Alapon

গো-মাংসের বিরুদ্ধে মালুদের ষড়যন্ত্র



গরুর মাংস বাংলার মুসলিমদের জাতীয় খাদ্য। এই গরুর মাংস খাওয়ার অধীকারের জন্যই বাংলার মুসলিমরা রক্ত দিয়েছে, বছরের পর বছর লড়াই করেছে মালাউন মুশরিকদের বিরুদ্ধে। ইতিহাস এর সাক্ষী।
কিন্তু এই গরুর মাংসের বিরুদ্ধে কম ষড়যন্ত্র হয় নি। বৃটিশ ভারতে বলপ্রয়োগের পরও যখন বাংলার মুসলিমদের গরুর মাংস খাওয়া থেকে নিবৃত করা যায় নি, তখন এক বৃহৎ ষড়যন্ত্রের পথ বেঁছে নেয় মালুরা।

সে সময়ে বাংলায় যেই এলোপ্যাথি ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্রের যাত্রা হয়, তা হয় হিন্দুদের হাত ধরে। কলকাতা কেন্দ্রিক হিন্দু দাদাবাবুরা বৃটিশদের থেকে এলোপ্যাথি ও জার্মানদের থেকে হোমিওপ্যাথির জ্ঞান নেয় ও এই চিকিৎসা পদ্ধতির শুরু করে।

কিন্তু এরা এই চিকিৎসা শাস্ত্রকে নিজেদের মতো করে বিকৃত করে। এরা বাংলার মুসলমানের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেয় যে গো-মাংস মানেই খারাপ। গো-মাংস খেলে এই হয়, সেই হয়। এর মাধ্যমে তারা আল্লাহর দেয়া হালাল খাদ্যকে বাংলার মুসলিমদের সামনে কৌশলে হারাম করে তোলে। অথচ পশ্চিমা বিশ্বের মানুষজন প্রায় সব খাদ্যেই গো-মাংসের ব্যাবহার করে। গো-মাংস এদের প্রিয় খাদ্য। যদি গো-মাংস ক্ষতিকরই হতো, তাহলে পশ্চিমা ডাক্তাররাই একে নিষিদ্ধ করে দিতো। অথচ ইউরোপীয়রা দেদারসে গো-মাংস খেয়ে যাচ্ছে।

হিন্দু ডাক্তারদের থেকেই এই শাস্ত্র শিখেছে বাংলার মুসলিম ডাক্তাররা। তখন তাদেরও শেখানো হয়েছে গো-মাংসের মিথ্যা অপকারীতাগুলো। তারাও এর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গো-মাংসের বিরুদ্ধে নিজেদের বিষোদগার চালিয়ে যান।

এতো কিছুর পরও বাংলার মুসলমানদের গো-মাংস খাওয়া থেকে নিবৃত করতে না পেরে মালুরা শেষে বাংলাদেশে বলপূর্বক গো-মাংস নিষিদ্ধের কাজে হাত দেয়। এরা চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন যায়গায় জোরপূর্বক কোরবানীর সময়ে মুসলিমদের গরু জবাইয়ে বাঁধা দেয়ার সংবাদ বহুবার স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচারিত হলেও মুসলিমরা বিষয়টা তেমন আমলে নেয় নি।

এখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো যায়গায় মালাউনরা দাবী তুলেছে যে, হলে গরুর মাংস রান্না হতে পারবে না ও মুসলিমরা রমজানে গো-মাংস খেতে পারবে না। প্রশাসনের মুনাফিকগুলোর সহায়তায় এরা এটা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছিলো। তবে পরে মুসলিমদের চাপে পড়ে এরা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।

গো-মাংস খাওয়া আমাদের সেই অধিকার, যার জন্য আমাদের পূর্বপুরুষরা রক্ত দিয়েছে। তাই মালুদের বুদ্ধিবৃত্তিক দাস সেক্যু ডাক্তারদের নির্দেশ অমান্য করুন। যদি গো-মাংস আপনার জন্য ক্ষতিকরই হতো, তাহলে আল্লাহই সেটা হারাম করতেন।

বেশি বেশি গো-মাংস খান। সুন্দর করে গো-মাংস রান্না করুন। করে ছবি স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করুন। গো-মাংসের রেসিপি দিন। গো-মাংস মজা করে খান ও ভিডিও পোস্ট করুন। দুই টুকরা গো-মাংস আপনাকে যেই শক্তি দিবে, সেটা গোটা একটা মাছ খেলেও পাবেন না।

পঠিত : ৬৫৯ বার

মন্তব্য: ০