Alapon

বিএনপি'র এখন কী পদিক্ষেপ নেওয়া উচিত



২০১৩, ২০১৮ এর আন্দোলন এবং ২০২২ সালের আন্দোলনের মধ্যে তফাত রয়েছে।

এবার প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বিদেশী পরাশক্তিকে নিজের দিকে টানতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু বিএনপি এদেশের মানুষের আশা আকাঙ্খার দিকে নজর রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।

জনগণের চাওয়া ছিল সকল বিরোধী দল একজোট হয়ে কাজ করা। বিএনপি এই জোট করতে চায়নি বলে সকল বিরোধী দলগুলোর মধ্যে আন্দোলনের স্পিরিট তৈরি হয়নি।

অধিকন্তু সন্দেহ সংশয় তৈরি হয়েছে। যদি বিএনপি স্ট্রং গার্ডিয়ানশীপ নিতে পারতো তবে জেনারেল ইবরাহীমেরা পক্ষ ত্যাগ করতো না। জে. ইবরাহীমকে চাপ দেওয়া ও লোভ দেখানোতেও তখন কাজ হতো না।

বিএনপি নেতারা যখন অধিকতর বিদেশ নির্ভরতা দেখিয়েছে, তখন স্থানীয় নেতাদের মধ্যে গা-ছাড়া ভাব তৈরি হয়েছে। ফলে তারা আন্দোলনের প্রস্তুতিতে ঘাটতি রেখেছে।

এখন দেখা যাচ্ছে জামায়াত প্রতিদিন ঢাকা শহরে ১৫-১৬ টি ঝটিকা মিছিল করলেও বিএনপি ৩ টার বেশি করতে পারছে না।

আন্দোলনে বিএনপি যথেষ্ট চাপ তৈরি করতে সক্ষম না হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে যে জড়তা এসেছিল তাও কেটে গিয়েছে। তার বিরোধীদের ওপর আরো কঠোর হচ্ছে।

অন্যদিকে হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের বুস্টআপ করছে। তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনছে। বিদেশীদের যে কোনো মূল্যে ম্যানেজ করার ট্রাই করছে। কিছু ক্ষেত্রে সফলও হচ্ছে।

হাসিনা অনেকভাবে ট্রাই করছে। এর মধ্যে একটা হলো আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে বিএনপিকে শিকার করছে। গত দুই মাসে অস্বাভাবিকভাবে সাক্ষ্য নিয়ে দিনে রাতে শুনানি করে মামলার রায় দেওয়া হচ্ছে।

শুধু আজকেই তিনটি মামলায় বিএনপির ১৩৭ নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই অন্তত দশ হাজার নেতাকর্মী বিভিন্ন মেয়াদে দন্ডিত হবে।

আপাত দৃষ্টিতে বিএনপির আন্দোলন সফলতার মুখ দেখবে বলে মনে না হলেও এদেশের বেশিরভাগ মানুষের আস্থা বিএনপিতেই। অতএব বিএনপিকে এই লড়াইয়ে জিততে হবে। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ফুরিয়ে যায়নি।

১. দ্রুতই সকল বিরোধী দলকে নিয়ে জোটবদ্ধ আন্দোলনে নামতে হবে। তাহলে দেশের জনগণ চাঙ্গা হবে।
২. ছাত্র ও শ্রমিকরা হচ্ছে আন্দোলনের প্রাণ। ছাত্রঐক্য করে ছাত্রদের একটিভ করতে হবে। শ্রমিক সংগঠনগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।
৩. আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। যে কোনো মূল্যে চালিয়ে যেতে হবে। হাসিনা যদি নির্বাচন করেও ফেলে তারপরও রণেভঙ্গ দেওয়া যাবে না।
৪. যেহেতু সবাইকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করতে হবে সেক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদের পতন হলে ছোটদলগুলো কী সুবিধা পাবে তা জানিয়ে চাঙ্গা রাখতে হবে।
৫. বিদেশীদের সাথে যে যোগাযোগ তাতেও আশা হারানো যাবে না। কন্টিনিউ রাখতে হবে।

পঠিত : ২০০ বার

মন্তব্য: ০