আবার নতুন কর্মপন্থা দাড় করাতে পারবে।

তাহলে মূলত, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ফায়দা আওয়ামীলীগ, বি এন পির চাইতে বেশি দিতে পারলেও ইসলামের জাগরণ থামানোর যেই চাহিদা সেটা আ"লীগ আর মেটাতে পারবে না বরং ইসলামের জাগরণকে তারা আরো বাড়িয়ে দিবে।
এই চাহিদা মেটানোর অপশন এখন একটাই সেটা হলো বি এন পি।
আর এটাই মূল কারণ আমেরিকার বি এন পি সাপোর্টের।

আলোচনা আর বাড়াবো না।
আ"লীগ থেকে গেলে ইসলামপন্থীদের আগামীর পরিকল্পনা কেমন হতে হবে অথবা বি এন পি চলে আসলে আগামীর বাংলাদেশে তারা কি কি পরিকল্পনা নিবে আর ইসলামপন্থীরা কিভাবে সেগুলো মুকাবিলা ও সামনে এগিয়ে যাবে,ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি হবে সেগুলো পরবর্তীতে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

এটাও এক লাইনে বলছি আপাতত বি এন পিকে ছাড়া আমেরিকার যেমন উপায় নেই। তেমনি বি এন পিকে ছাড়া বাংলাদেশ ও দেশের জনগণেরও কোন উপায় নেই।
আগে ফ্যাসিস্ট দূর হোক এরপরে বি এন পি আসলে নতুন লড়াইয়ের সুযোগ টা অন্ততপক্ষে পাওয়া যাবে।

*নোট: এসব কাজে ইন্ডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো সেগুলো অন্যদিন আলাপ হবে ইনশাআল্লাহ।

পঠিত : ২৯৯ বার

মন্তব্য: ০